তারকাজুটির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছিলেন, চলতি বছরেই চারহাত এক হওয়ার কথা ছিল তমন্না এবং বিজয়ের। তার প্রস্তুতিও শুরু করে ফেলেছিলেন দু’জনে। মুম্বই শহরে নাকি নতুন ঠিকানার খোঁজ করছিলেন তমন্না-বিজয়। মুম্বইয়ে বিলাসবহুল আবাসন কেনার পরিকল্পনাও ছিল তাঁদের। শোনা যাচ্ছিল, বিয়ের পর সেই আবাসনেই একসঙ্গে থাকবেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের আগেই সম্পর্কে ছেদ পড়ল তাঁদের।
এক জন দক্ষিণীজগতের প্রথম সারির অভিনেত্রী। পাশাপাশি বলিপাড়ায়ও নাম করে ফেলেছেন। অন্য জন বলিউডের দক্ষ অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম। গোড়ার দিকে সম্পর্ক গোপনে রাখার চেষ্টা করলেও পরে তমন্না এবং বিজয় তা নিয়ে রাখঢাক করতেন না। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যেত। একে অপরের হাতে হাত রেখে ছবিশিকারিদের ক্যামেরায় ধরা দিতেন তাঁরা।
বিজয় জানিয়েছিলেন যে, ‘লাস্ট স্টোরিজ় ২’ ছবির শুটিং শেষ হওয়ার পর একটি পার্টি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই পার্টিতে শুটিং ক্রুয়ের সব সদস্য যেতে পারেননি। শেষে দেখা গিয়েছিল, মাত্র চার জন সেই পার্টিতে হাজির হয়েছেন। বিজয় বলেছিলেন, ‘‘সে দিন-ই আমি বুঝেছিলাম যে, তমন্নার সঙ্গে আরও সময় কাটাতে চাই আমি এবং সেই কথা ওকেও জানানো প্রয়োজন।’’
কয়েক বছর আগে রটনা ছড়িয়েছিল যে, আমেরিকার এক চিকিৎসকের সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তমন্না। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘কখনও অভিনেতা, কখনও ক্রিকেটার, কখনও চিকিৎসক। এ সব শুনলে মনে হয় আমি হাতে থলে নিয়ে বাজারে বেরিয়েছি বর খুঁজব বলে। আমি ভালবাসায় বিশ্বাস করি। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এই ধরনের আজেবাজে কথা ছড়িয়ে পড়লে তা মেনে নিতে পারব না।’’
সম্পর্ক নিয়ে তমন্না বলেছিলেন, ‘‘জীবনে মানুষের আসা-যাওয়া চলতে থাকে। তাঁরা কোনও না কোনও কারণে আমাদের জীবনে আসেন। তাঁদের এই আসা-যাওয়াই আমাদের কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা নিজেদের আরও ভাল করে চিনতে পারি। বিচ্ছেদ হলে যন্ত্রণা হবে। সেই যন্ত্রণা মেনে নিয়ে পরে সেখান থেকে সরেও আসতে হবে। কয়েক বছর পর সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে নিজেরাই হাসব। তবে আমাদের জীবনে এমন এক জন সত্যিই আসে যে আমাদের নিজেদের মতো গ্রহণ করে নেয়। আমরা যেমন ঠিক তেমন ভাবেই আমাদের ভালবাসে। সেই মানুষটার জন্যই অপেক্ষা করতে হয়।’’
তমন্না সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আমার প্রথম সম্পর্ক যখন ভেঙেছিল তখন আমার বয়স কম। সম্পর্ক ভাঙার পর মনে হয়েছিল আমার অনেক কিছু জানার রয়েছে, পাওয়ার রয়েছে। দ্বিতীয় সম্পর্ক পরিণত বয়সে এসে ভাঙে। সেই মানুষটা আমার জন্য সঠিক ছিল না। দীর্ঘকাল তাঁর সঙ্গে কাটানো যেত না। সম্পর্কের প্রথম দু’-এক সপ্তাহে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়, পরে সেই সমস্যাই বড় আকার ধারণ করে। তাই কখনও সেগুলো এড়িয়ে যেতে নেই। সম্পর্কের ক্ষেত্রে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির উপদেশ কখনও নেওয়া উচিত নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy