Advertisement
E-Paper

সিঙ্গুর আন্দোলনের জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বিধায়ক অসিতের ভিডিয়ো ভাইরাল, মন্ত্রী বেচারাম বললেন, ‘লম্পট’

সিঙ্গুর আন্দোলনের জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বিধায়ক অসিতের ভিডিয়ো ভাইরাল, মন্ত্রী বেচারাম বললেন, ‘লম্পট’

(বাঁ দিকে) অসিত মজুমদার, বেচারাম মান্না।

(বাঁ দিকে) অসিত মজুমদার, বেচারাম মান্না। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৫ ২২:১৪
Share
Save

তৃণমূলের রাজনৈতিক উত্থানের ভূমি সিঙ্গুরের জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠল। যাকে কেন্দ্র করে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার এবং মন্ত্রী বেচারাম মান্নার বক্তব্য নিয়ে জোর বির্তক শুরু হয়েছে হুগলির রাজনীতিতে। নাম না-করে মন্ত্রী বেচারাম আক্রমণ করেছেন, ‘চরিত্রহীন’, ‘লম্পট, ‘তোলাবাজ’ ও ‘পরহিংসাকারী’ বলে। বুধবার সকাল থেকেই চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিতের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় (য়ার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। যেখানে তাঁকে জেলা থেকে নির্বাচিত তিন জন বিধায়ক তথা মন্ত্রী প্রসঙ্গে বেশ কিছু মন্তব্য করতে শোনা যায়।

ওই ভিডিয়োয় চন্দননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী গায়ক ইন্দ্রনীল সেন, জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক তথা পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারামের নাম করে অসিতকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সিঙ্গুর আন্দোলন আপনাকে বলে লাভ নেই, অনেকে জানে সিঙ্গুর আন্দোলন কী ভাবে চলেছে। আমি নিজের ঢাক নিজে পেটাব না।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘বেচা মন্ত্রী, স্নেহাশিস মন্ত্রী, ইন্দ্রনীল মন্ত্রী। এদের রাজনীতিতে জন্ম আমার হাতে। বেচা তৃণমূল করত নাকি? ও তো সিপিএম করত। ট্রেড ইউনিয়ন করত, হাফ প্যান্ট পরে।’’ সেই সময় তৃণমূল বিধায়কের পাশ থেকে কেউ বলেন, ‘‘গোন্দলপাড়া জুট মিলে।’’ তাঁকে সংশোধন করে দিয়ে অসিত বলেন, ‘‘ইন্ডিয়া জুট মিলে। আমি এ সব নিয়ে কিছু বলতে চাই না।’’

ইন্দ্রনীল-স্নেহাশিস জবাব না-দিলেও, নাম না-করে জবাব দেন বেচরাম। চাঁচাঁছোলা ভাষায় সিঙ্গুরের বিধায়ক নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘‘চরিত্রহীন, লম্পট, তোলাবাজ ও পরহিংসাকারী কিছু ব্যক্তি আমার সম্বন্ধে না-জেনে সমাজ মাধ্যমে ওলটপালট মন্তব্য করছে। যিনি কিনা ২০০২ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দল করতে এসেছেন আর আমি ১৯৯৫ সাল থেকে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছি। এবং ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের শুরু থেকেই নেত্রীর পাশে আছি।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘১৯৯৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে সিঙ্গুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচিত হয়ে পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে কাজ করেছি। ২০০০ সালে হুগলি জেলা পরিষদের উপনির্বাচনে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলি জেলা পরিষদের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৯ সালে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জনসভা থেকে ঘোষণা করে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ডাক্তার রত্না দে নাগের ইলেকশন এজেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন।’’

এর পর নিজের পোস্টের শেষের দিকে নাম না-করে খোঁচা দিয়ে বেচারাম লিখেছেন, ‘‘মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিঙ্গুর আন্দোলনের ইতিহাস তো সর্বজনবিদিত। তাই, এ সব অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তি সমাজ মাধ্যমে মন্তব্য করে দলেরই ক্ষতি করছে। হাফপ্যান্ট পরে শ্রমিক হয়ে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন করাটা কোনও অপরাধ নয়। হাফ প্যান্ট পরা লোকেদেরই ভোটের সময় এই সব মানুষেরা ভোটের জন্য পায়ে ধরে।’’ নাম না-লিখলেও, তাঁর নিশানায় যে অসিতই তা পোস্টের ছত্রে ছত্রে বুঝিয়ে দিয়েছেন কৃষি বিপণমমন্ত্রী। কাকে উদ্দেশ্য করে তিনি এই পোস্টটি করেছেন জানতে চাওয়া হলে বেচার জবাব, ‘‘আমি আমার কথা স্পষ্ট করে ফেসবুকে লিখে দিয়েছি। সাধারণ মানুষ বুদ্ধিমান বলেই আমি মনে করি। তাঁরা নিশ্চিত ভাবে বুঝতে পারবেন, আমি কাকে উদ্দেশ্য করে ওই কথাগুলো লিখেছি। তাই আমি কারও নাম করব না।’’

TMC Singur

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}