কোনও খোঁজ না পেয়ে দিল্লি থেকে কর্ণের দাদা হানিশ এবং মা রীতা মুম্বই চলে যান। অম্বোলি থানায় তাঁরা কর্ণের নিখোঁজ ডায়েরি লেখালেন। কিন্তু অম্বোলি থানার পুলিশ ব্যাপারটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিল না। কর্ণের বাড়ির লোকের অভিযোগ, সেই মুহূর্তে পুলিশ তাঁদের কথায় কান দেয়নি। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করেও দেখেনি বলে অভিযোগ কর্ণের দাদার।
অনুজকুমারের স্বপ্ন ছিল সফল অভিনেতা হওয়ার। তিনি হিন্দি সিনেমাজগতের একজন উঠতি অভিনেতা ছিলেন। সেইখানেই অনুজের আলাপ হয় বিজয় পালান্ডের সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বও হয়। অনুজ বিজয়কে তাঁর বাবার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়াটে হিসাবে থাকতে দেন। কিন্তু অরুণকুমারের এই বিষয়ে সম্মতি ছিল না। এই নিয়ে ছেলে অনুজের সঙ্গে বাবা অরুণকুমারের ঝামেলাও হয়।
তল্লাশি এগোলে পুলিশ জানতে পারে, যে তরুণদের অরুণের বুকে ছুরি মারতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের নাম হল ধনঞ্জয় শিন্দে এবং মনোজ গজকোষ। ১১ এপ্রিল এই দু’জনকে মুম্বইয়ের বান্দ্রা এবং চিপলুন থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি হেফাজতে আসার পর শিন্দে এবং গজকোষ স্বীকার করে নেন যে তাঁরা অরুণকুমারকে হত্যা করেছেন। তাঁরা আরও জানান, কর্ণ কক্করের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাতেও তাঁদেরই হাত রয়েছে। এই সবের মাথা আর কেউ নন, স্বয়ং তাঁদের ‘গুরু’ বিজয় পালান্ডে। জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই উঠে আসে আরও একটি নাম, বিজয়ের স্ত্রী সিমরন সুদ। তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
কর্ণের দাদা পুলিশকে জানান, তিনি তাঁর ভাইয়ের মুখে বহু বার সিমরনের কথা শুনেছিলেন। মুম্বই পুলিশের চার্জশিট অনুসারে, সিমরনই কর্ণের সঙ্গে বিজয়ের পরিচয় করিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। মুম্বই আসার কিছু দিনের মধ্যেই কর্ণ একটি বিলাসবহুল গাড়ি কেনেন। যেটি দেখে বিজয় ভেবেছিলেন কর্ণের প্রচুর টাকা। সেই কারণেই তাঁরা কর্ণকে খুন করেছিলেন। কর্ণকে খুন করে তাঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য।
অন্য দিকে, মুম্বইয়ের নামজাদা ব্যবসায়ী অরুণকুমারের হত্যার নেপথ্যেও ছিল তাঁর সম্পত্তি হাতানোর মতলব। অপরাধ দমন শাখা সূত্রে খবর, অরুণকুমারের ছেলে অনুজ তাঁদের জানিয়েছিলেন যে, তাঁর বাবা ৫০ কোটি টাকার মালিক। অরুণকুমার মারা যাওয়ার পর এই বিপুল সম্পত্তির মালিকানা চলে আসবে অনুজের হাতে। সম্পত্তি হাতানোর লোভেই বিজয় অরুণকুমারকে হত্যা করেন। এই ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসাবে সাজানোর জন্য তাঁর লকারে একটি সুইসাইড নোটও লিখে রেখে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy