মিম
প্র: কলকাতাকে আপনি কতটা চেনেন আর কলকাতা আপনাকে?
উ: কলকাতাকে চিনি শৈশব থেকে। আমার কাছে কলকাতা মানে ঘুরে বেড়ানো, শপিং করা আর সিনেমা দেখার জায়গা। আগে যেতাম নিউ মার্কেট, এখন যাই কোয়েস্টে। আর কলকাতা আমাকে কতটা চেনে? আজই শপিং করতে গিয়ে বুঝলাম আমাকে অনেকেই চিনতে পেরেছেন। ভাল লাগল। ‘ব্ল্যাক’, ‘ইয়েতি অভিযান’, ‘সুলতান’...তিনটে ছবি তো করে ফেললাম।
প্র: আপনি তো জিতের বড় ভক্ত?
উ: হ্যাঁ। জিৎদার সঙ্গে পরিচয় বাংলাদেশে। ছবির শুটিং করতে জিৎদা গিয়েছিলেন। স্রেফ ওঁকে দেখব বলে শুটিং স্পটে গিয়েছিলাম।
প্র: সুলতান-এ আপনার চরিত্র?
উ: ধনী পরিবারের জেদি মেয়ের। পেশায় আইনজীবী। সুলতানের (জিৎ) প্রেমে পড়ি। সুলতান আমার প্রেমে না পড়ায় আমার জেদ চড়চড় করে বাড়ে। না... আর বলব না। (হাসি) বাকিটা ছবিতে দেখবেন।
প্র: শুটিংয়ের সময় জিৎ আপনাকে নাকি কী একটা ব্যাপার নিয়ে বেশ রাগিয়ে দিতেন?
উ: (হাসিতে মুখ ঢাকলেন) জিৎদা বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করতেন, আমি কারও সঙ্গে প্রেম করি কি না। যত বার বলি আমার বয়ফ্রেন্ড নেই, বিশ্বাস করতেই চায় না।
(প্রতিবেদক ও মিমের কথোপকথন থামিয়ে মিমের মা বললেন, ‘‘সব সময় যদি মা সঙ্গে থাকে তা হলে ছেলেরা আসবে কী করে?’’)
প্র: ব্যাপারটা কী?
উ: ছোট থেকে মা সব সময় আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকেন। স্কুল-কলেজেও! শুটিংয়ে, আউটডোরে মাকে সঙ্গে নিয়ে যাই। মা না থাকলে খুব বোরড লাগে। বাবা ফাঁকা থাকলে, বাবাকেও নিয়ে যাই। তাই মা ওই কথা বললেন।
প্র: মিম আসলে তো বিদ্যা সিনহা সাহা মিম...
উ: ভাল নাম বিদ্যা, ডাক নাম মিম। মায়ের নাম চিত্রা সিনহা সাহা। মায়ের জন্মের পর সেই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী চিত্রা সিনহার নামে নাম রাখা হয়। মামার বাড়ির পদবী কিন্তু সাহা। মায়ের সঙ্গে মিলিয়ে রাখার জন্য আমি ও বোন সিনহা ব্যবহার করি। ছবি করতে এসে লম্বা নাম ছেঁটে মিম হয়ে গেলাম। এখন অফিশিয়ালি ‘সাহা’ বাদ দিয়েছি। শুধু বিদ্যা সিনহা। সবাই ভাবে সিনহা আমার পদবী!
প্র: দুই বঙ্গে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে তুলনা করার মতো কিছু আছে?
উ: ক্যামেরার কাজ, স্ক্রিপ্ট, পরিচালনায় অমিল নেই। কিন্তু পরিকাঠামো কিছুটা আলাদা। যেমন এখানে ছ’টায় কল টাইম হলে, শুটিং শুরু হয় ছ’টাতেই। কিন্তু বাংলাদেশে সেটা সাতটা-আটটা হয়েই যায়। এখানে আউটডোরে কাজের সময় ভ্যান পাই। ওখানে সে ব্যবস্থা নেই। সেই সময় নিজের গাড়িই ভরসা।
প্র: শুধুই কি হিরোর বিপরীতে, নাকি নারীকেন্দ্রিক চরিত্রেও কাজ করবেন?
উ: করেছি তো। ‘জোনাকির আলো’, ‘পদ্মপাতায় জল’ ইত্যাদি। ‘জোনাকির আলো’র জন্য বাংলাদেশে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছি। ‘শেষের কবিতার পরের কবিতা’, ‘সেই মেয়েটা’ ইত্যাদি টেলিভিশন নাটক (সিরিয়াল নয়) ও টেলিফিল্মেও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্রে কাজ করেছি।
প্র: অবসরে কী করেন?
উ: হয় ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ি নয়তো চুটিয়ে সিনেমা দেখি। আর অল্পস্বল্প লিখি। দুটো বইও প্রকাশিত হয়েছে, ‘শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভিজে’ (ছোট গল্পের সংকলন) আর ‘পূর্ণতা’(উপন্যাস)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy