রানিমা, নোয়া, শোভন-স্বস্তিকা।
সপ্তাহের ৭ দিনই দর্শক মনোরঞ্জনে ব্যস্ত তাঁরা। একটা দিন নিজেদের মতো করে কাটাবেন না ছোট পর্দার বড় তারকারা? ‘দোলের দিন জমিয়ে দিন’— এই আপ্তবাক্য মাথায় রেখে তাই ‘হাউজ পাওরি’তে ব্যস্ত ‘রানিমা’। পরিবারকে সময় দিচ্ছেন ‘ডাক্তার উজান চট্টোপাধ্যায়’। কাটোয়ায় নিজের বাড়িতে দেশের মাটির গন্ধ নিতে ব্যস্ত ‘নোয়া’। দর্শকদের দোলের আন্তরিক শুভেচ্ছায় ‘রোদ্দুর’। ‘রাধিকা’ আজ শিল্পী শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে রং খেলে দুপুরে ভরপেট মাংস-ভাত খাবেন! নামগুলো ধারাবাহিকে অভিনীত চরিত্রের। দিতিপ্রিয়া রায়, স্বস্তিকা দত্ত, শ্রুতি দাস, শন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিক্রম চট্টোপাধ্যায় এখন জনপ্রিয় এই নামেই। দোলের দিন কী করছেন সবাই? আনন্দবাজার ডিজিটাল ফাঁস করল যাবতীয় গোপন কম্ম!
‘রানিমা’ কিন্তু উৎসবের দিনেও ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিদের ছেড়ে থাকতে পারেননি। বাইরে করোনার ভয়। ‘হাউজ পাওরি’ হলে কেমন হয়? আনন্দবাজার ডিজিটালকে দিতিপ্রিয়া বললেন, ‘‘তাহলে নির্ভয়ে আবির খেলা যায়! সে কথা মাথায় রেখেই সহ অভিনেতাদের ডেকে নিয়েছি বাড়িতে।’’ আবির খেলবেন। নাচ-গান হবে। আর থাকবে দুপুরের স্পেশ্যাল ডিশ। সন্ধেয়? ‘‘একটু বিশ্রাম নিয়ে সন্ধে থেকে সপরিবারে ‘সোনার বাংলা’ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান দেখব’’, সাফ কথা ‘রানিমা’র।
দোলের দিন শ্রুতি রিল নয় রিয়েলেও ‘নোয়া’। পরিবারের সঙ্গে নিজের বাড়িতে সময় কাটাতে চলে এসেছেন কাটোয়ায়। জানালেন, ‘‘দোল মানেই দেশের বাড়ি। ২ বছর বোলপুর গিয়েছিলাম। অতিমারির পর থেকে সেখানেও বসন্তোৎসবে দাঁড়ি পড়েছে। তাই ফিরে চল মাটির টানে।’’ শনিবার রাতে বাড়িতে পা রেখেছেন শ্রুতি। রবিবার সকাল-বিকেল স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুষ্ঠানে। শ্রুতির কথায়, ‘‘আমার ২ বেলা নিমন্ত্রণ। মেনু জানি না। তবে বাঙালি খাবারই থাকবে, এ বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।’’ শুধু মনকেমন একটি বিষয় নিয়ে। কী সেটা? কাজের চাপে পাশে নেই স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। আপাতত, নিজেকে ভুলিয়েছেন অভিনেত্রী এই বলে, ‘‘আগামী বছর থেকে সব দোল স্বর্ণর সঙ্গে। একটা বছর হুশ করে উড়ে যাবে।’’
দোলের দিন স্বস্তিকা দত্তের ঘুম ভেঙেছে মায়ের রান্নার গন্ধে! ‘‘দোল বলে কথা। সবাই বাড়িতে। মা-ও জমিয়ে মাংস রাঁধছে’’ ফাঁস করেছেন নিজের মুখে। রং খেলায় শোভন গঙ্গোপাধ্যায়? স্বস্তিকার দাবি, শিল্পীর শো আছে। তাই নিয়েই প্রচণ্ড ব্যস্ত। শোভনকে ফোনে ধরতেই স্পষ্ট জবাব, ‘‘দুপুরে স্বস্তিকার বাড়ি যাব। ওখানে আজ মাংস-ভাত খাওয়াদাওয়া। ওর বাবা ভারী মিষ্টি একটা পিচকিরি এনেছেন। সে সব দিয়ে রং খেলব।’’ দাবি, আড্ডাও হবে কিছুক্ষণ। তার পর বিকেল থেকে যে যার মতো কাজে ব্যস্ত।
দোলে দর্শকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, শন বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি, করোনা সংক্রমণ থেকে ভুগে উঠেছেন শন। তাই দোলে পরিবারের সঙ্গেই থাকবেন। নেট মাধ্যমে সবাইকে নিয়ম মেনে রং খেলার অনুরোধ জানিয়েছেন বিক্রম। মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত বছর এই সময়ে লকডাউন ছিল সারা দেশে। এ বছর লকডাউন নেই। কিন্তু অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল দেশ। তাই উৎযাপনে যেন বাড়তি সাবধানতা থাকে। অভিনেতার কথায়, ‘পরিবারের সঙ্গেই থাকছি। বড় কোনও পার্টিতে নেই। সন্ধেয় হাতেগোনা কয়েক জন বন্ধু আসবেন বাড়িতে। ব্যস এ টুকুই।’ তাঁর আশ্বাস, এ বছর সাবধানে থাকলে আগামী বছরে ফিরে আসবে দোলের পুরনো আনন্দ।
আজ সারাদিন ঘুমের দেশেই কাটাবেন মনামী ঘোষ। দোসের আগের দিন অনেক রাত পর্যন্ত শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। দোলের ছুটিতে পুষিয়ে নেবেন এত খাটাখাটনি! প্রতি বছর কী করেন? হয় নিমন্ত্রণ থাকে। সারা দিন সেখানেই কাটান। নয়তো বাড়িতে সংবাদমাধ্যম আসেন দোলের শ্যুট করতে। দোলেই নতুন বাড়িতে গৃহপ্রবেশ হয়েছিল মনামীর। প্রতি বছর বাড়িতে এই দিন পুজোও হয়। এছাড়া, মায়ের হাতের রান্না তো আছেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy