যাঁরা লিঙ্গপরিচয় দিয়ে মানুষকে বিচার করেন, তাঁরা জীবনে খুব বেশি দূর যেতে পারেন না বলে জানান কঙ্গনা। ছবি—সংগৃহীত
শুধু কাজে নয়, কথায়ও তাঁর পরিচয়। নানা বিষয়ে মন্তব্য করে প্রায়ই শিরোনামে উঠে আসেন পরিচালক-অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সম্প্রতি কঙ্গনা আবার সরব হলেন টুইটারে। লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করলেন তিনি। তাঁর দাবি, কাউকে তাঁর লিঙ্গপরিচয়ের প্রেক্ষিতে বিচার করা উচিত নয়। যাঁরা এমনটি করেন, তাঁরা জীবনে খুব বেশি দূর যেতে পারেন না বলে জানান ‘মণিকর্ণিকা’র নির্মাতা।
লিঙ্গপরিচয়কেই যাঁরা তাঁদের একমাত্র অস্তিত্ব মনে করেন, বা তা নিয়ে গর্ব করেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। সুপ্রিম কোর্টের দরবারে সমলিঙ্গে বিবাহ আইনসম্মত করার আর্জির প্রেক্ষিতেই এই বক্তব্য অভিনেত্রীর। তিনি জানান, শুধুমাত্র এক জন মহিলা হিসাবে নিজের পরিচয় দিতে তাঁর ভাল লাগে না। তিনি নিজে এই রকম ভাবেনও না। কঙ্গনার মতে লিঙ্গ নয়, যিনি যা করেন, সেটাই তাঁর পরিচয়।
শুক্রবার সকালে টুইটারে এ প্রসঙ্গে কঙ্গনা লিখেছেন, “তুমি নারী, পুরুষ বা তৃতীয় লিঙ্গ, যা খুশি হও লিঙ্গবিচারে, কারও কাছে এর বিশেষ কোনও তাৎপর্য নেই, এটা বোঝা উচিত। আজকের পৃথিবীতে আমরা ‘অভিনেত্রী’, ‘মহিলা পরিচালক’-এর মতো শব্দও ব্যবহার করি না, তাঁদের অভিনেতা বা পরিচালকই বলি। পৃথিবীতে আমরা কী করছি, সেটাই আমাদের পরিচয়।” কঙ্গনা আরও লেখেন, “বিছানায় তুমি কী করছ, সেটা দিয়ে কিছু নির্ধারিত হয় না। যৌনতা বিষয়ে তোমার পছন্দ বা অগ্রাধিকার বিছানাতেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত, সেটাকে তোমার পরিচয়পত্র বানিয়ে ফেলা অর্থহীন। ”
ভিন্ন মতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “তোমার যৌন ভাবনার সঙ্গে যার ভাবনা মেলে না, তার গলা কাটার জন্য ছুরি নিয়ে ঘুরো না।” তাঁর সাফ কথা, তিনি নিজে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উঠে আসা মেয়ে, মহিলা বলে জীবনের কাছে বাড়তি কোনও সুবিধা পাননি। নিজের যোগ্যতায় অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, লেখক হিসাবে জায়গা করে নিতে হয়েছে।যৌনতা বা শারীরিক সৌন্দর্যের ভিত্তিতে মানুষকে বিচার করা উচিত নয় বলে মত অভিনেত্রীর। তিনি নিজেকে বা অন্য কাউকে সে ভাবে দেখেন না বলেও স্পষ্ট জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy