ব্যবসায়ী বাড়ির ছেলে অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত। তাঁকে এই মুহূর্তে অবশ্য দর্শক সূর্য বলেই চেনেন। গত সাড়ে তিন বছর ধরে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে তাঁকে দেখছেন দর্শক। অভিনেতার বাবা স্বর্ণ ব্যবসায়ী। বহু বছরের দোকান তাঁদের। তাই অক্ষয়তৃতীয়ার দিনটি খুবই ঘটা করে পালন করা হয় অভিনেতার বাড়িতে। যদিও এখন কাজের চাপে বাড়ির অনুষ্ঠানে থাকা হয় না দিব্যজ্যোতির। সেই আক্ষেপের কথা আনন্দবাজার ডট কমকে শোনালেন অভিনেতা।
ছোটবেলায় অক্ষয়তৃতীয়ার দিনটা একেবারে অন্য ভাবে কাটত তাঁর। কিন্তু এখন সবটাই বদলে গিয়েছে। দিনে ১৪ ঘণ্টা শুটিংয়ের পর অভিনেতা আর পরিবারকে সে ভাবে সময় দিতে পারেন না। তবে এই দু’দিন তাঁদের বাড়িতে খুবই ব্যস্ততা।
আরও পড়ুন:
দিব্যজ্যোতি বললেন, “অক্ষয়তৃতীয়ার সময় আমাদের বাড়িতে বিশাল আয়োজন হয়। মা-বাবা সবাই খুবই ব্যস্ত থাকেন। দোকানের সামনে বড় প্যান্ডেল করা হয়। ছোটবেলায় তো এই দিনে প্রচুর আইসক্রিম খেতাম। এখন আর সে সব কিছুই হয় না। সময়ই পাই না।” এ দিন তাঁদের দোকানের তরফে ক্রেতাদের বিশেষ উপহার দেওয়া হয়। এ ছাড়াও সকালবেলা ঘটা করে লক্ষ্মী, গণেশপুজো করা হয়। তিনি বলেন, “আশ্রমে ঠাকুর নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিনই আমাদের ঠাকুরের মূর্তি পরিবর্তন করা হয়।” বিকেল থেকেই তাঁদের শো-রুমে উপচে পড়ে ভিড়। অক্ষয়তৃতীয়ার দিনটা তাই ছোটবেলা থেকেই বেশ অন্য রকম ভাবে কাটিয়েছেন দিব্যজ্যোতি।
তবে এখন এই দিনে শুটিং ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। সেই সঙ্গে তাঁর ছবির কাজও আছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে চৈতন্যের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।
- পুরাণ মতে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাস মহাভারতের কাহিনি বর্ণন করতে শুরু করেছিলেন গণেশকে। এ দিন থেকেই শ্রুতিলিখনের কাজ শুরু করেন গণেশ। বৈশাখ মাসের শুক্ল তৃতীয়া তিথিতেই শ্রীক্ষেত্র পুরীতে শুরু হয় জগন্নাথের রথ নির্মাণ।
- বৈশাখ মাসের শুক্ল তৃতীয়া তিথিটিকে অক্ষয় তৃতীয়া হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হিন্দুদের পাশাপাশি জৈন ধর্মাবলম্বীরাও এই দিনটিকে পবিত্র মনে করেন। সৌভাগ্য অক্ষয় হয় এই তিথিতে— এমনই বিশ্বাস। বাঙালি ব্যবসায়ীর কাছে পয়লা বৈশাখের পর এই তিথিতেই হয় বিশেষ উদ্যাপন। দোকানে দোকানে পূজিত হন আরাধ্য দেবতা। মনে করা হয়, এই তিথি যে কোনও দেবতার পুজোর জন্যই প্রশস্ত।
-
রণিতা কি লাখ টাকার সোনা কিনে অক্ষয়তৃতীয়া পালন করলেন?
-
‘আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী, তবে আচার মানি না’, অক্ষয়তৃতীয়ায় কি বিশেষ পুজো করেন লোপামুদ্রা?
-
তখন অবাঙালিদের ধনতেরাস আমাদের অক্ষয়তৃতীয়া! সোনা কেনা, ছবি মহরতের দিন: ইন্দ্রাণী দত্ত
-
কৈশোরে সাদা কাগজের গ্লাসে কমলা রসনা, ওই পানীয় ছাড়া অক্ষয়তৃতীয়াই ফিকে: জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
-
‘কালো রঙের গাড়ি জীবনে কিনিনি’, অক্ষয়তৃতীয়ার শুভ-অশুভ নিয়ে কী জানালেন তৃণা সাহা?