Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Jamie Lever

কমেডির দুনিয়া শাসন করছেন পুরুষরাই, কী ভাবে জায়গা করছেন জনি লিভারের কন্যা?

কাকা জিমি মোসেস এবং বাবা জনি লিভার শুরুর দিনগুলোতে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। কী ভাবে কৌতুক চিত্রনাট্য লিখতে এবং পরিবেশন করতে হয়, সে ব্যাপারে বাবা এবং কাকাই তাঁকে শিখিয়েছিলেন।

Image of Johny Lever and Jamie Lever.

স্ট্যান্ড আপ কমেডির দুনিয়ার নিজের জায়গা পাকা করতে চাইছেন কৌতুকাভিনেতা জনি লিভারের কন্যা জেমি লিভার। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ ২০:১৫
Share: Save:

স্ট্যান্ড আপ কমেডির দুনিয়ার বেশিটাই পুরুষশাসিত। সেই দুনিয়ায় নানা প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে নিজের জায়গা পাকা করতে চাইছেন কৌতুকাভিনেতা জনি লিভারের কন্যা জেমি লিভার। নিজের কাজে মনোনিবেশ করেছেন তিনি। বাবা এবং কাকার কাছ থেকে পেয়েছেন উপদেশ, পরামর্শ। ‘কমেডি সার্কাস’-এ কাজ করার সময় থেকেই খ্যাতনামীদের মিমিক (নকল) করা শুরু করেন তিনি। তারকাদের ছদ্মবেশ ধারণ করা এই শোয়ের অন্যতম আকর্ষণ ছিল।

জেমির মতে, পুরুষ কৌতুকাভিনেতাদের কাছে মহিলারা মজা বা কৌতুকের বিষয়। এতে শুরুতে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন জেমি। তবে, আত্মবিশ্বাস অর্জন করার পর তিনি নিজেকে কৌতুকশিল্পী হিসাবে প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইনস্টাগ্রামে তাঁর মজার মজার ভিডিয়ো, তারকাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং কণ্ঠস্বরের অনুকরণের ভিডিয়ো জেমির প্রতিভার নজির রেখে চলেছে। অনুরাগীরাও মুগ্ধ হন তাঁর কাজে। তবে, শুরু থেকেই জনি-কন্যাকে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

তাঁর কথায়, “আমি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে আসি, লিঙ্গপরিচয়ের বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে চাইনি। নিজেকে শিল্পী হিসাবেই দেখতাম। পুরুষ প্রতিযোগীদের সঙ্গেও আমায় লড়াই করতে হয়েছে, কিন্তু আমি ছেলে না মেয়ে— এই বিষয়টা আমার কাছে খুব একটা গুরুত্ব পেত না। শিল্পী হিসাবে নিজের পরিসর তৈরি করতে চাইতাম আমি, সেটাই ছিল আমার চ্যালেঞ্জ।”

জেমি আরও বলেন, “ নিজের কোনও ছাপ রেখে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল আমার, সেটাই ছিল প্রেরণা। আমাকে পরবর্তী বড় মহিলা কৌতুকশিল্পী হতে হবে, এমনটা ভাবিনি।”

তাঁর কাকা জিমি মোসেস এবং বাবা জনি লিভার শুরুর দিনগুলোতে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। কী ভাবে কৌতুক চিত্রনাট্য লিখতে এবং পরিবেশন করতে হয়, সে ব্যাপারে বাবা এবং কাকাই তাঁকে শিখিয়েছিলেন বলে জানান জেমি।

তাঁর কথায়, “অনুকরণ করার কাজে আমি অনেক ভিডিয়ো দেখেছি, তারকাদের শরীরী বৈশিষ্ট্য, বাক্‌ভঙ্গি, গলার স্বরের বৈশিষ্ট্য লক্ষ করেছি। এটা আমায় সাহায্য করেছে।”

পুরুষশাসিত ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলা কৌতুকশিল্পীদের ভূমিকা ‘পাঞ্চিং ব্যাগ’-এর মতো বলেই মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, “কৌতুকশিল্পীরা পাঞ্চ লাইনগুলো আমাদের দিকে ছুড়ে দেন, জোক বলতে দেন না। শোয়ের সব মহিলা শিল্পীর সঙ্গেই এমনটা হয়েছে। দশ বছর আগে সাধারণ ধারণা ছিল, মহিলারা মজা করতে পারেন না। কিন্তু ধীরে ধীরে আমি আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করি। আমি বেশি প্রস্তাব না পাওয়ায় কাউকে দোষ দেব না, কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছে আমায়।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE