সঞ্জয়
প্রায় ১৩ বছর পর আবার টেলিভিশনের পরদায় অভিনেতা সঞ্জয় কপূর। স্টার প্লাসের নতুন শো ‘দিল সামাল যা জারা’তে সঞ্জয়কে দেখা যাবে এক আদর্শ স্বামী হিসেবে। ধারাবাহিকে তার স্ত্রী অহনা প্রায় মেয়ের বয়সি। সেই চরিত্রটি করছেন স্মৃতি কালরা। এর আগে ‘করিশমা-দ্য মিরাকলস অব ডেসটিনি’তেও অভিনয় করেছিলেন সঞ্জয়।
এত দিন বিরতি নিলেন কেন? ‘‘একটা সময়ে শুধু মহিলাপ্রধান শো বানানো হতো। আমি সে রকম শোয়ের অংশ হতে চাইনি বলে অপেক্ষা করছিলাম,’’ জবাব সঞ্জয়ের। একটু থেমে যোগ করলেন, ‘‘আর একটা বিষয়ে মন খুঁতখুঁত করত। অনেকের ধারণা, ফিল্মের অভিনেতারা টেলিভিশন হ্যান্ডল করতে পারেন না। আমরা ফিল্মেও ১৪-১৫ ঘণ্টা টানা কাজ করি। টিভিতেও তাই করতে হয়। বিক্রম ভট্ট যখন আমাকে চরিত্রটা শোনান, মনে হয়েছিল, এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়। আমার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এই ধারাবাহিকের অামন মাথুরের চরিত্রটা মানানসই।’’
সঞ্জয়ের কেরিয়ার শুরু বড় পরদায় অভিনয় দিয়ে। তবে মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে ‘রাজা’ ছাড়া তাঁর আর কোনও ছবিই বক্স অফিসে সফল হয়নি। সঞ্জয় ছোট পরদাতেও এসেছেন জনপ্রিয়তার কারণেই। বড় পরদার থেকে টেলিভিশনের বিস্তার যে অনেক বেশি তা মানেন সঞ্জয়ও। ‘‘একটা ভাল ছবি থিয়েটারে মুক্তি পাওয়ার পর যখন টিভিতে আসে, তখন সেই ছবি আরও বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছে যায়।’’
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ছবি প্রযোজনা করেছেন সঞ্জয়। অভিনয় না কি প্রযোজনা— কোনটা বেশি উপভোগ করেন? সঞ্জয়ের জবাব, ‘‘ক্যামেরার সামনে অভিনয়ের একটা আলাদা নেশা আছে। জীবনে যা-ই করি না কেন, অভিনয় আমার রক্তে। ফিল্ম বানাই, কারণ তার মধ্যে আমি প্যাশন খুঁজে পাই। অভিনয়ের খিদে কিন্তু এখনও আছে। সব সময় খুঁজি কোন মাধ্যম থেকে সেরা চরিত্রটা পাব। কোনও আক্ষেপ নেই। তবে অভিনেতা হিসেবে হয়তো আরও একটু বেশি কিছু পাওয়ার ছিল।’’
কপূর পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মও অভিনয়ে এসেছে। তাঁদের সম্পর্কে আপনার কী মত? ‘‘আমাদের বাবা সুরিন্দর কপূরের পর আমি, বনি আর অনিল সিনেমাতেই কাজ করেছি। আমাদের পর অর্জুন, সোনম আর হর্ষবর্ধন কাজ করছে। অর্জুন ভীষণ হার্ডওয়ার্কিং। ওর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুব ভাল। সোনমের সঙ্গে কাজ না করলেও জানি, ও ভাল অভিনেত্রী। হর্ষবর্ধনের এখনও অনেক পথ চলার আছে। আগামী প্রজন্মের জন্য আমি খুবই গর্বিত,’’ মন্তব্য সঞ্জয়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy