Harish Kumar Could Not Turn Into A Successful Hero From A Popular Child Artist dgtl
bollywood
শিশুশিল্পী থেকে শ্রীদেবী, গোবিন্দর সহঅভিনেতা, বাড়তি ওজনের জন্যই কি ব্যর্থ হন করিশ্মার প্রথম নায়ক ?
একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার বদলে হরিশ ইন্ডাস্ট্রিতে থেকে গেলেন বহু তারকাখচিত ছবির একজন অভিনেতা হয়েই। ‘চকোলেট বয়’ ভাবমূর্তি থেকেও বেরিয়ে আসতে পারেননি তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২০ ১২:৪১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
বলিউডের ছবিতে হাতেখড়ি মাত্র চার বছর বয়সে। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন হিন্দি ছাড়াও তামিল, তেলুগু, কন্নড় এবং মালয়ালম ছবিতে। পরবর্তী সময়ে তিনি-ই করিশ্মার প্রথম ছবির নায়ক। গোবিন্দর সহনায়ক হয়ে অভিনয় করেছেন বেশ কিছু ছবিতে। তারপরেও ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে গেলেন হরিশ কুমার।
০২১৫
হরিশের জন্ম ১৯৭৫ সালের ১ অগস্ট, হায়দরাবাদে। ১৯৭৯ সালে প্রথম অভিনয় ছবিতে। তেলুগু ছবি ‘মুদুল্লা কোদুকু’-তে তাঁকে দেখা গিয়েছিল শ্রীদেবীর ছেলের ভূমিকায়। দু’ বছর দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয়ের পরে তিনি পা রাখেন বলিউডে। ১৯৮১-তে অভিনয় করেন হিন্দি ছবি ‘এক হি ভুল’-এ।
০৩১৫
এরপর ‘অন্ধা কানুন’, ‘জীবনধারা’, ‘সংসার’-সহ বেশ কিছু হিন্দি ছবিতে সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করেন। তাঁর সমসাময়িক শিশুশিল্পীদের মধ্যে অন্য কাউকেই ভাষার ব্যবধান পেরিয়ে এত সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়নি।
০৪১৫
পনেরো বছর বয়সেই মালয়ালম ছবি ‘ডেইজি’-তে সুযোগ নায়ক হিসেবে অভিনয়ের। এরপর ১৯৯১ সালে ‘প্রেম কয়েদী’ ছবিতে বলিউডের নায়ক হিসেবে দেখা গেল তাঁকে। বিপরীতে নায়িকা ছিলেন করিশ্মা কপূর। এটা ছিল তাঁর প্রথম ছবি। কৈশোরের প্রেমকাহিনি ঘিরে তৈরি এই ছবি বক্সঅফিসে ছিল সুপারহিট।
০৫১৫
প্রথম ছবিতেই সাফল্য হরিশকে এনে দিল বলিউডে আরও অভিনয়ের সুযোগ। ১৯৯২ সালে তিনি অভিনয় করলেন ‘তিরঙ্গা’ ছবিতে। ছবির সাফল্য যদিও পেয়েছিলেন রাজকুমার, নানা পটেকরের মতো অভিনেতা। হরিশের মতো তরুণ কুশীলবও দর্শকদের নজর কাড়তে সফল হয়েছিলেন।
০৬১৫
কিন্তু সাফল্যের স্বাদের মধ্যেই এল ব্যর্থতার তিক্ততা। হরিশের বেশ কিছু ছবি পর পর মুখ থুবড়ে পড়ল বক্স অফিসে। ‘জখমোঁ কা হিসাব’, ‘জখমি রুহ’, ‘ক্রান্তি ক্ষেত্র’-র মতো ছবি সাফল্য পায়নি বলিউডে।
০৭১৫
গোবিন্দর সুপারহিট ছবি ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’-এ অভিনয় করেছিলেন হরিশ। গোবিন্দর সঙ্গে তাঁর জুটি পছন্দ ছিল দর্শকদের। তবে একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার বদলে হরিশ ইন্ডাস্ট্রিতে থেকে গেলেন বহু তারকাখচিত ছবির একজন অভিনেতা হয়েই। ‘চকোলেট বয়’ ভাবমূর্তি থেকেও বেরিয়ে আসতে পারেননি তিনি।
০৮১৫
বলিউডের প্রায় সব বড় নায়কের সঙ্গেই অভিনয় করেছেন হরিশ। কিন্তু নিজে কোনওদিন বড় নায়ক হয়ে উঠতে পারেননি। তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে উল্লেখযোগ্য হল ‘দ্য জেন্টলম্যান’, ‘ফুলনদেবী’, ‘ভীষ্ম’, ‘আর্মি’, ‘শপথ’, ‘হিরো নাম্বার ওয়ান’, ‘আন্টি নাম্বার ওয়ান’, ‘ফুল অউর আগ’, ‘ন্যায়দাতা’ এবং ‘বুলন্দি’।
০৯১৫
ইন্ডাস্ট্রি থেকে প্রায়-বিস্মৃত হরিশ আবার ফিরে আসার চেষ্টা করেন প্রযোজক হিসেবে। কিন্তু সেখানেও সাফল্য তাঁর কাছে অধরাই থেকে যায়। প্রায় দশ বছর পরে তিনি অভিনয় করেন ‘নটি অ্যাট ফর্টি’ এবং ‘চার দিন কি চাঁদনি’ ছবিতে। কিন্তু সেখানেও জনপ্রিয়তা পাননি।
১০১৫
ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন, নিজের চেহারার কারণেও বলিউডের কঠোর প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েন হরিশ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ওজন বেড়েই চলেছিল। কোনও ভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে চিত্রনাট্যে নিজের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেন হরিশ।
১১১৫
হরিশকে শেষ বার ছবিতে দেখা গিয়েছে ২০১৭ সালে। তিনি অভিনয় করেছিলেন ‘আ গ্যয়া হিরো’ ছবিতে। কিন্তু এই ছবিও শেষ অবধি নাম লেখায় ব্যর্থতার তালিকায়।
১২১৫
দীর্ঘ কেরিয়ারে শ্রীদেবীর সঙ্গে কুড়িটি ছবিতে কাজ করেছেন হরিশ। কোথাও তিনি শ্রীদেবীর ছেলে। কোনও ছবিতে আবার তাঁকে দেখা গিয়েছে নায়িকার ভাইয়ের ভূমিকায়। শ্রীদেবীকে দেখে অভিনয়ের অনেক খুঁটিনাটি শিখেছেন বলে দাবি হরিশের।
১৩১৫
হিন্দি এবং দক্ষিণী, দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই কয়েক দশক কাজ করেছেন হরিশ। মাস্টার হরি পরিচয়ের সঙ্গে যাত্রা শুরু করে পৌঁছেছেন নায়ক হরিশ পর্যন্ত। কিন্তু সুপারস্টার হওয়ার পরিবর্তে তাঁকে খুশি থাকতে হয়েছে পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ হয়েই।
১৪১৫
বলিউডের তুলনায় হরিশের অভিনয় বেশি প্রশংসিত হয়েছে দক্ষিণের ইন্ডাস্ট্রিতে। ১৯৯৬ সালে ‘ওহো না পেল্লান্তা’ ছবির জন্য তিনি বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিলেন। তারও আগে ১৯৮৩-তে শিশুশিল্পী হিসেবে পুরস্কার নিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত এনটি রামরাওয়ের হাত থেকে।
১৫১৫
তবে ভাষা নির্বিশেষে দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই হরিশ কুমার বেশি সাফল্য পেয়েছেন শিশুশিল্পী হিসেবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে গিয়েছেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যাওয়া এই অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিশেষ সক্রিয় নন। ব্যক্তিগত জীবনকেও তিনি রেখেছেন পর্দার আড়ালেই।