অভিনেত্রী জেনিফার মিস্ত্রী বনসিওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত।
হিন্দি টেলিভিশনের অন্যতম সফল ধারাবাহিক ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’। এক দশকের বেশি সময় ধরে এই সিরিয়াল বিনোদন দিয়ে এসেছে দর্শকদের। এত লম্বা সফরের সবটাই যে ভাল, তা নয়। এই সিরিয়াল জড়িয়েছে একাধিক বিতর্কে। গত মে মাসে এই শো ছাড়তে বাধ্য হন অভিনেত্রী জেনিফার মিস্ত্রী বনসিওয়ালা। টিভির পর্দায় তাঁকে দর্শক চেনেন ‘মিসেস রোশন সোধি’ নামে। সিরিয়াল ছাড়াতেই প্রযোজকদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন অভিনেত্রী। এই ঘটনার পর হইচই পড়ে যায় টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে। তাঁকে নিয়ে কৌতহূল দেখান অনেকেই। এ বার জেনিফার মুখ খুললেন ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’র সেটে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘টানা ২০ দিন এক পোশাক পরেই চলত শুটিং। প্রোডাকশন থেকে কাপড় কাচা হত না। প্রায় সারা দিন ওই পোশাকে শুটিং করায় দুর্গন্ধ হত। আমাদের বাড়ি থেকে কাপড় কেচে আনতে হত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মিলত না খাবার, অপেক্ষা করে থাকতে হত এক বোতল জলের জন্য। সেটে আবার বোতল ছিল একেবারে হাতেগোনা। চাইলে বরং দুর্ব্যবহার করা হত। খাবার ছেড়ে দিন, এক প্যাকেট বিস্কুট পর্যন্ত দিত না।’’ এ ছাড়াও অভিনেত্রীর দাবি, সেটের অন্দেরই ঘুরত আরশোলা, পোশাক দেওয়া হত না শিশুশিল্পীদের।
২০০৬ সালে বিখ্যাত ধারাবাহিক সিআইডি-র একটি পর্বে মুখ দেখিয়ে অভিনয় জগতে যাত্রা শুরু করেন জেনিফার। ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ক্রেজ়ি -৪’ এবং ‘হল্লা বোল’ ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি। ২০০৮ সালেই ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’-তে যোগ দেন জেনিফার। তিনি ধারাবাহিকে রোশন দারুওয়ালা কউর সোধির চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। এর পর থেকে টানা ১৫ বছর ধরে জেনিফার ওই ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত। পরে ধারাবাহিকের প্রযোজক অসিত মোদী, রোহিল রোমানি এবং যতীন বজাজের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে সিরিয়াল ছাড়েন অভিনেত্রী। যদি প্রযোজকরা তাঁর এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন। উল্টে প্রযোজকদের দাবি, সেটে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণেই তাঁকে ধারাবাহিক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এবং তার প্রতিশোধ নিতেই এখন তিনি এই ‘মিথ্যা’ অভিযোগ আনছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy