বনি-কৌশানীর ব্যক্তিগত রসায়নের কথা সকলেই জানেন ইন্ডাস্ট্রিতে।
কৌশানীর আগে আপনার কত জন গার্লফ্রেন্ড ছিলেন?
(মুচকি হাসি) কাউন্ট প্রতি বারই ভুল বলি। তবুও কলেজ অবধি, যখন তেমন কোনও কাজ ছিল না, আমার ভালই গার্লফ্রেন্ড ছিল। ৩০-৩৫ জন তো বটেই। না না, ৪০ হবে বোধহয়।
কৌশানী জানেন?
হ্যাঁ, হ্যাঁ। ও জানে। আসলে আমাদের বন্ধুত্বটা অনেক বেশি। ওই লাভি ডাভি কাপল নই আমরা।
একে অপরের নামে প্রচুর কথাও নিশ্চয়ই শুনেছেন আপনারা?
হ্যাঁ, কান ভরার লোক তো প্রচুর আছে। কৌশানীকে গিয়ে হয়তো বলেছে, দেখো বনি ওখানে অমুকের সঙ্গে রোম্যান্স করছে। আমি তাঁদের ধন্যবাদ দেব। তাঁরা আমাদের রিলেশনশিপকেই আরও স্ট্রং করেছেন। ওই যে বললাম, আমরা আগে বন্ধু। যা-ই হোক, কারও কথায় কান না দিয়ে নিজেদের আগে জিজ্ঞেস করি।
আরও পড়ুন, ‘আমার মতো গার্লফ্রেন্ড থাকলে অন্য কোথাও যাওয়ার দরকার হয় না’
‘গার্লফ্রেন্ড’ ছবিটা কেমন?
দুটো আলাদা মানুষ কী ভাবে এক হয়, তাদের মধ্যে যে ভালবাসা, সেটা কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, সেটার গল্প। ছেলেটার বাবা গ্যারেজে কাজ করে। সে পরীক্ষায় ফেল করে। উল্টো দিকে মেয়েটা কোয়ালিটি ফ্যামিলি থেকে বিলং করে, পড়াশোনায় ভাল, ইন্ট্রোভার্ট। দু’জনের সম্পর্কের জার্নিটা খুব সিম্পলি দেখানো হয়েছে। একটা ইমোশনাল লভ স্টোরি।
এর পর আর কী কী কাজ করছেন?
রাজীবদার একটা ছবি। আমি আর ঋত্বিকা। নতুন ছবি। নাম এখনও ঠিক হয়নি।
ঋত্বিকা? মানে ওঁর সঙ্গেই তো এক সময় আপনার সম্পর্কে....
শুনেছেন তো? গসিপ হয়েছে অনেক। আর কী করব বলুন? আমার তো অপশন নেই। দুটোই তো অপশন। মানে নায়িকার। বাকিদের তো দিদি বলে ফেলেছি।
বনি এবং ঋত্বিকা।
আপনাকে অনেক ছোট থেকে সকলে দেখছেন বলেই কি আপনি এখন সকলের ভাই?
হা হা...। সত্যিই, এটা ফ্যাক্ট। যেহেতু অনেক ছোট থেকেই আমাকে সকলে চেনে, তাই একটা ‘বাবু বাবু’ ফিলিং চলে এসেছে। একটা ‘ভাই ভাই’ ব্যাপার। নতুন কোনও নায়িকা না এলে অপশন তৈরি হচ্ছে না...।
আপনার দাদু, বাবা, মা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিখ্যাত মানুষ। আপনিও যখন অভিনয় করতে এলেন, তখন আলাদা কোনও প্রেশার ছিল?
প্রেশার তো ছিলই। আমার বাবা অনুপ সেনগুপ্ত। মা পিয়া সেনগুপ্ত। দাদু সুখেন দাস। ফলে অনেক অসুবিধে হয়েছে। কারণ এ সব ক্ষেত্রে এক্সপেকটেশন বেড়ে যায়। কারণ এমন একটা প্যাকেজ আসছে মানে যেন তার সব কিছু জানা চাই। আমাকে তো প্রথম প্রথম লোকে বলেওছে, তুমি তো সব কিছু শিখে এসেছ। আমি বলেছি দাদা আমি শিখতে এসেছি। শিখে আসিনি। ফলে আমাদের এফর্টটা ডবল দিতে হয়।
আরও পড়ুন, ‘সত্যকাম’-এর মধ্যে কতটা সত্য, আর কতটা কাম? অর্জুন বললেন...
ফিল্মি পরিবার থেকে আসার তো সুবিধেও আছে...
হ্যাঁ, আছে তো। সুবিধেটা হচ্ছে কনট্যাক্টস, সবাইকে চেনা। আর গাইডেন্স। লাইটটা কী ভাবে নিতে হবে, ক্যামেরার লেন্সে কতটুকুর মধ্যে থাকতে হবে সেটা বাবার কাছ থেকে শিখেছি আমি।
‘আমাকে তো প্রথম প্রথম লোকে বলেওছে, তুমি তো সব কিছু শিখে এসেছ’, বললেন বনি।
আচ্ছা, এমন কখনও হয়েছে, বাবা বা মায়ের কোনও ইচ্ছেপূরণের দায়িত্ব রয়েছে আপনার?
দেখুন, বাবা-মা কখনও প্রেশার দেয়নি আমাকে। তবে পাপার একটা ড্রিম প্রজেক্ট আছে বুম্বা আঙ্কলকে নিয়ে। পাপা বলার পর বুম্বা আঙ্কেল ইন্টারেস্টেডও ছিল। কিন্তু পাপা নিজে প্রোডিউস করতে চায়। আমার সে কথাটা মনে আছে। যদি কখনও টাকা পয়সা হয়, সেটা করব আমি।
আরও পড়ুন, ‘সেক্স সিন বিদেশে হলে অসাধারণ, আর আমরা করলে খারাপ!’
বেশ কয়েকটা ছবি হয়ে গেল কেরিয়ারে, ইন্ডাস্ট্রিতে এমন কোনও খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে?
আমি এত দিনে যেটা শিখেছি, ইন্ডাস্ট্রিতে কাউকে নিজের বলে মনে করা যায় না। আমি প্রথম থেকেই মনে করেছিলাম, যাদের সাহায্য পাব ভেবেছিলাম প্রফেশনালি, তারাই বাঁশ দিয়েছিল। তারা এখনও একজিস্ট করে। কিন্তু নাম বলতে পারব না। এটুকু বলতে পারি, যে প্রবলেমের মধ্যে পরেছিলাম, সেটা অহেতুক ছিল। আসলে আর্টিস্টকে কখনও এক জায়গায় বেঁধে রাখা উচিত নয়। হয়তো আমারও ভুল হয়েছিল। হয়তো বা তারা আমাকে নিজের মনে করেছিল বলেই অভিমান হয়েছিল। ওই ঘটনাটা ওপেনলি বলতে পারব না, কিন্তু আমার খারাপ লেগেছিল।
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy