‘লক্ষ্মীছাড়া’। ছবি: সংগৃহীত।
‘লক্ষ্মী’ ছেলে বা ‘লক্ষ্মী’ মেয়ের প্রতি বাঙালির ঝোঁক বরাবরই বেশি। শান্তশিষ্ট, নম্র, ভদ্র ছেলেমেয়ে বাঙালির কাছে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো! কিন্তু ছেলেমেয়ে যদি ‘লক্ষ্মীছাড়া’ হয়? পড়াশোনায় জলাঞ্জলি দিয়ে ‘কেয়ার করি না’-র মতো বুলি আওড়ে যদি বড় হয় সে?
গত দু’দশকের বেশি সময় ধরে এই হাবভাব নিয়েই বেড়ে উঠেছে ‘লক্ষ্মীছাড়া’। কলকাতার অন্যতম নামজাদা রক ব্যান্ড। ‘ফসিল্স’, ‘ক্যাকটাস’-এর ভিড়ে একটু একটু করে তৈরি করেছে স্বতন্ত্র জায়গা। ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’-র উত্তরসূরি নয়... তবে বাংলায় রক ও ব্যান্ড সংস্কৃতির পরম্পরা ধারণ ও বহন করার ক্ষেত্রে কোনও অংশে খামতি রাখেনি ‘লক্ষ্মীছাড়া’। মাঝের কয়েক বছর সামান্য ঝিমিয়ে গেলেও অতিমারির রেশ কাটিয়ে এখন আরও চাঙ্গা ঘোড়া ‘লক্ষ্মীছাড়া’। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাদের নতুন অ্যালবাম ‘এক দশক পর’। যদিও ‘এক দশক পর’-কে অ্যালবাম না বলে ‘ইপি’ তথা ‘এক্সটেন্ডেড প্লে’ বলাই ভাল। শহর কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় চড়ে এক পিঠ যাতায়াত করতে করতেই শুনে ফেলা যায় চারটি গানে সাজানো এই ইপি। তবে ‘লক্ষ্মীছাড়া’র সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইন আড্ডা দিতে বসলে সেই আড্ডা কিন্তু যথার্থই ‘এক্সটেন্ডেড’!
প্রশ্ন: প্রায় দশ বছর পরে নতুন অ্যালবাম মুক্তি পেল। আমাদের প্রজন্মের কাছে এক দশক মানে তো কয়েক যুগ! ব্যান্ড হিসাবে ‘লক্ষ্মীছাড়া’ কতটা বদলেছে গত এক দশকে?
গৌরব চট্টোপাধ্যায় (গাবু): দশ বছর আগে আমরা সবাই মোটামোটি ৩০-এর কোঠায় ছিলাম, এখন আমরা ৪০-এর ঘরে। তবে আমাদের বয়স বেড়েছে মানে যে ব্যান্ড বুড়িয়ে গিয়েছে, তা কিন্তু নয়। আমাদের ধ্যানধারণা এখন আগের থেকে অনেক বেশি পরিণত। যে কোনও বিষয়ের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটাও আগের থেকে পরিণত হয়েছে। যেমন, ২০ বা ৩০-এর কোঠায় আমরা যে ভাবে প্রেমকে বুঝতাম, এখন আমাদের কাছে প্রেম বা ভালবাসার সংজ্ঞা তার থেকে অনেক আলাদা। এখন দৃষ্টিভঙ্গি অনেক বেশি গভীর। এখনকার গানেও সেই ছাপ রয়েছে। ‘ঘেঁটে যাচ্ছে সব’ বা ‘এখানে বিজ্ঞাপন মারিবেন না’-র মতো গান আমরা এক দশক আগে বানাতে পারতাম কি? এখন কিন্তু এই গানগুলোই আমাদের ভাবনাচিন্তার পরিচায়ক। তবে এটাও ঠিক যে, আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে ‘লক্ষ্মীছাড়া’র বয়স বাড়ার বিষয়টা সমানুপাতিক নয়। আমাদের নতুন চারটে গান শুনলেই বুঝতে পারবেন, ‘লক্ষ্মীছাড়া’র ছাপ কিন্তু প্রতিটা গানেই স্পষ্ট। সোজা কথায়, ‘লক্ষ্মীছাড়া’র মনের দিক থেকে এখনও ‘ইয়ং’!
প্রশ্ন: ‘ঘেঁটে যাচ্ছে সব’ গানের মিউজ়িক ভিডিয়োটা বেশ মজার...।
গাবু: মিউজ়িক ভিডিয়োর ভাবনাটাই মজার। গত দেড় বছর ধরে বিভিন্ন লাইভ কনসার্টে আমরা নতুন গানগুলো পারফর্ম করছি। বিভিন্ন কনসার্টের ফুটেজ ব্যবহার করেই ভিডিয়োটা বানাতে চেয়েছিলাম। তা ছাড়াও একটা বিষয় আমাদের মাথায় কাজ করছিল... আমরা বাস্তব জীবনে যেমন, মঞ্চে উঠলে তো তার থেকে কিছুটা হলেও আলাদা। গানের নাম যে হেতু ‘ঘেঁটে যাচ্ছে সব’, বাস্তব থেকে সামান্য সরে গিয়ে আমরা ভিডিয়োটা বানাতে চেয়েছিলাম। আমাদেরই এক বন্ধু শান ভট্টাচার্য মিউজ়িক ভিডিয়োটা বানিয়েছেন।
বোধিসত্ব ঘোষ (বোধি): আর একটাও ব্যাপার আছে। আমাদের বিভিন্ন কনসার্টের ভিডিয়ো বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে। ফলে তাদের কোয়ালিটি ও রেজ়োলিউশনও আলাদা। মিউজ়িক ভিডিয়োটা অ্যানিমেশন ফর্ম্যাটে বানানোয় সেটা এক সুতোয় বেঁধে দেওয়া গিয়েছে।
রাজীব মিত্র (রাজ): আর গানটার নাম তো ‘ঘেঁটে যাচ্ছে সব’। আমরা এমন ভাবেই ভিডিয়োটা বানাতে চেয়েছিলাম, যাতে সেটা গানের ভাবনার সঙ্গে মিলে যায়।
প্রশ্ন: ‘এক দশক পর’-এর গানের কথা কিন্তু আপনাদের পুরনো গানের থেকে বেশ আলাদা।
অনির্বাণ মজুমদার: আমাদের আগের গান ও সাম্প্রতিক গান শুনলেই বোঝা যাবে, ‘লক্ষ্মীছাড়া’ এখন গানের মাধ্যমে সরাসরি কথা বলে। ২০১০-’১২তে আমাদের জীবনযাপন আলাদা ছিল। আমাদের সেই সময়ের গানে বেশ কিছু উপমা ব্যবহার করা হয়েছে। ২০২৩-এ এসে আমরা সোজা কথা সোজা ভাবেই বলতে চাই। যেমন ‘ঘেঁটে যাচ্ছে সব’-এ আছে ‘আয়না বলছে রোজ কিসের উদ্যাপন’... ‘আয়না’ বিষয়টাকে আমরা প্রাসঙ্গিকতার নিরিখে ব্যবহার করতে চেয়েছি। আজকাল তো আমাদের গোটা জীবনটাই খুব উদ্যাপন-সর্বস্ব, তাতে জীবনযাপনের স্বাভাবিক ছন্দটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন আমরা রেস্তরাঁয় গিয়ে খাবার খাওয়ার আগে তার ছবি তুলি। আমাদের চাহিদার সংজ্ঞাও বদলে গিয়েছে। এখন উদ্যাপনটাই আমাদের ‘বেসিক নেসেসিটি’। সেই ভাবনা থেকেই গানটা লেখা। তবে এমন কিন্তু নয় যে গোটা দুনিয়াটাই নেতিবাচক ভাবনায় ভরে গিয়েছে, ইতিবাচক বিষয়ও আছে।
প্রশ্ন: ব্যান্ডের সব সদস্যের এখন গড় বয়স ৪০। এই বয়সে দাঁড়িয়ে এখনও বিপ্লব, প্রেমের পাল্লা ভারী? না কি এই ঘরানার গানবাজনাটা আপনাদের তরফে সচেতন সিদ্ধান্ত?
বোধি: আমি নিজের দিক থেকে বলতে পারি, আমি চিরকাল ছক ভাঙায় বিশ্বাস করে এসেছি, এখনও করি, আগামী দিনেও আমার বিশ্বাসের নড়চড় হবে না। আমার মনে হয়, ওই জায়গাটায় আমাদের সবার ভাবনা কোথায় খাপ খেয়ে যায়।
রাজ: আমরা কিন্তু কেউ ভাবিনি যে, আমাদের কোভিডের সময় গান বার করতেই হবে। হ্যাঁ, আমরা নিজেদের সময়ে নিজেরা নতুন অ্যালবাম বার করব। কিন্তু তার জন্য অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়াটা আমাদের কাছে বিপ্লব নয়।
গাবু: আমরা এখন সাধারণ ভাবে যা কিছু নিয়ে কথাবার্তা বলি... এটা উচিত নয়, ওটা আমাদের পছন্দ নয়। যেটা বেঠিক, সেটাকে ঠিক করার জন্য আমরা কী করতে পারি? এটাই আমাদের সবার ভাবনার জায়গা।
প্রশ্ন: আপনাদের ব্যান্ডে কেউ পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী। আবার কেউ অন্য কাজ সামলে গানবাজনা করেন। সময় বার করা নিয়ে কখনও অসুবিধায় পড়তে হয়নি?
গাবু: আমি আর বোধি গানবাজনাটাই করি। রাজ অফিস করে গানবাজনা করে, পাঙ্কুও (সঙ্কেত ভট্টাচার্য) তাই। জন (জন পল) এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম সেরা গিটারিস্ট। ও কিন্তু থাকে সোদপুরে। সেখান থেকে দেশ-বিদেশের কাজ করে। অনির্বাণ লেখে। আর দেবা (দেবাদিত্য চৌধুরী) তো নিজে হাতে ওর গোটা ব্যবসাটা দাঁড় করিয়েছে। সবাইকে নিয়েই আমরা চলি। কখনও কখনও আমাদের কিছু ত্যাগও স্বীকার করতে হয়। কিন্তু আমাদের বোঝাপড়াটা এখন এমন হয়ে গিয়েছে যে, এটা নিয়ে এখন আর বড়সড় সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় না।
গাবু: আমরা যারা গানবাজনা করি, তাদের জীবনটা তো ঠিক গতে বাঁধা নয়। তাতে প্রাথমিক ভাবে যে কখনও কোনও সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি, তা নয়। তবে বয়সের সঙ্গে বোধবুদ্ধি পরিণত হয়েছে। ২৫-৩০ বছর বয়সে যে বিষয়গুলো মেনে নিতে পারতাম না, এখন সেগুলোর সঙ্গে দিব্যি মানিয়ে নিতে পারি। আমাদের প্রত্যেকের একটা আলাদা জীবন আছে। ‘লক্ষ্মীছাড়া’য় এসে আমরা এক হই
প্রশ্ন: রক ব্যান্ড, বিপ্লবের গান... সবই তো হল। ‘লক্ষ্মীছাড়া’ কি তবে ভালবাসায় আর ফিরবে না?
গাবু: ফিরবে না, তা তো নয়। নিজের সময়ে ফিরবে। ‘মেঘ মল্লার’ আজ থেকে দু’যুগ আগে মুক্তি পেয়েছিল। তখন আমরা জীবনের সেই সময়টায় ছিলাম। তখন আমাদের কাছে ভালবাসার সংজ্ঞা অন্য ছিল। এখন ভালবাসার প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটাই পাল্টে গিয়েছে। এখন আর ‘মেঘ মল্লার’-এর মতো অ্যালবাম হবে না।
অনির্বাণ: ‘লক্ষ্মীছাড়া’র ভালবাসার গান কিন্তু কম নেই। কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যে হেতু প্রেমের ভাবনাটা আমাদের কাছে বদলে গিয়েছে, তো আমরা এখন সেই ধরনের গানই করব। সে দিক থেকে দেখতে গেলে ‘উপহার’ও তো ভালবাসারই গান।
প্রশ্ন: রিল্স আর ট্রেন্ডিংয়ের যুগে এক দশক পরে ইপি মুক্তি পাচ্ছে ‘লক্ষ্মীছাড়া’-র। কলকাতার মতো শহরে স্বাধীন সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে জীবনধারণ করা কতটা কঠিন বলে মনে হয়?
রাজ: আমি কিন্তু দিল্লির ছেলে। ওখানেই লেখাপড়া, বড় হয়ে ওঠা। আমি তার পরে কলকাতায় আসি। অথচ আমি এখন কলকাতা ছাড়া অন্য কোনও শহরকে নিজের শহর বলে ভাবতেই পারি না। কলকাতা আমাকে এমন ভাবেই আঁকড়ে ধরেছে।
গাবু: কলকাতা থাকার জন্য সেরা শহর। কিন্তু এখানে থাকছি বলে যে শুধু এখানকার কাজই করতে হবে, তার কোনও মানে নেই। আমি, জন, বোধি... আমরা সবাই আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করছি। তার ফলে আমরা দেশ-বিদেশের অনেক জায়গায় ঘুরতেও পারছি। কিন্তু কলকাতায় ফেরা, সেটা আমাদের সবার জন্যই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যে শহরটা আমাদের এত কিছু দিয়েছে, সেই শহরটাকে আমরাও কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই।
রাজ: এক জন সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে আমার লক্ষ্যই এটা হওয়া উচিত যে, আমি বিভিন্ন ধারার সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করব। যাতে আমার শেখার ও জানার পরিধিটা বাড়ে। ‘লক্ষ্মীছাড়া’য় সব থেকে বড় পাওনা হচ্ছে, আমাদের এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই যে আমরা গানবাজনা করছি বলে অন্য কিছু করতে পারব না। এমনও দিন গিয়েছে যখন গাবু আর বোধি অন্য অনুষ্ঠানের জন্য বিদেশে রয়েছে, আর তখনই আমাদের কাছে অনুষ্ঠানের প্রস্তাব এসেছে। আমরা কখনও একে অপরের উপর এই চাপটা দিই না যে, এটা করতেই হবে। আমরা আনন্দের সঙ্গে ‘লক্ষ্মীছাড়া’য় গানবাজনা করি।
প্রশ্ন: আপনাদের সমসাময়িক ব্যান্ড ‘ফসিল্স’। ওই ব্যান্ডের সদস্যরা কিন্তু এত বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে ‘ফসিল্স’-এর সঙ্গেই গানবাজনা করছেন...।
গাবু: ‘ফসিল্স’ কিন্তু নিজে মূল ধারার ব্যান্ড নয়। কিন্তু ওদের অনুরাগীরা, বিশেষত ‘ফসিল্স ফোর্স’— ওরা কিন্তু যে কোনও মূল ধারার ব্যান্ডের থেকেও বেশি প্রভাবশালী। ‘ফসিল্স’ আজকের দিনে দাঁড়িয়ে দেশের অন্যতম দামি ব্যান্ড। কিন্তু আমরা মানুষ হিসাবেও ঠিক তেমন নই। ‘ফসিল্স’ যেটা করেছে, আমরা সেটা করিনি।
রাজ: তা ছাড়াও, গাবু আর বোধি যখন বিদেশ থেকে গানবাজনা করে ফেরে, তখন একটা আলাদা উত্তেজনাও থাকে আবার ‘লক্ষ্মীছাড়া’ হিসাবে একসঙ্গে মঞ্চে ওঠার। সেটাও একটা আলাদা অ্যাড্রেনালিন রাশ! একঘেয়েমি তৈরি হয় না।
প্রশ্ন: আপনারা দেশ-বিদেশে ঘুরে গানবাজনা করছেন। কলকাতার শ্রোতারা তো বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন।
বোধি: কলকাতায় তো তবু এখন গানবাজনা করতে করতে ‘ইনডিপেনডেন্ট মিউজ়িক’-এর বিষয়টা একটু ধাতস্থ হয়েছে। আসলে এই বিষয়টাকে ধরে রাখতে গেলে বা ভবিষ্যতে এটাকে আরও বিস্তৃত করতে গেলে অনেক পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। আজকাল যেমন ‘স্কিনি মো’জ় জ্যাজ় ক্লাব’-এ ভীষণ ভাল কাজ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিল্পীরা আসছেন, আমরা শহরের শিল্পীরা তাঁদের সঙ্গে গানবাজনা করছি। তাতে আমরাও নতুন কিছু শিখতে পারছি। এতে তো ‘লোকাল মিউজ়িক সিন’-এরই লাভ!
গাবু: এই রকম আরও ১০০ জন পৃষ্ঠপোষক দরকার। তা হলেই ‘সিন’ তরতরিয়ে এগোবে। আমাদের চারপাশে যত প্রতিভা আছে, ঠিকঠাক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এনএইচসেভেন উইকেন্ডারের চেয়ে বড় মাপের কনসার্ট হয়ে যাবে। ‘ক্যালকাটা ক্যাকোফোনি’ যেমন করেছে ‘দ্য সোল লোকাল’। এ রকম আরও বেশ কিছু ফেস্টিভ্যাল দরকার। এখন যে কাজটা ১০ জন করছেন, সেটা আরও ১০০ জনকে করতে হবে।
রাজ: আগে ২১ জুন বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে কত কনসার্ট হত। কত ফেস্টিভ্যালও হত। এই ‘কালচার’টা আরও বাড়াতে হবে।
বোধি: এই বিষয়টায় সরকারও পদক্ষেপ করতে পারলে ভাল হয়। আমরা যখন ইউরোপ ট্যুরে গেলাম, ওখানে কিন্তু আমাদের পারিশ্রমিক এসেছিল সেখানকার সরকারি দফতর থেকে।
রাজ: ‘গান শুনতে খরচ করব কেন’, এই মানসিকতাটাও বদলাতে হবে। যাঁরা গানবাজনা করেন, তাঁদেরও তো সংসার চালাতে হয়। শিল্প ‘প্রাইসলেস’ হতে পারে, শিল্পীদের তো ‘প্রাইস’ দিতে হয়!
প্রশ্ন: পরের অ্যালবাম কি ফের ‘এক দশক পর’?
গাবু: না না, একদম নয়!
বোধি: ভাবনাচিন্তা সব মাথায় রেডি এখন!
রাজ: খাঁচা তৈরি হয়ে গিয়েছে যখন, তখন অ্যালবামও দোরগোড়ায়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy