Advertisement
E-Paper

‘আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী, তবে আচার মানি না’, অক্ষয়তৃতীয়ায় কি বিশেষ পুজো করেন লোপামুদ্রা?

মানুষের মনেই ঈশ্বরের বাস, এমনই বিশ্বাস লোপামুদ্রার। তাই অক্ষয়তৃতীয়ায় আলাদা করে নিরামিষ খাওয়ারও কোনও চল নেই তাঁর পরিবারে। আর পাঁচটা দিনের মতোই খাওয়াদাওয়া করেন তাঁরা।

Singer Lopamudra Mitra shares her view on Akshaya Tritiya

অক্ষয়তৃতীয়া নিয়ে কী বললেন লোপামুদ্রা? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২৪
Share
Save

তিনি সঙ্গীতশিল্পী। পাশাপাশি ব্যবসাও সামলান তিনি। সারা বছর দোকান নিয়ে ব্যস্ততায় থাকেন লোপামুদ্রা মিত্র। দোকানে নিজের মতো করে মাঝেমধ্যে পুজোর আয়োজন করেন ঠিকই, তবে অক্ষয়তৃতীয়ার আচার নিয়ে সেই ভাবে কোনও দিন ভাবেননি। তাই দোকানে এ দিন আলাদা করে পুজো হয় না।

আনন্দবাজার ডট কমকে লোপামুদ্রা বলেন, “আমি আসলে আচারে বিশ্বাস করি না। আমার দোকানেও পুজো হয়। তবে নিয়মিত পুজো হয় না। দোকান নিয়ম করেই খোলে। কিন্তু পয়লা বৈশাখ বা অক্ষয় তৃতীয়ায় আলাদা করে পুজো হয় না। যখন আমাদের মনে হয়, তখন আমরা দোকানে সত্যনারায়ণ পুজো করি ও যজ্ঞ করি।”

মানুষের মনেই ঈশ্বরের বাস, এমনই মানেন লোপামুদ্রা। তাই অক্ষয়তৃতীয়ায় আলাদা করে নিরামিষ খাওয়ারও কোনও চল নেই তাঁর পরিবারে। আর পাঁচটা দিনের মতোই খাওয়াদাওয়া করেন তাঁরা। লোপামুদ্রা বলেন, “আমি ঈশ্বরবাদী। ভীষণ ভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস রয়েছে আমার। কিন্তু আমি কোনও আচারে বিশ্বাস করি না।”

তবে কোনও এক অক্ষয়তৃতীয়ায় কেদার-বদ্রী ভ্রমণের স্মৃতি আজও মনে রয়ে গিয়েছে লোপামুদ্রার। তিনি বলেন, “অক্ষয়তৃতীয়ার সময় কেদারনাথ, বদ্রীনাথের মন্দিরগুলো খোলে। আমার এই মন্দির দর্শন করতে ভাল লাগে। তাই প্রতি বছরই মনে হয়, একবার যেতে পারলে খুব ভাল হত। কাজের চাপে আর হয়ে ওঠে না! একবার এই সময়ে গিয়েছিলাম কেদারনাথ-বদ্রীনাথ ভ্রমণে। অক্ষয়তৃতীয়ার দিন আমরা হাঁটা শুরু করেছিলাম।”

সেই অনুভূতি আজও জীবন্ত গায়িকার কাছে। তাঁর কথায়, “সে এক অসাধারণ অনুভূতি। এত ভাল লেগেছিল। দেবভূমি বলা হয়। ঠিকই বলা হয়। ওখানে গেলে মনে হয়, সত্যিই ঈশ্বরের কাছে পৌঁছে গিয়েছি। মনে হয়েছিল, সত্যিই ঈশ্বর এখানেই রয়েছেন।”

অক্ষয়তৃতীয়া বা পয়লা বৈশাখ নিয়ে শৈশবেরও বেশ কিছু সুখস্মৃতি রয়েছে লোপামুদ্রার। তাঁর কথায়, “ছোটবেলায় এই দিনগুলোয় বড়দের সঙ্গে নানা দোকানে যেতাম। গয়নার দোকানে গিয়ে খাওয়াদাওয়া হত। এখন তো বড়রা তেমন কেউই নেই। সেই সব স্মৃতি মনে পড়ে আজও।”

সংক্ষেপে
  • পুরাণ মতে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাস মহাভারতের কাহিনি বর্ণন করতে শুরু করেছিলেন গণেশকে। এ দিন থেকেই শ্রুতিলিখনের কাজ শুরু করেন গণেশ। বৈশাখ মাসের শুক্ল তৃতীয়া তিথিতেই শ্রীক্ষেত্র পুরীতে শুরু হয় জগন্নাথের রথ নির্মাণ।
  • বৈশাখ মাসের শুক্ল তৃতীয়া তিথিটিকে অক্ষয় তৃতীয়া হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হিন্দুদের পাশাপাশি জৈন ধর্মাবলম্বীরাও এই দিনটিকে পবিত্র মনে করেন। সৌভাগ্য অক্ষয় হয় এই তিথিতে— এমনই বিশ্বাস। বাঙালি ব্যবসায়ীর কাছে পয়লা বৈশাখের পর এই তিথিতেই হয় বিশেষ উদ্‌যাপন। দোকানে দোকানে পূজিত হন আরাধ্য দেবতা। মনে করা হয়, এই তিথি যে কোনও দেবতার পুজোর জন্যই প্রশস্ত।
Lopamudra Mitra

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।