বাড়ি থেকে নবান্ন যাওয়ার পথে এখনও গানই তাঁর একান্ত সঙ্গী।
মন্ত্রী, বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন আড্ডায় এলে রাজনীতির ফাঁক গলে গান ঢুকে পড়বেই। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা তার সাক্ষী। এক সময়ের পরে ইন্দ্রনীলের শিল্পী সত্তার উপরে সাময়িক ছায়া ফেলেছিল তাঁর রাজনৈতিক সত্তা। স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়েছিল, তিনি কি গানের জগৎ ছেড়ে হাঁটা দিলেন রাজনীতির চড়াই-উতরাইয়ের পথে? এখনও প্রশ্ন জাগে, বাংলা গানের ভবিষ্যত নিয়ে তাঁর কী বক্তব্য?
শিল্পী ইন্দ্রনীল জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে নবান্ন যাওয়ার পথে এখনও গানই তাঁর একান্ত সঙ্গী। তিনি নতুন-পুরনো বাংলা, হিন্দি-- সব ধরনের গান শোনেন গাড়িতে যেতে যেতে। এই প্রজন্মের শিল্পীদের গানও তাঁকে আকর্ষণ করে। কখনও নিজেও গলা ছেড়ে গেয়ে ওঠেন তাঁর পছন্দের গান। ইদানীং মন জুড়ে রয়েছেন রবি ঠাকুর। বিধায়কের কথায়, ‘‘বয়স যত বাড়ছে, রবীন্দ্রনাথের গান গাইতেই যেন বেশি ভাল লাগছে।’’ তার পরেই বাংলা গানের বর্তমান চালচিত্র তুলে ধরতে গিয়ে কিছুটা যেন শঙ্কিত তিনি। ইন্দ্রনীল অকপটে স্বীকার করলেন, ‘‘সুমন চট্টোপাধ্যায়, নচিকেতা, অঞ্জন দত্ত, শিলাজিৎ সহ বহু গায়ক নিজেদের মতো করে বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করেছেন। এখনও নতুন নতুন বাংলা গান হচ্ছে। এখনকার শিল্পীরা গাইছেনও। কিন্তু সব গান শ্রোতাদের কাছে পৌঁছচ্ছে না।’’
এর পরেই লাইভ আড্ডায় মন্ত্রীর আন্তরিক অনুরোধ, আনন্দবাজার অনলাইন এ ক্ষেত্রে অনেকটাই অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে। কী ভাবে? ডিজিটাল দুনিয়ায় ওয়েবসাইটটির জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে এই প্ল্যাটফর্মে সুযোগ করে দেওয়া হোক নতুন শিল্পীকে। তাঁরা এই মঞ্চে গান শোনাবেন। শুনবেন লক্ষ লক্ষ দর্শক-শ্রোতা। তা হলেই বাংলা আধুনিক গানের মরা গাঙে বান ডাকবে। ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে তাঁদের গান। দরকারে তিনি এবং তাঁর মতো জনপ্রিয় শিল্পীরাও এই বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রচারে অংশ নেবেন। তাঁর আশ্বাস, সরকারও হাত গুটিয়ে বসে নেই। বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে। আগামী দিনে পদক্ষেপও করবে। মন্ত্রীর দাবি, যদিও এখনই বিস্তারিত ভাবে বলার সময় আসেনি।
পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ গান-দুনিয়ায় ফিরতেই অনুরাগীরাও অনায়াস। প্রিয় গায়কের কাছে এক অনুরাগী এও জানতে চান, নতুন বাংলা গান বাজানো এফএম বা টিভি চ্যানেল প্রায় বন্ধই করে দিয়েছে। সেখানে হিন্দি গানের রমরমা। এই ঘটনা শিল্পী ইন্দ্রনীল সেনকে পীড়া দেয়? শিল্পী এ বারেও অকপট, ‘‘বেসরকারি চ্যানেলগুলো যখন বাংলা বাদে বাকি সব ভাষায় গান বাজায়, খুব খারাপ লাগে। এই খারাপ লাগা আমার একার নয়। মুখ্যমন্ত্রীও এই দলে রয়েছেন। তিনি তাই কিছু উদ্যোগ নিতে চলেছেন। হয়তো আলোচনায় বসবেনও বেসরকারি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে।’’ তার পরেই তাঁর দাবি, যেহেতু চ্যানেলগুলি বেসরকারি, তাই জোর করে তাদের উপরে কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। ইন্দ্রনীল আরও বলেন, তিনি বা তাঁর দল কোনও ভাবেই প্রাদেশিক নন। সব ভাষার গানই তাঁরা খুশিমনে শোনেন। তার মানে এই নয়, বাংলা বাদ দিয়ে সব ভাষার গান সর্বত্র বাজবে আর তাতেও তাঁরা খুশি হবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy