Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
Television

কাজ নেই, তাই মন খারাপ ছোটদের

সেট মিস করছে ‘ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়র’-এর সঞ্চালক লাড্ডু অর্থাৎ সৌম্যদীপ্ত সাহা।

সৌম্যদীপ্ত

সৌম্যদীপ্ত

ঈপ্সিতা বসু
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২০ ০০:৪৪
Share: Save:

সেট মিস করছে ‘ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়র’-এর সঞ্চালক লাড্ডু অর্থাৎ সৌম্যদীপ্ত সাহা। ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ থেকে বল্লভের চরিত্র বাদ পড়ায় মন খারাপ রূপম মণ্ডলের। শুটিংয়ে যেতে না পারায় লেখাপড়ায় মন বসছে না ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর ছোটদের পর্বের সহযোগী সঞ্চালক বিলাস দে-র। এদের সকলেরই বয়স দশ বছরের কম। করোনাভাইরাসের জেরে দশ বছরের কমবয়সিরা শুটিং করতে পারবে না। ছোট থেকেই শুটিং ফ্লোরে বসে স্কুলের হোমওয়র্ক করতে অভ্যস্ত কচিকাঁচারা এতে বেশ মনঃকষ্টেই রয়েছে। ‘রাখিবন্ধন’ শেষ হয়ে গেলেও কৃত্তীকা চক্রবর্তী এখনও চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ। নিয়মের জন্য নতুন কোনও কাজ করতে পারছে না সে। ‘ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়র’-এর পেঙ্গুইন অর্থাৎ উদিতা মুনশি নতুন শোয়ের কাজও আটকে রয়েছে। এ দিকে হিয়া দে (পটলকুমার গানওয়ালা) বা অরণ্য রায়চৌধুরীরা (জয় বাবা লোকনাথ) দশের গণ্ডি পেরিয়েছে বলে তারা দিব্যি কাজ করছে। তাই উদিতা, সৌম্যদীপ্তদের প্রশ্ন, হিয়া-অরণ্য যদি কাজ করতে পারে, তা হলে তাদেরও সুযোগ পাওয়া উচিত।

দীর্ঘ দিন বাড়িতে আটকে থেকে এরা খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন অভিভাবকেরা। বিলাসের মা দেবিকা দে বলছিলেন, ‘‘বাচ্চারা গুছিয়ে কথা বলতে পারে না বলে ওদের স্ট্রেস অনেক সময়েই ধরা পড়ে না।’’ সৌম্যদীপ্তর মা সঙ্গীতা সাহার মতে, ‘‘ছোটদের বাড়িতে আটকে রাখার ফল আরও খারাপ হতে পারে। করোনার জন্য কী কী সাবধানতা নিতে হয়, তা ওরা জেনে গিয়েছে এত দিনে।’’ উদিতার বাবা অরুণাভ মুনশি জানালেন, মানসিক সাপোর্টের জন্য চ্যানেলের প্রতিনিধিরা ফোন মারফত বাচ্চাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

শিশুশিল্পীদের ধারাবাহিকগুলো কি এখন বন্ধই থাকবে? ‘পটলকুমার গানওয়ালা’, ‘ভুতু’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকের নেপথ্যে থাকা এসভিএফ-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট (টেলিভিশন) অরবিন্দ দাশগুপ্ত বললেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের ঘিরে ধারাবাহিক তৈরির পরিকল্পনা নেই। তবে যে কোনও পারিবারিক ড্রামায় একটা-দুটো শিশু চরিত্র রাখা হয়, সেটার অভাব তৈরি হচ্ছে।’’ ‘নিশির ডাক’-এর লেখিকা পারমিতা মুনশির মতে, ‘‘ছোটরা কাহিনিতে রিলিফ আনে। শুটিং করতে না পারায় ওদের সৃজনশীলতার দিকটি অচিরেই চাপা পড়ে যাচ্ছে।’’

শিশুশিল্পীরা আর্টিস্ট ফোরামের আওতায় পড়ে না, যে কারণে অভিভাবকেরা চাইছেন, শিশুশিল্পীদের একটি সংগঠন তৈরি করা হোক। তবে এই মুহূর্তে তাঁদের ইচ্ছে, মাসে দু’-তিনটে দিন শুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হোক। তাতে শিশুদের মন ভাল থাকবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Television Shooting Junior Actor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy