শুক্রবার জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় বিশেষ সিবিআই আদালত অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলিকে নির্দোষ ঘোষণা করল। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বিচারক এএস সইদ সূরজকে বেকসুর বলে রায় দিয়েছেন। এতে খুশি নন জিয়ার মা রাবিয়া খান। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, “আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ খারিজ করা হল, খুব ভাল কথা, কিন্তু খুনের অভিযোগ আমি সরিয়ে নিচ্ছি না। কী করে মারা গেল আমার সন্তান?” রাবিয়ার দাবি, তিনি শুরু থেকে বলে আসছেন জিয়ার মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, খুন। আদালতের রায়ের পরেও এটি খুনই থাকবে। এই মামলা তিনি আরও দূর এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে জানান।
#WATCH | The charge of abetment to suicide has gone. But how did my child die? This is a case of murder...will approach the high court: Rabia Khan, Jiah Khan's mother on Sooraj Pancholi acquitted of abetment charges in suicide case pic.twitter.com/8RA7fhbPDY
— ANI (@ANI) April 28, 2023
শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ আদালতের বাইরে গাড়ি থেকে নামেন সূরজ। অভিনেতার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা জ়ারিনা ওয়াহাব। আদালত দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ এই মামলার রায় দান করে। স্বাভাবিক ভাবেই এই রায়ের পর পাঞ্চোলি পরিবারে খুশির হাওয়া। অন্য দিকে শুক্রবার সকালে জিয়ার মা রাবিয়া খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি শুধু এইটুকুই বলতে চাই, জিয়া আত্মহত্যা করেনি। বিগত ১০ বছর ধরে উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে আমরা লড়াই করছি। মহামান্য আদালতের কাছে আমি শুধু সত্যের পক্ষে রায় আশা করছি।’’ যদিও রায় তাঁর বিপক্ষেই গেল। জিতে গেলেন সূরজ।
২০১৩ সালের ৩ জুন মুম্বইতে নিজের ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেন জিয়া খান। তার আগে আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূরজ পাঞ্চোলির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী। ২০১২ সাল থেকে একসঙ্গে থাকতেন তাঁরা। জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর মা রাবিয়া খান জানান, সূরজের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন জিয়াকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হত। সূরজ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেন রাবিয়া। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। ২০১৪ সাল থেকে জিয়া খানের আত্মহত্যা মামলায় অভিযুক্ত সূরজ পাঞ্চোলি। শুক্রবার বিশেষ সিবিআই আদালত রায় দেওয়ার পর আপাতত স্বস্তিতে সূরজ-সহ তাঁর পরিবার।