অনুরাগ-তাপসী
করফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল ‘ফ্যান্টম ফিল্মস’-এর বিরুদ্ধে। অনুরাগ কশ্যপ, তাপসী পান্নু, বিকাশ বহেল-সহ প্রযোজনা সংস্থার আরও কয়েক জন সদস্যের নাম জুড়ল করফাঁকি-বিতর্কে। প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার হিসেব মিলছে না বলে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। এই প্রযোজনা সংস্থার বক্স অফিস থেকে প্রকৃত আয়ের সঙ্গে আয়কর দফতরে পেশ করা আয়ের নথিতে বিস্তর ফারাক নজরে এসেছে আয়কর দফতরের। সেই সঙ্গে শেয়ার লেনদেনে জড়িত অর্থের হিসেবেও কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
‘ফ্যান্টম ফিল্মস’-এর ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে ২০১৮ সালে। কিন্তু প্রায় আড়াই বছর পরে বিপদের সম্মুখীন সেই প্রযোজনা সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। তালিকায় অনুরাগ, তাপসী ছাড়া রয়েছেন বিকাশ বহেল, বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে ও মধু মন্টেনা। কেবল ‘ফ্যান্টম ফিল্মস’ নয়, বুধবার আয়কর দফতরের আধিকারিকরা ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা ‘কোয়ান’ ও ‘এক্সিড’-এও তল্লাশি চালিয়েছেন। তা ছাড়াও ‘রিলায়্যান্স এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপ’-এর প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক শিবাশিস সরকারের বিভিন্ন দফতরেও বুধবার এবং বৃহস্পতিবার তল্লাশি হয়েছে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মুম্বই ও পুণে শহরের প্রায় ৩০টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে বুধবার। জানা গিয়েছে, তল্লাশির সময়ে ব্যাঙ্কের ৭টি লকারের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যার তথ্য ছিল না তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে। পুণে-তে শ্যুটিং করছেন তাপসী ও অনুরাগ। আধিকারিকরা তাঁদেরও সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
আয়কর দফতরের দাবি, আসল আয়ের অঙ্ক কম করে দেখানো হয়েছে। ৩০০ কোটি টাকার হিসেব দিতে পারছেন না সংস্থার কর্মীরা। শেয়ার কেনাবেচার বিনিময় মূল্যের হিসেবেও গোলমাল পাওয়া গিয়েছে। সেই অঙ্কও প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। আয়কর বিভাগ তল্লাশির সময়ে তাপসী পান্নু যে ৫ কোটি টাকা পেয়েছিলেন তার প্রমাণ পেয়েছেন।’’
এই ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছে দেশে। তার প্রমাণ নেটমাধ্যম। দুই পক্ষে ভাগ হয়ে গিয়েছেন নেটাগরিকরা। বিরোধী দলগুলির দাবি, যেহেতু তাপসী, অনুরাগ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করে এসেছেন, তাই তাঁদের ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র এটা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী জানিয়েছেন, যাঁরা কৃষক আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের উপরই এই ধরনের আক্রমণ নেমে এসেছে। যদিও বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে দেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এটা অত্যন্ত বাড়াবাড়ি। তদন্তকারী সংস্থার কাছে যা তথ্য আসে, তার ভিত্তিতে তারা তল্লাশি চালায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এ সব মামলা আদালত অবধিও গড়ায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy