সময়টা কি ভাল যাচ্ছে না এরআর রহমানের! তৈরি হচ্ছে বিতর্ক। ২০২৪ সাল থেকেই সংবাদ শিরোনামে রয়েছেন সুরকার। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ঘোষণা করেছেন বিবাহবিচ্ছেদের কথা। ২৯ বছরের দাম্পত্য কেন হঠাৎ থমকে গেল, আজও তার উত্তর খুঁজে পাননি অনুরাগীরা। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন গানের বিষয় নিয়েও। কিছু দিন আগেই তাঁকে নিশানা করে গায়ক অভিজিৎ বলেছেন, বহু শিল্পী কাজ হারাবেন। ২০২৪ সালে রহমান কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে তৈরি করেছেন একটি গান, যা ব্যবহৃত হয়েছে রজনীকান্তের ছবি ‘লাল সালাম’-এ। এর ভিত্তিতেই শিল্পীদের কাজ হারানোর দাবি করেছেন অভিজিৎ।
এ বার গানের দুনিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে রাশ টানার পক্ষেই সওয়াল করলেন রহমান। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুরকার দাবি করেন, শীঘ্রই এই প্রবণতায় রাশ টানা প্রয়োজন। না হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। তিনি বলেন, “জানি না কী ঘটতে চলেছে। কিছু কিছু গান খুবই খারাপ, অথচ, সেই সব গান জনপ্রিয় গায়কদের কণ্ঠে প্রকাশ পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। না হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।”
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ‘লাল সালাম’ ছবির জন্য রহমান একটি গান তৈরি করেছেন, যেখানে প্রয়াত গায়ক বাম্বা বাক্যা এবং শাহুল হামিদের কণ্ঠ ব্যবহার করেছেন তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য। এ নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। রহমান জানিয়েছেন, প্রয়াত দুই গায়কের পরিবারের সম্মতি নিয়ে, প্রয়োজনীয় সাম্মানিকের বিনিময়েই তাঁদের কণ্ঠ তৈরি করেছেন তিনি যন্ত্রের সাহায্য।
গানের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ প্রসঙ্গে রহমান বলেন, “ভাল-মন্দ দু’টি দিকই রয়েছে। আর ভাল দিকটি কাজে লাগাতে হবে সেই সব মানুষের জন্য যাঁরা তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিকে কাজে লাগানোর সুযোগই পাননি। কিন্তু এর খারাপ দিকটি আমাদের জন্য খুবই খারাপ। যেন অক্সিজেনে বিষ মিশিয়ে শ্বাস নেওয়ার মতো।” রহমান মনে করেন, এ বিষয়ে কড়া নীতি থাকা প্রয়োজন। তাঁর কথায়, “আমাদের সমাজে যেমন কিছু নীতিনৈতিকতা রয়েছে তেমনই সফ্টওয়্যার এবং ডিজিটাল দুনিয়াতেও কিছু নীতি থাকা প্রয়োজন।”