নায়কোচিত চেহারা এবং পছন্দসই ব্যক্তিত্ব দুইই ছিল অনিলের। তবে অনিলের ভক্তদের কথায়, অন্য ধরনের সিনেমা বেশি করাই কাল হয়েছিল অভিনেতার। আদ্যোপান্ত রোম্যান্টিক হিরো হিসেবে নিজেকে মেলে ধরা অনিল মূল ধারার নায়ক হিসেবে নিজেকে অভিযোজিত করতে পারেননি। তাই দর্শকও তাঁকে তেমন চরিত্রে গ্রহণ করতে পারেননি। ভক্তরা এমনও বলেন যে, অনিলের বেশ কিছু ছবির বিষয়বস্তু ছিল সময়ের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।
শত্রুঘ্ন তখন কলেজের পাশাপাশি ফিল্মের কাজও শুরু করেছেন। অনিলের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তাঁর। অনিলকে তাঁর প্রথম অভিনয়ের সুযোগও করে দিয়েছিলেন শত্রুঘ্নই। অনিলকে শত্রুঘ্ন বলেছিলেন, মুম্বই এলেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে। কলেজে পড়াকালীনই মুম্বই গিয়ে শত্রুঘ্নর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন অনিল। তাঁর প্রথম ফিল্ম ‘চেতনা’য় কাজ করার সুযোগ আসে তখনই।
হঠাৎই বলিউডের ছবির ধারা বদলে যায়। মিষ্টি প্রেমের ছবি থেকে মশলাদার অ্যাকশন নির্ভর ছবি তৈরির ধারা তৈরি হয়। অ্যাকশন ছবির প্রস্তাব আসতে থাকে অনিলের কাছেও। কিন্তু তিনি সেই সব ছবি করতে রাজি হননি। একের পর এক প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। অনিলের যুক্তি ছিল তিনি রোম্যান্টিক হিরো হিসেবেই থাকবেন। কারণ তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে অ্যাকশন হিরোর ভাবমূর্তি মানায় না।
পরের পর ছবি করলেও মূল ধারার ছবি থেকে একটা সময় হারিয়ে গিয়েছিলেন অনিল। ভেসে ওঠেন ২০১৮ সালে। ৭০ বছর বয়সে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘অন্ধা ধুন’-এ একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তবে চরিত্রটি ছোট হলেও প্রশংসা পায়। ফের মূলধারার ছবিতে ফেরেন অনিল। ২০২০ সালে ‘কুলি নম্বর ওয়ান’ ছবিতে অভিনয় করেন। ‘সিদ্দত’ নামে একটি ছবি এ বছরই মুক্তি পাওয়ার কথা তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy