Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Raj Chakraborty

Raj-Subhashree: নেটমাধ্যম যা খুশি বলুক, আমি আর শুভশ্রী আরও ৪০ বছর থাকব: রাজ

রাজের দাবি, ‘‘দাম্পত্যে নেটমাধ্যমের কোনও জায়গা নেই। আমরা খারাপ মন্তব্য পড়েই দেখি না। পারস্পরিক টান তাই চার বছরে বেড়ে চার গুণ!’’

—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২২ ১৫:৫৬
Share: Save:

২০১৮-এর ১১ মে থেকে ২০২২-এর ১১ মে। রাজ চক্রবর্তী-শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের সাতপাকের বয়স দেখতে দেখতে চার। সকাল থেকে ফুলের তোড়ায় বাড়ি উপচে পড়েছে। তারকা দম্পতির নেটমাধ্যমের মন্তব্য বাক্স পরিপূর্ণ শুভ কামনায়। চার বছর আগের এই দিনটা কেমন ছিল? মনে আছে রাজের? আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল বিধায়ক-প্রযোজক-পরিচালকের সঙ্গে।

রাজের গলায় এ দিন যেন বাড়তি খুশি। ঝটিতি জবাব এল, ‘‘পিছন ফিরে ঘুরে দেখলে মনে হয়, এই তো সে দিন! কত তাড়াতাড়ি চারটে বছর কেটে গেল। চার বছর আগে এই দিনটিকে ঘিরে কত আয়োজন, হুল্লোড়। আত্মীয়, পরিজনের ভিড়। খুব ইচ্ছে, শুভশ্রীকে নিয়ে বর্ধমানের বাওয়ালি রাজবাড়িতে আবারও যাব। আরও এক বার সাতপাকে বাঁধা পড়ব আমরা। আরও ৪০ বছর ওর সঙ্গে এক সঙ্গে কাটাতে চাই।’’ যদিও বুধবার বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে তেমন কোনও আয়োজন নাকি করেননি চক্রবর্তী দম্পতি। রাজের দাবি, সকাল থেকে তিনি এবং শুভশ্রী এক সঙ্গে আগামী ছবি ‘হাবজি গাবজি’-র প্রচারে ব্যস্ত। ৩ জুন মুক্তি পাচ্ছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়-স্যমন্তক দ্যুতি মৈত্র অভিনীত এই ছবি। এই প্রজন্মের বড় সমস্যা মোবাইলে আসক্তির কুফল জায়গা করে নিয়েছে ছবিতে। রাজের উচ্ছ্বাস, ‘‘কত দিন পরে আবার আমার ছবি মুক্তি পেতে চলেছে! কত দিন পরে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে বসে আমাদের কাজ দেখবেন।’’

শুভশ্রী-রাজ

শুভশ্রী-রাজ —নিজস্ব চিত্র।

চারটি বছর কি খুব মসৃণ ছিল? পরিচালকের কথায় স্মৃতির ছোঁয়া, ‘‘চার বছরের দু’বছর অতিমারিতে বাড়িতে বসা। তার মধ্যেই বাবা চলে গিয়েছেন। শুভশ্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। আমার নির্বাচনে জেতা। নিজেও কোভিডে ভুগেছি। আমার সঙ্গে প্রচারে অংশ নিয়ে আমার স্ত্রীও অতিমারিতে আক্রান্ত। তার মধ্যেই ইউভানের জন্ম। সব মিলিয়ে ভাল-মন্দ দুটোই ছিল। সব সময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শুভশ্রী ছিল।’’ রাজের মতে, কখনও শুভশ্রী তাঁর বা পরিবারের কারওর উপরে কোনও কিছু চাপিয়ে দেননি। জোর করেননি। হুকুমের সুরে কথা বলেননি। রাজের মতোই তাঁরও সকলের উপকারের ঝোঁক। তাই চক্রবর্তী পরিবার নায়িকাকে বাড়ির বৌ হিসেবে পেয়ে খুশি।

কর্তা-গিন্নির এই উপকারের ঝোঁক নিয়ে নেটমাধ্যমে নানা মুনির নানা মত। চার বছরে তাই নিয়ে হাল্কা মান-অভিমান তো হয়েইছে? রাজের দাবি, ‘‘আমাদের দাম্পত্যে নেটমাধ্যমের কোনও জায়গা নেই। যে যাঁর মতো করে লিখেছেন বা বলেছেন। আমরা পড়েই দেখিনি। আমাদের মতো করে সংসার করেছি। তাই আবেগ বেড়েছে। নির্ভরতা বেড়েছে। পারস্পরিক টানটাও চার বছরে বেড়ে চার গুণ! এর পরেও কি মান-অভিমান আমাদের মন ভাঙতে পারে?’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy