ছবিতে মনীষা
সকালে ফোনটা এসেছিল। ‘‘সুনয়না ‘সাত রং’ গানটা সুপারহিট হবে। মিলিয়ে নিয়ো।’’ গান শুনে প্রচণ্ড উত্তেজিত মনীষা কৈরালা। পরিচালক সুনয়না ভাটনগরকে জানিয়েছিলেন সে কথা। এ গানের গায়ক এবং সুরকার অনুপম রায়।
প্রায় ছ’বছর বাদে বলিউডে কামব্যাক করছেন মনীষা। ‘‘আমার ডেবিউ ছবিতেই এরকম একজন শক্তিশালী অভিনেতাকে লিড রোলে পাব আশা করিনি। স্ক্রিপ্ট শুনেই রাজি হয়েছিলেন মনীষা’’ কলকাতায় ‘ডিয়ার মায়া’ ছবির গান শুনতে এসে বললেন পরিচালক সুনয়না ভাটনগর।
সাধারণত বলিউডে কাজ থাকলে সংগীত পরিচালকেরা কলকাতা থেকে মুম্বই উড়ে যান। এক্ষেত্রে হঠাৎ ব্যতিক্রম? ‘‘আসলে আমার পুরো সেট আপটাই তো কলকাতায়। গান রেকর্ডিং ছাড়া সব কাজই কলকাতায় হয়েছে।’’রেকর্ডিংয়ের ফাঁকে বললেন অনুপম রায়।
‘পিকু’-র গান শুনে সুনয়না গত বছর জানুয়ারিতে তাঁকে যোগাযোগ করেন। ষোল বছরের দুই অল্পবয়সি মেয়ে পাড়ার এক মহিলার সঙ্গে দুষ্টুমি করতে গিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে যায়। দুই মেয়ে আর মায়ার সম্পর্ক নিয়ে ছবির গল্প এগিয়ে যায়। মায়া চরিত্রটা বেশ রহস্যময়। সেই রহস্যময়ীকে গানে বোঝাতে হয়েছে অনুপমকে। ‘‘একটা চরিত্রকে গানে বোঝানো শক্ত ছিল। বার চারেক গানটায় সুর করতে হয়েছে আমায়। সঙ্গে এরশাদ কামিলের মতো লেখককে পেয়েছিলাম বলেই সুরে আর রঙে মিশেছে ‘সাত রং’ গানটা’’ বললেন ছবির সুরকার অনুপম। এ ছবিতে প্লেব্যাক সিঙ্গারের তিনজনই মেয়ে। ‘সাত রং’ গানটি গেয়েছেন রেখা ভরদ্বাজ। এ ছাড়াও আছেন হর্ষদীপ আর জোনিতা গাঁধী।
অনুপমের সঙ্গে সুনয়না
গানের মতোই মনীষাও বারবার নিজের চরিত্র, লুক বদলেছেন এই ছবিতে। ‘‘শ্যুটের আগে সবকটা দৃশ্যই রিহার্স করেছি। ভীষণ খুঁতখুঁতে মনীষা। কস্টিউমের জন্য ও তিন থেকে চার বার ট্রায়াল দিয়েছে।’’ বললেন সুনয়না। কিন্তু কেমন করে সামলালেন তিনি মুডি মনীষাকে?
সুনয়না বলছেন ক্যানসারের পরে মনীষা যেমন ‘পজিটিভ’ তেমনি বাস্তববাদী হয়ে গেছেন। ইদানীং নাকি পরিস্কার বলে দেন, ‘‘আগের জীবনে অনেক ভুল করেছি। পাগলামি করেছি। অসুখ আমায় অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছে।’’ মনীষা নাকি ‘মায়া’ কোন নেশায় এ বার মাতবে বলিউড?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy