Advertisement
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Interview

‘রাস্তাটা কঠিন, জেনেশুনেই এসেছি’

পরপর ছবি-মুক্তির আগে বললেন ফতিমা সানা শেখ যে কোনও প্রজেক্টের শুটিং অন্তত এক সপ্তাহ হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আমি তা নিয়ে নিশ্চিত হই না।

ফতিমা

ফতিমা

সায়নী ঘটক
শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২০ ০৪:২৫
Share: Save:

প্র: ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায়, সেই সময়ে আপনার একটি ছবি বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে, অন্যটি ওটিটি-তে...

উ: এর চেয়ে খুশির খবর আর হতে পারে না। বাড়িতে বসে বসে ‘সুরজ পে মঙ্গল ভারী’ এবং ‘লুডো’র প্রচার সেরে ফেললাম, এটাও একটা নতুন অভিজ্ঞতা। লকডাউনে শহর থেকে দূরে থাকতে চেয়েছিলাম। এখন ধর্মশালায় বন্ধুর বাড়িতে রয়েছি, এখান থেকেও প্রোমোশন চলছে।

প্র: ‘দঙ্গল’ কিংবা ‘ঠগস অব হিন্দোস্তান’-এ আপনাকে জোরালো চরিত্রে দেখেছেন দর্শক। কমেডি ছবি কি ইচ্ছে করেই বাছলেন?

উ: সে রকম নয়। আমার আগামী দুটো ছবিতেই বড় নাম রয়েছে। সেই টিমের অংশ হতে পারাটাই আমার কাছে জরুরি ছিল। তবে সব সময়ে সব কিছু হাতে থাকে না। অনেক প্রজেক্টের অংশ হয়েও বাদ পড়তে হয়। তাই এখন যে কোনও প্রজেক্টের শুটিং অন্তত এক সপ্তাহ হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আমি তা নিয়ে নিশ্চিত হই না।

প্র: ‘ভূতপুলিশ’ থেকে সদ্য বাদ পড়ার কারণেই কি এটা বলছেন?

উ: এই বাদ পড়ে যাওয়ার বিষয়টা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির খুব চেনা ঘটনা। তাই আমার খারাপ লাগলেও মেনে নিয়েছি।

প্র: শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করা কি পরবর্তীকালে কেরিয়ারে অতিরিক্ত মাইলেজ দিয়েছে আপনাকে?

উ: ‘দঙ্গল’ মুক্তি পাওয়ার পরেও অনেকেই জানতেন না যে, ‘চাচি ৪২০’-এর শিশুশিল্পী আমি। তাই অতিরিক্ত কোনও সুবিধে পাইনি। ছোটবেলায় অভিনয় করাটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল না। মাঝে সব ছেড়েও দিয়েছিলাম। বড় হওয়ার পরে ফের নিজে সিদ্ধান্ত নিলাম, অভিনয়টাই করব। আর সেখান থেকে আসল স্ট্রাগল শুরু হল।

প্র: সেই স্ট্রাগলের শুরুই আমির খানের হাত ধরে। পরপর দুটো ছবি ওঁর সঙ্গে করার পর কি এ বার নিজের মতো করে পায়ের তলার জমি শক্ত করতে চাইছেন?

উ: ‘দঙ্গল’ আমার জীবনটাই পাল্টে দিয়েছিল। এখন ইন্ডাস্ট্রিতে আমার অবস্থান যেখানে, তার নেপথ্যে ওই ছবিটার অবদান রয়েছে। আবার তার পরের ছবি, অর্থাৎ ‘ঠগস...’ ফ্লপ হয়েছিল। কাজেই স্ট্রাগলের কোনও শেষ নেই। ধীর গতিতে এগোচ্ছি, কিন্তু এতেই আমি খুশি।

প্র: ‘নেপোটিজ়ম’ বা ‘ইনসাইডার-আউটসাইডার’ বিতর্ক আপনার কাছে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ?

উ: রাস্তাটা কঠিন জেনেশুনেই তো এসেছি। শেষ পর্যন্ত দর্শক ঠিক করেন কে থাকবে, আর কে নয়। এ নিয়ে এত আগ্রাসী বিতর্ক আমার পছন্দ নয়। এতে ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি হচ্ছে। ইনসাইডার হয়েও অভিষেক বচ্চনকে লড়তে হয়েছে, আবার আউটসাইডার হয়েও মনোজ বাজপেয়ীর মতো অভিনেতা খ্যাতি পেয়েছেন। আমার আগামী দুটো ছবির এই দুই কো-স্টারের সঙ্গেই সবচেয়ে ভাল বন্ধুত্ব হয়েছে আমার। অভিষেকের মধ্যে বন্ধু খুঁজে পেয়েছি, আর মনোজ স্যরের মধ্যে একজন মেন্টরকে। মুশকিলে পড়লেই যখন-তখন ফোন করি ওঁকে।

প্র: ওয়েবে আপনার প্রথম ছবি ‘লুডো’। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রস্তাব পাচ্ছেন?

উ: শিগগিরই একটা সিরিজ় আর একটা ফিল্মের কাজ শুরু করছি। ‘লুডো’ হলে রিলিজ় হওয়ার কথা ছিল, এখন নেটফ্লিক্সে আসছে। সেই অর্থে এটাই আমার ওয়েব ডেবিউ। তবে ছবির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বেশি কিছু বলতে পারব না। আমার ধারণা, কেউই পারবেন না, ছবিতে কী হচ্ছে, সেটা একমাত্র দাদাই (অনুরাগ বসু) জানেন!

অন্য বিষয়গুলি:

Interview Celebrity Interview Fatima Sana Shaikh Ludo
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy