করিনা কপূর খান।
হবু মায়েদের জন্য বই লিখেছেন করিনা কপূর খান। নাম ‘করিনা কপূর খান’স প্রেগন্যান্সি বাইবেল’। এই বইকেই নিজের ‘তৃতীয় সন্তান’ বলে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন তিনি।
গত ডিসেম্বরে ছেলে তৈমুর আলি খানের জন্মদিনে এই বই লেখার কথা জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তখন দ্বিতীয় বারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের ৫ মাস পর নিজের লেখা বই প্রকাশ্যে আনলেন করিনা।
ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। দেখা যাচ্ছে, হাতে দস্তানা পরে মাইক্রোওয়েভ থেকে গরম গরম সদ্য প্রকাশিত বইটি বার করে আনলেন তিনি। সঙ্গে লিখেছেন, ‘দু’বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়া থেকে এই প্রেগন্যান্সি বাইবেল লেখা — বেশ সুন্দর একটি যাত্রা ছিল এটি। খারাপ আর ভাল, দু’রকমেরই সময় কাটিয়েছি এই যাত্রায়।’
লিখতে লিখতে খানিক স্মৃতিমেদুর করিনা। মনে পড়ে গিয়েছে সন্তানসম্ভবা অবস্থায় কাটানো নানা দিনের কথা। তিনি লিখেছেন, ‘কখনও কখনও কাজে যাওয়ার জন্য উতলা হয়ে থাকতাম। কখনও আবার বিছানা থেকে উঠতেই পারতাম না। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন আমি শারীরিক এবং মানসিক ভাবে যা যা অনুভব করেছি, এই বই তারই খুব ব্যক্তিগত একটি বিবরণী।’
অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন করিনা। ‘লাল সিং চড্ডা’-র শ্যুট শেষ করেছেন। কাজের জন্য স্বামী সইফ আলি খান এবং পুত্র তৈমুরকে নিয়ে উড়ে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। করিনার মতে, গর্ভাবস্থায় একজন যত বেশি কাজ করবেন, সচল থাকবেন, সন্তানও ততটাই ভাল থাকবে। সেই মতোই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন অভিনেত্রী। দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে থাকাকালীন শুরু করেছিলেন লেখিকা হয়ে ওঠার সাধনা। করিনা লিখেছেন, ‘ভাবনা থেকে আজকে তার জন্ম— এই বই একাধিক কারণে আমার কাছে তৃতীয় সন্তানের মতো।’
অতীতে প্রকাশকদের মধ্যে একজন জানিয়েছিলেন, হবু মায়েদের কথা মাথায় রেখে মূলত বইটি লেখা হচ্ছে। গর্ভাবস্থায় কী ধরনের চিকিৎসা সহায়তা দরকার, মায়ের জন্য সঠিক ডায়েট, ব্যায়াম, বাচ্চাকে সুস্থ রাখার উপায় ইত্যাদি নানা বিষয়ে থাকবে করিনার পরামর্শ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy