কুণাল ঘোষ— তৃণমূলের কোনও পদে এই মুহূর্তে তিনি নেই। তবে আছেন সরবে। যে কোনও বিষয়ে তাঁর বক্তব্য যথেষ্ট উচ্চকিত। সমাজমাধ্যমেও তিনি যথেষ্ট সক্রিয়। রবিবার সকালে সেখানেই তিনি ভাগ করে নিলেন এক নায়িকার ছবি। যেমন-তেমন নায়িকা নন, তৃণমূলেরই প্রাক্তন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
প্রাক্তন সাংসদের চা-পানের ছবি। এমনিতেই চা-চক্রে কত ধরনের আড্ডা-গল্প হয়, চর্চা হয় কত বিষয়ে। তবে এ ক্ষেত্রে কোনও চা-চক্রে যে তাঁদের দেখা হয়েছে এমন নয়। বরং মিমি ব্যস্ত নিজের মতো অবসরযাপনে। আর কলকাতায় কুণাল সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রীর প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা। সঙ্গে খানিক আক্ষেপ— এক সময় একই রাজনৈতিক দলে থাকলেও আলাপ নেই তাঁর মিমির সঙ্গে।
নায়িকার গুণ অনেক। নাচে, গানে, অভিনয়ে পারদর্শী তিনি— মানছেন কুণাল। যেমন রাজকুমারীর চরিত্রে তিনি সাবলীল, তেমনই তিনি স্বচ্ছন্দ একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ের চরিত্রে। বোঝা যায়, অভিনেত্রী মিমির কাজকর্ম নিয়েও ওয়াকিবহাল কুণাল। তিনি লেখেন, ‘‘ভারী শক্তিশালী অভিনেত্রী। ‘যোদ্ধা’র রাজকুমারী সাজসজ্জার থেকে ‘বোঝে না সে বোঝে না’র সাধারণ লুকটিই যেন অসাধারণ। ‘রক্তবীজ’-এ ‘সংইউক্তা’ করেছে ফাটিয়ে। এর মধ্যে দেখলাম ‘আমারো প্রাণ যাহা চায়’ রবীন্দ্রসঙ্গীতটি চমৎকার গেয়েছে।’’
সম্প্রতি মিমি গিয়েছিলেন ফিনল্যান্ড ভ্রমণে। সাদা বরফে মোড়া ফিনল্যান্ডের একগুচ্ছ ছবি দিয়েছেন। যদিও কুণালের মন কেড়েছে নায়িকার চা-পানের ছবিটি। মাথায় টুপি, গায়ে জ্যাকেট মুখে রূপটানের নামমাত্র ছোঁয়া। বন্ধ চোখে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে যেন এক অমোঘ তৃপ্তি প্রকাশ পাচ্ছিল ছবিটিতে। নায়িকার মতোও কুণালও চা-প্রেমী। সেই কারণেই ছবিটি আরও বেশি নজর কেড়েছে তাঁর। সব ভালর মধ্যে যেন আক্ষেপ রয়েই গেল কুণালের। একই দলের হয়ে কাজ করেছেন একটা সময়। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দলের সাংসদ ছিলেন মিমি। যদিও শেষের দিকে নিজেকে খানিকটা গুটিয়ে নেন রাজনীতি থেকে। একদা মুখ্যমন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী থেকে একেবারে অরাজনৈতিক হয়ে যাওয়াতেই কি সাংসদের দেখা-না-পাওয়ার আক্ষেপ জানালেন কুণাল!