কৌশানী মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
ভরা আশ্বিন মাসে ফাগুনের ছোঁয়া নিয়ে হাজির কৌশানী মুখোপাধ্যায়। ছ্যাঁচরাপুর গ্রামে গিয়ে শরীরী বিভঙ্গে হিল্লোল তুললেন অভিনেত্রী। পরিচালক সাবধান করলেন, আর যা-ই করো, পিরিতে পোড়ো না। পরনে লাল শাড়ি, খোলা চুল, চোখে যে আবেগের বিচ্ছুরণ। ভরা মেলায় নৃত্যশিল্পীর সঙ্গে পা মেলাচ্ছেন অভিনেত্রী। ঝিমলি রূপে জীবনের প্রথম আইটেম নাচ কৌশানীর। প্রস্তুতির সময় যে খুব পেয়েছেন তেমন নয়। মাত্র আট ঘণ্টায় গোটা গানের শুটিং সেরেছেন। তবু সন্তুষ্ট নন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়!
এ বছরের পুজোয় উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার উপহার ‘বহুরূপী’। নব্বইয়ের দশকের ব্যাঙ্ক ডাকাতি ছবির প্রেক্ষাপট। যাঁকে ঘিরে গল্প, সেই অপরাধীর ভূমিকায় শিবপ্রসাদ। তাঁর বিপরীতে কৌশানী মুখোপাধ্যায়। গত শুক্রবার প্রকাশ্যে এসেছে ছবির প্রথম গান ‘শিমুল পলাশ’। এ বার প্রকাশ্যে এল দ্বিতীয় গান ‘ডাকাতিয়া বাঁশি’। এই গানের মাধ্যমেই প্রথম বার আইটেম গানে পা মেলালেন কৌশানী। এই ছবির প্রচার ঝলকেই নজর কাড়েন কৌশানী। একেবারে গ্রাম্য মেয়ের চেহারা, সারল্যে ভরা। তবু তার মধ্যে রয়েছে বিচক্ষণতা। মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির নায়িকারা এই মুহূর্তে নিজেরাই আইটেম নম্বরে নাচছেন, এই প্রচলন বহু বছরের। সম্প্রতি বলিউডে তমন্না ভাটিয়া ‘আজ কি রাত’ গানটি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। প্রশংসা কুড়িয়েছে তমন্নার নাচ। সেই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে কৌশানী বলেন, ‘‘আমি আশা করব আমার ‘ডাকাতিয়া বাঁশি’ গানটাও ততটাই ভাইরাল হবে। এ বার পুজোয় মণ্ডপের সকলে মিলে নাচবেন, সেই আশা করছি।’’
গান নিয়ে আশা যেমন রয়েছে, তেমন আক্ষেপও রয়েছে অভিনেত্রীর। কারণ, প্রস্তুতির জন্য খুব একটা সময় পাননি। পেলে আরও ভাল হতে পারত। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘আসলে আগে আমি জানতাম না নাচটা করতে হবে। মাত্র সপ্তাহখানেক সময় পেয়েছিলাম। শুটিংয়ের ফাঁকে গোটা নাচটা তুলেছি, আর শুটিংটা করতে সময় লেগেছিল আট ঘণ্টা। একটা গোটা দিনও নয়। তবে নন্দিতাদি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তিনি যে ভাবে চেয়েছিলেন সে ভাবেই দেখানো হয়েছে ঝিমলিকে।’’ এক পরিচালকের প্রশংসা পেলেও ছবির অন্য পরিচালক শিবপ্রসাদের মন পাওয়া অত সহজ না বলেই জানালেন নায়িকা। কৌশানীর কথায়, ‘‘শিবুদা যে কাজটা করেন, নিঁখুত করেন। তাই শিবুদাকে সন্তুষ্ট করা অত সোজা নয়। নাচটা যখন দেখাচ্ছিল তখন বলেছিল, ‘আরও ভাল হতে পারত কৌশানী, এটা তোমার গান।’ আমি এটাকেই প্রশংসা হিসেবে ধরে নিয়েছি। শিবুদা কখনও বলবে না একশোয় একশো পেয়েছ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy