কয়েক মাস হল শুরু হয়েছে ‘রাঙা বউ’ সিরিয়াল। অল্প সময়ের মধ্যেই পাখি ওরফে শ্রুতি দাস আর কুশ ওরফে গৌরব রায়চৌধুরীকে যে দর্শক ভালবেসে ফেলেছেন। — নিজস্ব চিত্র।
চারিদিকে লাইট বদলানো হচ্ছে। ক্যামেরার সরানো হচ্ছে। ‘‘এই সময়টুকুই আমাদের একটু বিশ্রাম’’, মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে বলে উঠলেন ইন্দ্রাণী। এই মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা চলছে ‘রাঙা বউ’ সিরিয়ালে। কুশের বোনের বিয়ে হচ্ছে পঞ্জাবির সঙ্গে। তাই নিয়ে পরিবারে চলছে নাটকীয় সব ঘটনা। অন্য দিকে পাখিকে প্যাঁচে ফেলার চেষ্টায় ইন্দ্রাণী। পর্দায় পাখিকে যতটা সম্ভব হেনস্থা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর বড় জা ইন্দ্রাণী। আর পাখি এক দিকে স্বামী কুশের স্মৃতিভ্রম এবং বাড়ির চক্রান্তে নাজেহাল। ক্যামেরার সামনের গল্পটা অনেকটা এমনই। কিন্তু ক্যামেরার পিছনের গল্পটা কেমন? ফ্লোরে আলো নিভলে পর্দার চরিত্রদের কেমন লাগে? তা জানতেই ‘রাঙা বউ’-এর শুটিংয়ে পৌঁছল আনন্দবাজার অনলাইন।
কয়েক মাস হল শুরু হয়েছে জি বাংলার এই নতুন সিরিয়াল। অল্প সময়ের মধ্যেই পাখি ওরফে শ্রুতি দাস আর কুশ ওরফে গৌরব রায়চৌধুরীকে যে দর্শক ভালবেসে ফেলেছেন, টিআরপি নম্বর সেই আভাসই দেয়। তিন বছর পর আবারও সেই ফ্লোর। সঙ্গে প্রথম সিরিয়ালের নায়ক। শ্রুতির কাছে পুরো বিষয়টাই ঘরে ফেরার মতো। তাঁর কথায়, “ব্যস্ততার মধ্যে কাটছে। খুব ভাল লাগছে। জীবন অনেকটা চাকার মতো। এখন উপলব্ধি করছি, খারাপ সময়টা না এলে এই সময়টার মর্মই বুঝতাম না।”
অন্য দিকে পর্দায় পাখিকে কষ্ট দিয়ে খানিকটা অপরাধবোধেই ভোগে ইন্দ্রাণী। এই চরিত্রেই অভিনয় করছেন স্বর্ণকমল দত্ত। এর আগে তাঁকে বহু ছবিতে নায়িকা হিসাবে দেখেছেন দর্শক। এখন অবশ্য ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ তিনি। নায়িকা থেকে খলনায়িকা। তবে পাখিকে কষ্ট দিলে তাঁর মনে খুব কষ্ট হয়। শুটিংয়ের এক ফাঁকে বললেন, “আমি শট দেওয়ার পর বার বার শ্রুতিকে জিজ্ঞেস করতে থাকি খুব কষ্ট দিলাম, তাই না?”
স্বর্ণকমলের সঙ্গে কাজ করা অবশ্য গৌরবের কাছে অনেকটা স্বপ্নের মতো। গৌরব বলেন, “আমি স্বর্ণদির বড় ভক্ত ছিলাম। তার পর ওঁর সঙ্গে একের পর এক কাজ করছি ভাবলেই ভাল লাগে।” হই হই করে প্রতি দিন শুটিং করেন সবাই। মেকআপ রুমে মাদুর পেতে হয় খাওয়াদাওয়াও। শুটিংয়ের ব্যস্ততার মাঝে ভুতুড়ে কাণ্ডের ঘটনারও উল্লেখ করলেন শ্রুতি। বললেন, “আগেও ত্রিনয়নীর সময় শুনতাম এখানে কিছু আছে। কিন্তু তখন উপলব্ধি করিনি। তবে এ বার বুঝতে পারলাম।’’ বিষয়টা আরও বিশদে ব্যখ্যা করতে শ্রুতি বললেন, ‘‘শুনেছি, বহু বছর আগে এখানে একজন অল্পবয়সি মেয়ে মারা গিয়েছিল। সে নাকি মাঝেমাঝে জানান দেয় যে সে আছে! এক দিন আমরা গল্প করছিলাম। দেখলাম টেবিলে রাখা একটা জিনিস নিজের থেকেই সরে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে! তখনই বুঝলাম কিছু সত্যিই রয়েছে।” গৌরব অবশ্য মৃদু হেসে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ারই চেষ্টা করলেন। বললেন, “না, আমি ভূত দেখিনি। তবে শুনেছি আছে। তবে সে ভাল ভূত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy