তিতলি আইচ এবং ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়
‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিক। ইতু ও সার্থক গল্পের বউ ও বর। তিতলি আইচ এবং ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়। জবার মতোই ইতুও গৃহকর্মী থেকে হয়ে উঠেছে বাড়ির বউ। তাহলে কি এই জুটির গল্পও গল্পের নায়িকা-নায়ক জবা-পরমের ছায়া অনুসরণ করবে?
প্রোডিউসার ও কাহিনিকার সুশান্ত দাস আলোকপাত করলেন, “হ্যাঁ, জবার একটা ছায়া ইতু চরিত্রে আছে। সে-ও পড়াশোনা শিখছে, সে-ও জীবনে বড় হবে। সেই জায়গা থেকেই চরিত্রটা এগোচ্ছে। ‘কে আপন কে পর’-এর নায়ক-নায়িকা কিন্তু পরম আর জবা। ডেফিনিটলি ইতুর রোলটা ভাইটাল, জবার ছায়া হিসেবেই সে বড় হচ্ছে এই পরিবারে। আগামী দিনে হয়তো জবার মতোই হয়ে উঠবে। মানুষের ভালও লাগবে আশা করি।”
ডিরেক্টর কমলেশ বিশ্বাস যোগ করলেন, “হ্যাঁ, জবার চরিত্রটা ইতুর মধ্যে রিফ্লেক্ট তো হচ্ছেই। জবা কখনও চায়নি একজন বড়লোকের মেয়ের সঙ্গে নিজের ছেলের বিয়ে দিতে। বউ মানুষটা কী রকম সেটা তার কাছে সবসময় প্রেফারেন্স পেয়েছে। সে চেয়েছে মানুষটা যাতে ভাল হয়। জবা নিজে ইতুকে পড়াচ্ছে। সে চাইছে শিক্ষার দিক থেকেও সে ছেলের উপযুক্ত হয়ে উঠুক।”
পল্লবী এবং তিতলি
জবার চরিত্র ইতুর মধ্যে রিপিট হচ্ছে? ইতু বললেন, “হ্যাঁ। জবার চরিত্রটাই এখন আমি। গল্পে দেখানো হয়েছে জবা বাড়ির কাজের মেয়ে ছিল। পরে বাড়ির ছোট ছেলে পরম জবাকে বিয়ে করেছে। একইভাবে দেখানো হচ্ছে জবার ছেলে সার্থক বাড়ির কাজের মেয়ে ইতুকে বিয়ে করে। জবা প্রথম দিকে একেবারে শান্ত মেয়ে ছিল। এখন প্রতিবাদ করতে শিখেছে। তো ইতু এখনও ওইরকম শান্ত। কেউ কিছু বললেও চুপ করে থাকে। আশা করছি ভবিষ্যতে ইতুকেও স্ট্রং ক্যারেক্টার হিসেবে দেখানো হবে।”
ইতু সমাজের নিচুতলার মেয়ে। জবার ছেলে সার্থক কি নিজের ইচ্ছেয় ইতুকে বিয়ে করেছে? ইন্দ্রনীল উত্তর দিলেন, “ইতুর সঙ্গে বিয়ে সার্থকের ইচ্ছেয় হয়নি। এমন একটা সিচুয়েশন ক্রিয়েট হয়ে গিয়েছিল... মানে, আমি আর ইতু একটা জায়গায় পুজো দিতে গিয়েছিলাম। পুজো দিতে গিয়ে একটা গুন্ডার হাত থেকে পালাতে গিয়ে পথ ভুল হয়েছিল।তো সেখানে গ্রামবাসীরা জোর করে ধরে আমাদের বিয়ে দিয়ে দেয়। প্রথমদিকে সার্থক এই বিয়ের ডেড এগেন্সটে ছিল। এখন মেনে নিয়েছে। সার্থক একজন সায়েনটিস্ট, আর ইতু কাজের মেয়ে। সেজন্যই সার্থক মানতে পারেনি প্রথমে। তাছাড়া সার্থক রিঙ্কিকে (লিজা সরকার) ভালবাসতো তখন।”
সার্থকের প্রাক্তন রিঙ্কি আর ইতুর সঙ্গে বাস্তবে কিছু হচ্ছে? ইন্দ্রনীল বললেন, “না না... হা হা হা... আপাতত কিছু চলছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতু আর আমাকে নিয়ে অনেককিছু বলা হয়েছে। যদিও সেগুলো পুরোপুরি ফেক। অ্যাজ আ পার্সন আমার ক্যারেক্টারের পুরোপুরি অপোজিট আমি। সার্থক সিরিয়াস, ভদ্র, নম্র। আমি ফান টাইপ অব পার্সন। শুটের ফাঁকে প্রচুর ইয়ার্কি ঠাট্টা চলে ওদের দু’জনের সঙ্গে।”
আরও পড়ুন: ১৪ বছর আগের ক্যাটরিনা, ছবি পোস্ট হতেই মুহূর্তে ভাইরাল
সার্থকের সঙ্গে শুটের বাইরে কী চলে? ইতু একচোট হেসেবললেন, “সার্থকের সঙ্গে শুটের বাইরে খুবই ভাল সম্পর্ক। কো-অ্যাক্টর হিসেবে খুবই ভাল। আসলে ইন্দ্রদা প্রচণ্ড স্মার্ট, খুব নলেজেবল। আর আমি যেহেতু এখনও স্টুডেন্ট, সে আমাকে নানান জিনিস শেখায়। ভীষণ ভাল।”
সার্থক ও রিঙ্কির সঙ্গে গল্পের যে সম্পর্ক, বাস্তবের আড্ডায় সে প্রসঙ্গ আসে? ইতু স্বীকার করে নিলেন, “হ্যাঁ। প্রচুর হয়। কখনও হয়তো লিজাকে দেখিয়ে ইন্দ্রদাকে বললাম, ‘ওই যে আমার সতীন আসছে।’ আমি ইন্দ্রদার থেকে অনেক ছোট। তো আমাকে ইন্দ্রদা বলে, ‘অনেক ছোট বউ পেয়েছি।’... হা হা...”
‘কে আপন কে পর’-এর সেটে কলাকুশলীরা
লিজা যোগ করলেন, “গল্পে ইতু ও রিঙ্কির খুব ক্ল্যাশ দেখানো হয়। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা এত ভিডিও পোস্ট করি... বাস্তবে তো আমরা খুব বন্ধু... লোকেরা পাজলড হয়ে যায়। আর ইন্দ্রদা বেস্ট ফ্রেন্ড। আমি রাখি পরাই ইন্দ্রদাকে। তবে মজাও করি। ইতুকে বলি, ‘দ্যাখ, প্রথমে সার্থককে তো রিঙ্কিই ভালবেসেছিল। জবামার জন্যই তুই সার্থকের বউ হয়ে থাকতে পারছিস।’... এসব নানান কিছু বলি আর হাসি... হা হা...।”
আরও পড়ুন:ছবি করার সময় রাজ যে আমার হাজব্যান্ড ভুলে গিয়েছিলাম: শুভশ্রী
বলা যায়, ধারাবাহিকের গল্প সোশ্যাল ট্যাবু ভেঙে দিয়েছে জবা ও পরমের সম্পর্কের ভেতর দিয়ে। এবার ইতু-সার্থক সম্পর্কের পালা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy