‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের তৃণা সাহা।
ফের ছন্দে ফিরল স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’। বিয়েটাও টিকে গেল দুই মুখ্য দুই চরিত্র সৌজন্য-গুনগুনের। বিচ্ছেদ-কাগজে সই করার পরেও প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে আবার তাদের সাতপাক। সম্প্রচারিত দৃশ্য বলছে, দ্বিতীয় বিয়ে চুটিয়ে উপভোগ করেছে টিম ‘খড়কুটো’। সমান আনন্দ দর্শকদেরও। প্রিয় ‘সৌগুন’-এর বিচ্ছেদ কিছুতেই মানতে পারছিলেন না তাঁরা।
বিয়ের টুকরো দৃশ্য ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল। ‘সৌজন্য’ ওরফে কৌশিক রায়ের সংলাপও জনপ্রিয়। পাশাপাশি ভাইরাল ‘গুনগুন’ ওরফে তৃণা সাহার দু’টো নাচের ভিডিয়ো। একটিতে ‘গুনগুন’ কনের সাজে নেচেছে তার পর্দার মায়ের সঙ্গে। নেপথ্যে বেজেছে ‘সোহাগ চাঁদ বদনি ধনি নাচ তো দেখি’। অন্যটিতে, জমিয়ে নেচেছেন বাস্তবের তৃণা। মিলনের আনন্দে ‘রিল’ আর ‘রিয়েল’ কি একাকার? আনন্দবাজার অনলাইনকে তৃণা বলেছেন, ‘‘আমরা সব সময় আমাদের কাজ ভীষণ আনন্দ করেই করি। তার উপর দ্বিতীয় বিয়ে। সেই আমেজ ছড়িয়ে দিতে আনন্দের পরিমাণও তাই দ্বিগুণ ছিল।’’
কথাসূত্রে আরও এক রহস্য সামনে এল। অভিনেত্রীর দাবি, তিনি আর তাঁর ‘পর্দার মা’ ওরফে অভিনেত্রী মালবিকা সেন থাঙ্কমণি কুট্টির ছাত্রী। একে অন্যকে অনেক দিন ধরে চেনেন। বহু অনুষ্ঠানে এক সঙ্গে নেচেওছেন। তবে কোনও দিন এক সঙ্গে টিভিতে নাচের অনুষ্ঠান করেননি। সেটাও সেরে নিলেন পর্দার দ্বিতীয় বিয়েকে কেন্দ্র করে। দ্বিতীয় ভিডিয়ো নিয়ে তৃণার মত, বিয়ের দৃশ্য দেখার পরেই বৃহস্পতিবার রিল ভিডিয়ো দেখে অনেকেই ভাবছেন আনন্দে নেচেছেন তিনি। যদিও সেটা নয়।
নাচানাচির পাশাপাশি গুনগুনের প্রকাশ্যে ‘ভালবাসি’ বলাও ভাল লেগেছে অনুরাগীদের। তবে বৌভাতের রাতে সৌজন্যের দাবি, ‘সবটাই মায়া। এই মায়া বড়ই সর্বনেশে!’ কেন এমন বললেন সৌজন্য? বিয়ে কি শুধুই মায়া-য় টেকে? তৃণার মতে, পর্দায় গুনগুনের থেকে অনেকটাই বড় সৌজন্য। তাই হয়তো তার মনে গুনগুনের জন্য ‘মায়া’-ই বেশি। তবে অভিনেত্রী মনে করেন, এক একটি বিয়ের পিছনে এক একটি রসায়ন কাজ করে। কোথাও ভালবাসা থাকে। কোনও বিয়ের ভিত্তি পারস্পরিক নির্ভরতা।
গুনগুন প্রথম বিয়ের সময় ছুটে বর দেখতে এসেছিল। নীল ভট্টাচার্যের সঙ্গে নিজের বিয়ের সময় তৃণা যদিও বাড়ি থেকে এমন কাণ্ড ঘটানোর অনুমতি পাননি। বাস্তবে বিয়ে ভাঙতে ভাঙতে যদি এ ভাবেই জুড়ে যায় তখন কী করবেন তৃণা? রিল ভিডিয়োর মতোই আনন্দে নাচবেন! সঙ্গে সঙ্গে অভিনেত্রী শিউরে উঠলেন, ‘‘এই ধরনের চিন্তা একদম প্রশ্রয় দিই না। নীলের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ভাবতেই পারি না!’’ তাঁর দাবি, বড় ঝড় বয়ে গেল গুনগুনের উপর দিয়ে। তাঁর জীবনে যেন এমন না হয় কখনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy