নিজের দেশে গৃহবন্দি, এমন খবর ছড়িয়েছিল। দীর্ঘ দিন শুটিং থেকেও দূরে ছিলেন তিনি। চঞ্চল চৌধুরী ফের ক্যামেরার মুখোমুখি। গত তিন দিন ধরে আউটডোর শুটিংয়ে ব্যস্ত, আনন্দবাজার অনলাইনকে কথাপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন অভিনেতা। আগামী ইদের জন্য নিজের দেশেরই একটি নাটকের নায়ক তিনি। তখনই তিনি বলেন, “ইদানীং শুটিং খুবই কম করি, মাঝে মধ্যে।”
বৃন্দাবন দাসের লেখা, সকাল আহমেদের পরিচালনায় সাত পর্বের ধারাবাহিক। এক রিকশাচালকের প্রেমের করুণ পরিণতি গল্প এ ধারাবাহিকের পটভূমি। এই নাটকে চঞ্চলের সঙ্গে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর প্রিয় বন্ধু এবং অধিকাংশ ছবি আর নাটকের নায়িকা শাহনাজ় খুশির। সম্প্রতি তিনি পথদুর্ঘটনায় গুরুতর জখম। চঞ্চলের কথায়, “এই নাটকে শাহনাজ খুশির অভিনয়ের কথা ছিল। কিন্তু শুটিং শুরুর আগে দিনই দুর্ঘটনা। কপালে ১০টা সেলাই পড়েছে। চোখ মুখ ফুলে আছে এখনও। গত পরশু দেখতে গিয়েছিলাম। তিন দিন আউটডোরে শুটিং করছি। শনিবার আবার হয়তো দেখতে যাব।” অভিনেত্রীর এই আকস্মিক দুর্ঘটনা দুঃখ দিয়েছে চঞ্চলকে।
আরও পড়ুন:
চঞ্চলের এখনও পর্যন্ত শেষ অভিনয় সম্ভবত সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘পদাতিক’। মুক্তির অপেক্ষায় রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘ব্রিদ’। ছবিটি ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত। এত দীর্ঘ অবসরের পিছনে কোনও বিশেষ কারণ রয়েছে? বাংলাদেশে শুটিংয়ের পরিবেশ কি আগের মতোই স্বাভাবিক? প্রশ্ন ছিল অভিনেতার কাছে।
চঞ্চল দ্বিতীয় প্রশ্নের আগে জবাব দিয়েছেন। জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিনোদন দুনিয়ায় কাজের পরিস্থিতিতে মন্দা চলছে। ফলে, আগের তুলনায় কম কাজ হচ্ছে। কাজ কম করা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “এক সময় প্রচুর কাজ করেছি। এখন, বিশেষ কাজ ছাড়া করতেও ইচ্ছে করে না। শুধু শুধু কাজের সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে নেই। বুঝেশুনে এমন কাজ করতে চাই, যে কাজগুলো বহুদিন থেকে যাবে!”