সায়ন্তনী
প্র: ‘কর্ণসঙ্গিনী’তে কুন্তীর চরিত্রের জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নিলেন?
উ: মহাভারত যাঁরা পড়েছেন বা দেখেছেন তাঁরা জানেন, কুন্তীর চরিত্রে অনেক স্তর রয়েছে। কুন্তী শুধু রানি নন, তিনি মা এবং স্ত্রীও বটে। কুন্তীর সম্পর্কে সব কিছু জেনে নেওয়াটা জরুরি ছিল। এ ছাড়া নিজের বডি ল্যাঙ্গুয়েজের উপরে অনেক কাজ করেছি। তার পরে ভাষা-উচ্চারণ নিয়ে ওয়র্কশপ করেছি। সত্যবতীর চরিত্র করার সময় থেকেই মাইথোলজি শোয়ের উপরে একটা আলাদা আকর্ষণ তৈরি হয়েছিল। কুন্তীর চরিত্র আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং চরিত্র হতে চলেছে। ‘কর্ণসঙ্গিনী’তে অনেক অজানা ঘটনাও দেখানো হবে।
প্র: বারো বছর মুম্বইয়ে কাটালেন।সফরটা কেমন ছিল?
উ: সেই ২০০৬ সালে মুম্বই এসেছিলাম। ১৪ বছর ধরে অভিনয় করছি। ১৯ বছর বয়সে প্রথম বার ক্যামেরার সামনে আসি। বাংলা টেলিফিল্ম আর ছবি দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। অনেকে জিজ্ঞেস করেন, এখন কেন বাংলা ছবি করি না? তাঁদের একটাই কথা বলতে চাই, বাংলা ছবির প্রস্তাব আসে বা কথাবার্তা হতেই থাকে, কিন্তু আমার বেস এখন মুম্বই। আর এক বার ডেইলি সোপে কাজ শুরু করলে সময় পাওয়া যায় না। গত কয়েক বছরে বাংলা ছবির ধারা বদলেছে। আমি কাজ করতেও ইচ্ছুক।
প্র: অবসরে কী করেন?
উ: রিল্যাক্স করার চেষ্টা করি। মাসাজ বা স্পা করি। এ ছাড়া আমি সিনেমার পোকা। থিয়েটারে গিয়ে ছবি দেখি। অ্যামাজ়ন, নেটফ্লিক্সে প্রচুর শো দেখি। অভিনয়টা যেহেতু নিজে শিখেছি তাই নতুন ছবি, ওয়েব সিরিজ় দেখে শেখার চেষ্টা করি। আর হাতে কিছু দিন সময় পেলে ব্যাগ প্যাক করে কোনও নতুন জায়গায় বেড়াতে চলে যাই। নতুন দেশ ঘুরলে অনেক কিছু শেখা যায় আর নিজেকেও এক্সপ্লোর করা যায়।
প্র: কলকাতায় আসেন?
উ: দু’বছর আগে পর্যন্ত খুব ঘন ঘন যেতাম। বাবা রিটায়ার করার পরে মা-বাবা আমার কাছে বেশি আসতে শুরু করে দেন। আর আমার যাওয়াটা কমে যায়। তবে সুযোগ আর সময় দুটো পেলে কলকাতা যেতে ভালই লাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy