বছর দশেক আগের সেই ভাই-বোনেরা। ছবি: ফেসবুক।
‘অপরাজিত’, ‘মা’, ‘রাখি বন্ধন’— তিন ধারাবাহিকের একটাই মিল। তা হল দুষ্টু ভাই-বোনেদের রসায়ন। ২০১১ সালে ‘অপরাজিত’ ধারাবাহিকের হাত ধরে ধারাবাহিক প্রেমীরা পেয়েছিল দুই মিষ্টি খুদে ভাই-বোনকে। তিতলি আর পিকু। যে চরিত্রে দর্শক দেখেছিলেন দিতিপ্রিয়া রায় এবং সোহম বসু রায়চৌধুরিকে। প্রায় ১১ বছর কেটে গিয়েছে। মাঝের এতগুলি বছরে তাঁরা বেড়ে উঠেছেন নিজেদের মতো। দিতিপ্রিয়া বর্তমানে টলিপাড়ার জনপ্রিয় মুখ। সোহমকেও এখন বিভিন্ন ছোট পর্দার চরিত্রে দেখেন দর্শক।
‘মা’ ধারাবাহিকও শেষ হয়েছে নয় নয় করে হয়ে গেল আট বছর। ২০০৯ সালে শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিক। বলা যেতে পারে বাংলা টেলিভিশনে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলা ধারাবাহিকগুলির মধ্যে অন্যতম। সেখানেও ঝিলিক আর বিল্টুকে বিপুল ভালবাসা দিয়েছিলেন দর্শক। এত বছরে ঝিলিক ওরফে তিথি বসু পার করে ফেলেছেন কলেজের গণ্ডি। অন্য দিকে বিল্টু ওরফে আয়ুষ দাসকে বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যায় ছোট পর্দায়।
এত বছর পেরিয়ে এখনও পর্দার সেই ভাই-বোনরা কি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখেছেন? শুটিংয়ের ফ্লোরের বাইরে সম্পর্কগুলি আছে না সময়ের সঙ্গে তা ফিকে হয়ে গিয়েছে? ভাইফোঁটার প্রাক্কালে আনন্দবাজার অনলাইন কথা বলল সেই ভাই-বোনেদের সঙ্গে।
দিতিপ্রিয়া এখন প্রতিষ্ঠিত। তবুও সেই ‘অপরাজিত’র দিনগুলি এখনও তাঁর স্মৃতিতে টাটকা। আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী বলেন, “পিকুর সঙ্গে এখনও আমার যোগাযোগ আছে। সময়ের সঙ্গে মোটেই ফিকে হয়ে যায়নি সম্পর্কটা। বরং মজবুত হয়েছে। ও তো আমার ভাই নয়, এখন আমার দাদা হয়ে গিয়েছে। কোনও সমস্যা হলে আমায় মেসেজ করে। কাকিমা এখনও কোনও কিছু জানতে হলে আমার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ফোঁটা পালন করা না হলেও পিকু-তিতলির সম্পর্কটা একই রয়ে গিয়েছে।”
‘মা’ ধারাবাহিকের ঝিলিক এখন এই সব থেকে শত হস্ত দূরে। পড়াশোনা ফিটনেস নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ত। আয়ুষ যদিও ভাল মতো অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছে। সন্দীপ রায়ের ফেলুদাতে নতুন তোপসের চরিত্রে তাঁকেই দেখবেন দর্শক। তিথির কথায়, “অনেকগুলি বছর কেটে গিয়েছে। আমিও বহু দিন অভিনয় জগতে নেই। এখন আর তেমন ভাবে যোগাযোগ রাখা হয় না। তখন দু’জনেই ছোট ছিলাম। খুব মজা হত। আয়ুষও এখন অনেকটা বড়। সেই ভাবে যোগাযোগ নেই আমাদের।”
তিতলি-পিকু, ঝিলিক-বিল্টুর মাঝে ‘রাখি-বন্ধন’-কে কি ভুলে গেলে চলে? ২০১৮-এ দাদা বোনের এক নতুন স্বাদের গল্প দেখেছিলেন দর্শক। সেখানে আবার পিকু ওরফে সোহমকে দর্শক পেয়েছিল বড় দাদার চরিত্রে। দাদা বন্ধন বোন রাখিকে নিয়ে চূড়ান্ত সংরক্ষণশীল। বোনের চরিত্রে দর্শক পেয়েছিলেন কৃত্তিকা চক্রবর্তীকে। এই কয়েক বছরে দাদা বোনের সম্পর্ক ঠিক কোন দিকে এগিয়েছে? আনন্দবাজার অনলাইনকে সোহম বললেন, “রাখির বয়স ছিল তখন চার বছর। আমিও অপরাজিতর সময় ওর বয়সিই ছিলাম। তাই আরও বেশি করে ওকে বুঝতে পারতাম। সেখান থেকেই হয় তো আমাদের সম্পর্কটা তৈরি হয়েছে। এখনও দাদা-বোনের সম্পর্কটা রয়ে গিয়েছে। রোজ কথা হয়তো হয় না। কিন্তু ভালবাসাটা রয়েই গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy