‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবির বাংলাদেশের চিত্রটা তুলে ধরলেন জয়া। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
২৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে ‘মায়ার জঞ্জাল’। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে মুক্তি এই ছবি। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ছোট গল্প ‘বিষাক্ত প্রেম’ ও ‘শুবালা’ অবলম্বনে নির্মিত এই ছবির পরিচালক ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী। এর আগে পরিচালকের তৈরি ‘ভালবাসার শহর’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল ঋত্বিককে। এই ছবির মাধ্যমে বেশ অনেক বছর বড় পর্দায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম। এ ছাড়াও রয়েছেন সোহেল মণ্ডল, ব্রাত্য বসু ও পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ছবির কথা ইতিমধ্যেই মুখে মুখে ঘুরছে কলকাতার দর্শকের জানান পরিচালক। নাগরিক সমাজের প্রান্তিক মানুষের যাপনের কথা, শ্রমজীবী মানুষের কথাই বলে এই ছবি।
তবে বাংলাদেশে একেবারে অন্য চিত্র।, আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন জয়া আহসান। এমন এক মায়াভরা ছবি নিয়ে এমন নীরবতা সে দেশের দর্শকের মধ্যে, বা সিনেমার জগতের কলাকুশলীর মধ্যে, তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। ছবিটি ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনা হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের দর্শকের মধ্যে তেমন উৎসাহ নেই।
তাঁর কথায়, ‘‘মায়ার জঞ্জাল ছবিটা মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের সিনেমাহলে চলছে। আমাদের দেশে যাঁরা ভাল ছবির জন্য তৃষ্ণার্ত, এমন একটি অপূর্ব ছবি নিয়ে তাঁদের নীরবতায় আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি। ভাল ছবি নিয়ে আমাদের পরিচালক, শিল্পী, কলাকুশলী সরবে কথা বলতে থাকলে তবেই না ভাল ছবির আবহাওয়াটা গড়ে উঠবে, দর্শকদের তৃষ্ণা বাড়বে।’’
এই প্রসঙ্গে ছবির পরিচালক ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আসলে অনেক সময়েই এটা হয়েছে কলকাতায় একটা ছবিকে নিয়ে কথা হলে তবে তা আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও এই মুহূর্তে বাংলাদেশের চিত্রটা সম্পূর্ণ জানা নেই। বাংলাদেষশে ছবির যাবতীয় দায়িত্ব সেখানকার প্রযোজকদের। আসলে এই ছবির প্রচার বলতেই ‘ওয়ার্ড অফ মাউথ’। আমার মনে যেটা কলকাতায় হয়েছে। নন্দনে রবিবার শো হাউসফুল ছিল। টিকিট না পেয়ে দর্শক ফিরে গিয়েছেন।’’ তবে আশাবাদী ইন্দ্রনীল, কলকাতায় যে ভাবে সাড়া পাচ্ছে, এই ছবি তাতে আর কিছু দিনের মধ্যেই বাংলাদেশেও সেই জায়াগা করে নেবে।
তবে শঙ্কা রয়েছে পরিচালকের কথায়, ‘‘এই ছবি আসলে অল্পবয়স্কদের ছবি। একুশ থেকে ত্রিশের কোঠায় যাঁরা, অনেক বেশি একাত্ম হতে পারছেন এই ছবির সঙ্গে। হয়তো সেটা একটা কারণ বাংলাদেশে সে ভাবে দর্শক টানতে না পারার। তবে যে ভাবে কলকাতায় সাড়া পাচ্ছে এই ছবি খুব শীঘ্রই অল্পবয়স্কদের গণ্ডি পেরিয়ে সব বয়সীদের মনে জায়গা করে নেবে এই ছবি। ’’
এই ছবিতে অভিনয় করেননি জয়া। তবে ইন্দ্রনীলের কথায়, ‘‘জয়া এই ছবির শুভানুধ্যায়ী, সেই কারণেই নিজের মত প্রকাশ করেছেন ভাল ছবির সঙ্গে থাকার কথা বলেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy