দেব ও রুক্মিণী। ছবি: সংগৃহীত।
লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে। বুথফেরত সমীক্ষা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। রাজ্যে শাসকদল ২৯টি আসনে জয়ী। ঘাটাল থেকে বড় ব্যবধানে তৃতীয় বারের জন্য জিতেছেন অভিনেতা-সাংসদ দেব। মঙ্গলবার এক দিকে টেনশন। অন্য দিকে ছবির প্রচার। রাত্রে যখন রুক্মিণী মৈত্রকে ফোনে পাওয়া গেল, তাঁর গলায় তখন প্রবল উচ্ছ্বাস।
মঙ্গলবার রুক্মিণীর সারা দিন কেটেছে তাঁর আসন্ন ছবি ‘বুমেরাং’-এর প্রচারে। কিন্তু তার ফাঁকেই নজর রেখেছিলেন ভোটের গণনার দিকে। রুক্মিণী বললেন, ‘‘আমার মনে হয়, দেশের সকল নাগরিকই এই দিনটায় কাজের ফাঁকে নির্বাচনের ফলাফলের দিকে চোখ রেখেছিলেন। ৪ জুন ভারতের একটা ঐতিহাসিক দিন হিসাবে রয়ে যাবে।’’ একই সঙ্গে রুক্মিণী বললেন, ‘‘নির্বাচনে হার বা জিত লেগেই থাকবে। কিন্তু যাঁরা এই নির্বাচনে লড়েছেন, প্রচণ্ড গরমে প্রচার করেছেন, যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’
গণনার দিন সকাল থেকেই দেব ছিলেন ঘাটালে। আর রুক্মিণী কলকাতায়। তবে জয়ের খবর আসতেই দেবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রুক্মিণী। অভিনেত্রী বললেন, ‘‘এটা আমার দেখা সব থেকে দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচন। সেখানে ৩ মাস দেব নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তার ফলও পেয়েছে। আমি ওর জন্য অত্যন্ত খুশি।’’
তবে দেবের জয় নিয়ে রুক্মিণীর বিশেষ উপলব্ধিও হয়েছে। অভিনেত্রী বললেন, ‘‘দলের এক জন সদস্য হিসাবে তো ও জিতেইছে, পাশাপাশি আমার মনে হচ্ছে, মানুষ হিসাবে দেব আরও বড় আকারে জনতার হৃদয় জিতে নিয়েছে।’’
নির্বাচনে জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক দল নিয়ে মতপার্থক্য থাকে। কিন্তু রুক্মিণীর কথায়, ‘‘কেউ কোনও দলের জয় চাইতেই পারেন, কিন্তু দেবের ক্ষেত্রে আমার মনে হয়, প্রত্যেকেই এক জন ভাল মানুষ হিসাবে ওর জয় চেয়েছিল।’’
মঙ্গলবার ঘাটালের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পরেই রুক্মিণী সমাজমাধ্যমে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাঘের কব্জায় একটি হরিণ। ভুলে গেলে চলবে না, ঘাটালে দেবের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ। রুক্মিণীর পোস্ট করা ছবি দেখে অনুরাগীদের একাংশ বলতে শুরু করেন, দেবকে শুভেচ্ছা জানাতেই রুক্মিণীর ওই পোস্ট। প্রসঙ্গ উঠতেই রুক্মিণী অবশ্য হেঁয়ালি জিইয়ে রাখলেন। হেসে বললেন, ‘‘কেন, খুব দ্রুত ‘বাঘা যতীন’ ছবিটা টিভিতে প্রিমিয়ার হবে। আমি ছবিটার অন্যতম প্রযোজক। সেই জন্যই ছবিটা পোস্ট করেছি।’’
অন্য দিকে রুক্মিণীর পর মঙ্গলবার দেবও সমাজমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বাঘ ও হরিণের বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান। সঙ্গে দেব লেখেন, ‘‘ঠিক আছে... ভালোবাসা ঘৃণার থেকে বড়।’’
প্রশ্ন উঠছে, তাঁরা কি একসঙ্গে আলোচনা করে সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করেন? রুক্মিণী হেসে বললেন, ‘‘না, না! দু’জনেই এতটা ব্যস্ত, অত কিছু ভাবার সময় থাকে না।’’
নির্বাচন শেষ। কিন্তু দেব শহরে ফিরলে কী ভাবে এই জয়কে উদ্যাপন করতে চান রুক্মিণী? অভিনেত্রী হেসে বললেন, ‘‘সত্যিই, এ বার দেবের দিক থেকে আমরা বড় পার্টির অপেক্ষায় রয়েছি। কিন্তু সেটা কবে বা কী ভাবে, তা এখনও জানি না। ও আগে কাজের ব্যস্ততা সামলে নিক। তার পর সকলে মিলে উদ্যাপন করা যাবে।’’
তবে একই সঙ্গে দেবের জন্য অন্য পরামর্শ রয়েছে অভিনেত্রীর। নির্বাচন মিটেছে। তাই রুক্মিণীর ধারণা, এ বার দেব দ্রুত শুটিং ফ্লোরে ফিরবেন। কারণ সেটাও জরুরি।
আগামী শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে রুক্মিণীর নতুন ছবি। তাই অভিনেত্রীর আশা, ‘‘ছবিটা যাতে সফল হয়, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছি। আর ‘বুমেরাং’-এর সাফল্য উদ্যাপনের জন্যও মুখিয়ে রয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy