পর্দার ভাইবোনেরা কী করবেন ভাইফোঁটায়? ফাইল চিত্র।
অভিনয় করতে করতে ক্যামেরার সামনের সম্পর্কগুলো কবে যে বাস্তবে পরিণত হয়ে যায় তা বোঝা বেশ কঠিন। প্রতি দিন নিত্যনতুন ধারাবাহিক। আর প্রতি দিন নতুন নতুন সম্পর্কের সৃষ্টি। ভাল বন্ধু, ভাই, বোন আরও কত কত নতুন সম্পর্ক। তেমনই প্রতি দিন টেলিভিশন খুললেই বেশ কিছু এমনই সম্পর্ক চোখে পড়ে। এই যেমন ভাইবোনের মিষ্টি সম্পর্ক।
এই মুহূর্তে বাংলা ছোট পর্দায় একগুচ্ছ ভাইবোন জুটিকে দেখছেন দর্শক। যেমন, ‘লক্ষ্মীকাকিমা সুপারস্টার’ ধারাবাহিকের রিয়া দাস এবং দেবদুলাল দাস। লক্ষ্মীকাকিমা এবং দেবব্রতবাবুর দুই সন্তান। রিয়ার চরিত্রে অনন্যা গুহ এবং দেবদুলালের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অন্য দিকে স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সাহেবের চিঠি’। এই ধারাবাহিকের হাত ধরে দর্শক পেয়েছেন নতুন ভাইবোনের জুটি— সাহেব এবং সারা। যে চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রতীক সেন এবং ঐন্দ্রিলা বসু। পর্দার সামনে সম্পর্কগুলো কি বাস্তবে এমনই? বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটা, এ দিন কি তবে পর্দার ভাইবোনেরাও পালন করবেন এই বিশেষ দিনটা?
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় কৌশাম্বি চক্রবর্তীর সঙ্গে। এই মুহূর্তে ‘মিঠাই’ ধরাবাবাহিকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। মোদক বাড়ির আদরের দিদিয়া। সিদ্ধার্থ, সোম, স্যান্ডি তিন ভাই তাঁর। চার ভাইবোনের মজা, খুনসুটির সাক্ষী দর্শক। তবে পর্দার এই সম্পর্কগুলোকে ফ্লোরের গন্ডির মধ্যে রাখতে চান কৌশাম্বি। তাঁর কথায়, “আমরা সবাই পেশাদার। তাই ক্যামেরার সামনের সম্পর্কগুলোকে পর্দার সামনেই রাখতে চাই। বাস্তবায়িত করার কোনও বাসনা নেই। আমার নিজের দাদা আছে, এবং আরও এক দাদা আছে তাঁদের প্রতি বছর ফোঁটা দিই। সুতরাং সিড, সোম এই চরিত্রদের আলাদা করে ফোঁটা দেওয়ার কোনও ভাবনা নেই।”
অন্য দিকে সাহেব বাস্তবেও সারার দাদাই হয়ে উঠেছেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে সারা ওরফে ঐন্দ্রিলা বললেন, “প্রতীক সত্যিই আমার বড় দাদার মতো। হয়তো ফোঁটা দেব না কিন্তু অনুভূতিটা তেমনই। প্রতিটা দৃশ্যে আমায় খুব সাহায্য করে। কোথাও ভুল হলে তা ধরিয়ে দেয়।”
‘টুম্পা অটোওয়ালি’ ধারাবাহিকে নেহা-আবির জুটিও ইতিমধ্যে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে। যে চরিত্রে দর্শক দেখছেন সায়ন বসু এবং অনীশা চৌধুরিকে। এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই ছোট পর্দায় হাতেখড়ি অনীশার। ফলে এই প্রথম এক নতুন দাদাকে পাওয়ার অনুভূতি। অনীশা বললেন, “আমার এই প্রথম কাজ। ক্যামেরার সামনে যেমন সম্পর্ক। অফস্ক্রিন সম্পর্কটাও আমাদের বেশ মজার। এই কয়েকটা দিনের মধ্যেই সায়নদা আমার খুব ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছে। আমার মনে হয় না সম্পর্কের স্বীকৃতির জন্য আনুষ্ঠানিকতা প্রয়োজন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy