ক্যাটরিনা সেই প্রথা ভেঙে বিয়ের আসরে এসেছেন তাঁর বোনেদের হাত ধরে।
শুধুই সাত পাক ঘুরলেন না। কেবলই প্রচারের কেন্দ্রবিন্দু হয়েও থাকলেন না। বরং নিজের বিয়েতে নজির গড়লেন ক্যাটরিনা কইফ। লিঙ্গভেদ মুছে বার্তা দিলেন সমাজকে। বহু যুগ ধরে চলে আসা প্রথা অনুযায়ী, কনের মাথার উপরে ফুলের চাদর ধরেন তাঁর ভাইয়েরা। ক্যাটরিনা সেই প্রথা ভেঙে বিয়ের আসরে এসেছেন তাঁর বোনেদের হাত ধরে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁদের উপস্থিতি তাঁর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ ভাবেই তিনি নারীশক্তির আবাহন জানালেন।
অভিনেত্রীরা ছয় বোন, এক ভাই। ৯ ডিসেম্বর সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের তৈরি পোশাকে সেজে ক্যাটরিনা পা রেখেছিলেন বিয়ের মণ্ডপে। তাঁকে ঘিরে ছিলেন তাঁর বাকি বোনেরা। তাঁরাও সেজেছিলেন লেহেঙ্গা-চোলিতে। প্রত্যেকের পোশাকের রং নরম গোলাপি। নারীত্বের প্রতীক। তাঁদের হাতে ধরা ফুলের চাঁদোয়া। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি দিয়েছেন ক্যাটরিনা। ছবিতে তাঁর শুভ কাজে অংশ নিতে পেরে বোনেদের চোখেমুখে আনন্দ যেন চুঁইয়ে পড়েছে। ক্যাটরিনা নিজেও পোস্টে লিখেছেন, বোনেরাই তাঁর শক্তি।
বলিউড সংবাদমাধ্যমের খবর, সে দিনের এই বিশেষ দৃশ্য যেন রূপকথা হয়ে ধরা দিয়েছিল সকলের চোখে। চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি স্বয়ং ভিকি কৌশলও।
ক্যাটরিনার এই পদক্ষেপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কঙ্গনা রানাউতের মতো কট্টরপন্থী সমালোচকও। বলিউডের ‘কুইন’ ক’দিন আগেই ভিক্যাটের বিয়ে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। ক্যাটরিনার বিয়ের অনুষ্ঠান দেখে সেই তিনিই সুর নরম করেছেন। ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনার স্বীকারোক্তি— মেয়েরা সাধারণত বয়সে বড়, প্রতিষ্ঠিত পাত্রকেই বিয়ে করে। সেখানেও ছক ভেঙেছেন ক্যাটরিনা। বয়সে ৫ বছরের ছোট, তুলনায় কম খ্যাতনামী ভিকিকে তিনি হাসিমুখে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। যা সত্যিই প্রশংসার্হ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy