এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর এক বছরও কাটেনি। এ বার খুনের হুমকি পেলেন তাঁর ছেলে জিশান সিদ্দিকী। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক এবং এনসিপি নেতা জিশানের দাবি, সোমবার তিনি ই মেল মারফত খুনের হুমকি পেয়েছেন। ডি কোম্পানির এক সদস্য এক হুমকিবার্তায় তাঁকে সতর্ক করে বলেছেন, ১০ কোটি টাকা না দিলে তাঁর পরিণতিও তাঁর বাবার মতোই হবে!
এই খবর ছড়াতেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলিউডে। বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুভয় এখনও কাটেনি ভাল করে। এ বার তাঁর ছেলে খুনের হুমকি পাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, সলমন খানের সঙ্গে বন্ধুত্বের খেসারত কি তাঁকেও দিতে হবে? কারণ, দিন দুই আগে সলমন-যোগের কারণে লরেন্স বিশ্নোইয়ের দলের থেকে প্রায় একই ভাবে মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন অভিনেতা অভিনব শুক্ল।
দিন সাতেক আগে নতুন করে খুনের হুমকি পান সলমন খান। তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে সপরিবার খুন করা হবে বলে হুমকি দেন এক ব্যক্তি। পরে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, ময়ঙ্ক পাণ্ডে নামের বছর ছাব্বিশের যুবক হুমকিবার্তাটি পাঠিয়েছিলেন। তিনি রভল গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের মনে হয়েছে, ময়ঙ্ক মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। এর পরেই জিশান হুমকিবার্তা পাওয়ায় স্বস্তিতে নেই কেউই।
“গত তিন দিন ধরে ক্রমাগত হুমকি মেল পাচ্ছি। প্রত্যেকটি মেলে লেখা, ‘১০ কোটি টাকা না দিলে বাবা সিদ্দিকীর মতো তোমাকেও খুন করা হবে।’ প্রেরক নিজেকে ডি কোম্পানির সদস্য বলে দাবি করেছেন। সতর্ক করেছেন, প্রাণ বাঁচাতে যেন কোনও ভাবেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ না করি”, সোমবার সংবাদমাধ্যমকে এ কথা বলেন জিশান।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি জিশান প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ছয় মাস ধরে জিশান সিদ্দিকী একাধিক খুনের হুমকি পেয়েছেন। অধিকাংশ হুমকিবার্তায় মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে প্রশাসনের দাবি, লরেন্স বিশ্নোইয়ের দলীয় সদস্যরাই এই কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। এঁরা বাবা সিদ্দিকীর খুনের সঙ্গেও জড়িত। তাই জিশান প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। খবর, বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে প্রয়াত রাজনৈতিক নেতার ছেলের।
৬৬ বছর বয়সি এনসিপি (অজিত পওয়ার) নেতা বাবা সিদ্দিকী ১২ অক্টোবর, ২০২৪-এ খুন হন। মুম্বইয়ের বান্দ্রা পূর্বে অবস্থিত জিশান সিদ্দিকীর অফিসের বাইরে তিন জন আততায়ী গুলি করে হত্যা করে তাঁকে। তিনিও মৃত্যুর আগে খুনের হুমকি পেয়েছিলেন। সলমন-যোগই যে তাঁর মৃত্যুর কারণ, সে কথা জানাতে ভোলেননি আততায়ীরা।