১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ। পর পর ১৩টি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে মুম্বই৷ এর পরই বেআইনি ভাবে নাইন এমএম পিস্তল ও একে-ফিফটি সিক্স রাইফেল রাখার অপরাধে টাডা আইনে গ্রেফতার হন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত৷ ২০০৬-এ সঞ্জয় দত্তকে ৬ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় টাডা আদালত৷ ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পান তিনি। ২০১৩ সালে সঞ্জয় দত্তর কারাদণ্ডের মেয়াদ ৬ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছর করে সুপ্রিম কোর্ট৷ ওই বছরেরই ১০ মে সাজা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে সঞ্জয় দত্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। ২০১৩-র ১৬ মে টাডা কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জয় দত্ত৷ শেষ পর্যন্ত সংশোধনাগারে ভাল আচরণের জন্য সঞ্জয়কে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় মহারাষ্ট্র সরকার।
আরও পড়ুন:
সংশোধনাগারে থাকাকালীন ছেলের মুক্তির জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় সঞ্জয়ের বাবা সুনীল দত্তকে। সেই সময় সুনীলের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিন্হা ও প্রযোজক রঞ্জন লালা। বালাসাহেব ঠাকরের আনুকূল্যেই সঞ্জয়ের শাস্তি মকুব হয়েছিল, দাবি শত্রুঘ্নের। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছেন সঞ্জয়। এখন আর প্রদীপ নিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যায় না তাঁকে, আক্ষেপ শত্রুঘ্নের।
সুনীল দত্তের সঙ্গে শত্রুঘ্নের প্রায় পারিবারিক সম্পর্ক। বড় দাদার মতো শ্রদ্ধা করতেন সঞ্জয়ের বাবাকে। সম্প্রতি প্রযোজক রঞ্জন লালার আত্মজীবনী প্রকাশের দিন সঞ্জয়কে নিয়ে খানিক আক্ষেপ করেই বসলেন শত্রুঘ্ন। তাঁর কথায়, ‘‘সঞ্জয় যখন সংশোধনাগারে ছিল তখন প্রতি সন্ধ্যায় আমরা তিন জন বসতাম, আর ভাবতাম কী ভাবে ওকে এই অবস্থা থেকে বার করে আনা যায়। আমরা সকলেই খুব চিন্তায় ও উদ্বেগে থাকতাম। আমাদের সৌভাগ্য, বালাসাহেব ঠাকরের সঙ্গে আলাপ হয়। তিনি সঞ্জয়ের মামলায় অনেক সাহায্য করেছিলেন। মুক্তি পাওয়ার পর সঞ্জয় বালাসাহেবের বাড়ি যায়, আমার বাড়িতে আসে দেখা করতে। এমনকি রঞ্জনের বাড়িতেও গিয়েছিল।’’ যদিও সে সব এখন অতীত। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার করছেন অভিনেতা। ছবিও করেন খুব বেছে। তবে শত্রুঘ্ন বলেন, ‘‘এখন হয়তো সে সব ভুলে গিয়েছে সে। প্রদীপ হাতে খুঁজলেও পাওয়া যায় না তাকে। তবে দোষ দিতে চাই না, নিশ্চয়ই ওর ব্যক্তিগত কিছু কারণ রয়েছে।’’