জয়া আহসান।
কেমন আছেন ‘মুখের ব্যায়ামওয়ালা’?
হা হা হা…। ভাল আছি। আপনি ভাল তো?
ভাল আছি। আপনি ‘কণ্ঠ’র ‘মুখের ব্যায়ামওয়ালা’? ট্রেলারে তো তাই দেখলাম।
ঠিকই। আমি ‘মুখের ব্যায়ামওয়ালা’।
মানে? আপনার চরিত্রটা কীসের?
ক্যানসারে আক্রান্ত একটা মানুষ। যার ল্যারিঙ্গস কেড়ে নিয়েছে এই ভয়াবহ রোগ। তাকে নতুন করে কথা বলতে শেখাই আমি। আসলে, যার সাউন্ড বক্সই নেই সে প্রথম থেকেই সেই স্ট্রাগলটা করছে। কিন্তু যার ল্যারিঙ্গস বা সাউন্ড বক্স আছে, সে যখন সেটা বাদ দিয়ে রেখে কথা বলে, তার চ্যালেঞ্জটা আলাদা।
আরও পড়ুন, বিয়ে করেছি, কলকাতায় পরে অনুষ্ঠান করব, মুখ খুললেন শ্রাবন্তী
আপনার তো সাউন্ড বক্স রয়েছে। কিন্তু ছবিতে ওই ভয়েজে কথা বললেন কী করে?
খুবই কঠিন ছিল। চ্যালেঞ্জিং। আমার সাউন্ড বক্স থাকলেও সেটা বাদ দিয়ে কথা বলতে হয়েছে। প্রথমে ভেবেছিলাম হবে কি না, কিন্তু পরে দেখলাম হচ্ছে। পরিচালকরা খুশি আমার কাজে। আমি ওই ভয়েসে কথা বলতে পেরেছি। বাকিটা তো দর্শক বলবে।
এই ছবিতে কি ডাবিংটা বেশি কঠিন ছিল?
না। সেটা বলব না। অভিনয়, ডাবিং দুটোই ডিফিকাল্ট ছিল। আসলে শুটিংয়ের অনেক দিন পরে তো ডাবিং হয়। তখন তো চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসি আমরা। তখন আবার নতুন করে চরিত্রে ঢুকে ডাবিং করাটা বেশ কঠিন ছিল।
আরও পড়ুন, বয়ফ্রেন্ড আছে? মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ‘মিনু’ বলল…
সাউন্ড বক্স বাদ যাওয়ার পরও যাঁরা কথা বলেন, তেমন মানুষদের সঙ্গে দেখা হয়েছে নিশ্চয়ই?
হুম। এই ছবিটা করতে গিয়ে এমন মানুষদের মিট করলাম। সেটা আমার বড় পাওনা। লোকে এদের কথা শুনলে, ভূত বলে। জুজু বলে। কম্পিউটার কথা বলছে কি না, এ রকম বলে। আসলে সাধারণ মানুষের বোঝার কথাও নয়। আমি নিজেও প্রথমে বুঝতে পারিনি। তার পর দেখলাম লড়াই করলে আসলে জেতা যায়। সত্যিই ‘কণ্ঠ’র চরিত্রটা বেশ কঠিন ছিল। এক্সপ্রেসিভ। নর্মাল ভাষায় কথা বলছে না। আমি আবারও বলছি, সাউন্ড বক্স বাদ দিয়ে কথা বলা এত সহজ নয়। প্রথমে ভেবেছিলাম, হায় আল্লা, এটা কী করে করব? কাজটা করার সময় যদি না হয়? কী হবে তা হলে? ফাইনালি এটা ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।
ট্রেলার লঞ্চে শিবপ্রসাদ এবং নন্দিতার সঙ্গে জয়া।
শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটির সঙ্গে আপনি প্রথম কাজ করলেন?
হ্যাঁ, এটা ওঁদের সঙ্গে প্রথম ছবি।
এই জুটির শেষ বেশ কয়েকটা ছবি বক্স অফিসে ভাল রেজাল্ট করেছিল। জানেন?
হ্যাঁ, জানি তো। ওঁদের ‘বেলাশেষে’, ‘প্রাক্তন’, ‘হামি’ দেখেছি। ওঁদের প্যাকেজিং নিয়ে তো দর্শকের আগ্রহ থাকে। কিন্তু অডিয়েন্স হিসেবে বলব, ওঁদের অন্য ছবিগুলোর তুলনায় ‘কণ্ঠ’র লুক অ্যান্ড ফিল আলাদা। এই ছবি ছবির জোরেই হিট হওয়া উচিত। ঘুরে দাঁড়াবার গল্প মানুষ ভালবাসেন। আমরা সব সময় পাই না সেটা। এটা আমাদের গল্প।
আরও পড়ুন, মানুষ হিরোদের চোখে জল দেখতে পছন্দ করে না: প্রসেনজিৎ
অভিনেতা না কি পরিচালক, শিবপ্রসাদকে ভবিষ্যতে আরও বেশি করে কী ভাবে দেখতে চান?
(হাসি) দুটোই চাই। কিন্তু অভিনয়টা আরও বেশি করে করুক চাইব।
পাওলি দামও রয়েছেন এই ছবিতে…
হ্যাঁ, ওঁদের জুটির কত ভাল রোম্যান্টিক সিন রয়েছে। আমার খুব ভাল লেগেছে।
আপনিও তো পাওলির সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন?
হুম। পাওলি ভাল অভিনেতা। আর ভাল অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে সব সময় মজা লাগে। ইটস অল অ্যাবাউট অ্যাকশন অ্যান্ড রিঅ্যাকশন।
সেটে একসঙ্গে দুই নায়িকা ছিলেন। আর ওয়েদার ক্লিয়ার ছিল?
হা হা হা…
‘কণ্ঠ’র লুকে জয়া।
মেঘ জমেনি বলছেন?
এটা অন্যদের ক্ষেত্রে হতে পারে। আমার কখনও হয় না। আসলে ক্যামেরার সামনে তো একটা অন্য জোন। সেখানে অভিনেতারা সেলফিশ হয়। সেখানে কেউ ডিজঅনেস্ট থাকে না বলেই আমার বিশ্বাস।
আর কী কী কাজ আসছে আপনার?
‘ফুড়ুত্’ এর কাজ চলছে। ‘বিউটি সার্কাস’ ঢাকাতে রিলিজ করবে। আর এখানে কৌশিকদার সঙ্গে একটা কাজ হওয়ার কথা আছে।
আরও পড়ুন, ‘আমি বেকার, কারও কাছে পার্ট আছে?’
অভিনয় আর প্রযোজনা দুটোই করছেন। এ বার পরিচালনা করবেন নাকি?
না না। এটা হবে না। অভিনয় নিয়ে হাফ পাগল হয়ে আছি। আর পাগল হতে চাই না।
আপনার সম্পর্ক নিয়ে যে এত জল্পনা… সেটল করবেন কবে?
(হাসি) গসিপ থাকুক না। মজাই লাগে। সেটল তো হতেই হবে। দেখি কী হয়। সময়ই বলবে। তবে যত দিন আরাম করে থাকা যায়। আঙুলে বাঁ হাতে ওই হাতকড়াটা এখনই পরতে চাই না…।
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy