ছবি: সুপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়
গোটা শুটিং ইউনিটকে সে দিন পাঁচতলা হেঁটে উঠতে হয়েছিল। এমনকি, নায়ক-নায়িকাকেও। এখনকার দিনের ফ্ল্যাট নয়, ব্রিটিশ আমলে তৈরি পেল্লায় ম্যানসন। সকলেই গলদঘর্ম! তার মধ্যেই ‘বিনিসুতোয়’-এর শট নিয়ে চলেছেন পরিচালক অতনু ঘোষ। জয়া আহসান তখন শট দিচ্ছেন। পরের শটের অপেক্ষায় থাকা ঋত্বিক চক্রবর্তী বললেন, ‘‘আমাদের ভাল এক্সারসাইজ় হয়ে গেল!’’
ছবিতে ঋত্বিক-জয়া প্রধান চরিত্রে। অতনুর সঙ্গে ঋত্বিক আগেও কাজ করেছেন। জয়ার এটা প্রথম কাজ। অভিনেত্রী বেশ এক্সাইটেড অতনুর সঙ্গে কাজ করা নিয়ে। সেটে কিন্তু জয়া একেবারে বাধ্য ছাত্রী। ভুলেও স্ক্রিপ্ট হাতছাড়া করেন না। শটের ফাঁকে চশমা এঁটে সমানে চিত্রনাট্য পড়ে চলেছেন। তাঁর চিত্রনাট্যের কপিতে বেশ কিছু নোটও দেখা গেল। প্রশ্নটা করতে লাজুক হেসে বললেন, ‘‘নোটস নয়। নিজের মতো একটু প্রস্তুতি বলতে পারেন।’’
ঋত্বিক কিন্তু সে তুলনায় অনেক শান্ত। মাঝেমধ্যে চিত্রনাট্যে চোখ বোলাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও উঁকি দিচ্ছেন। শুটিংয়ের মাঝেই শহরের আলো-আঁধারির ছবি তুলে পোস্টও করে দিলেন!
অতনুর ছবিতে বরাবরই একটা দর্শন থাকে। এখানেও আছে। ‘‘আপাতদৃষ্টিতে আপনি হয়তো বেশ সুখী। পরিবার নিয়ে দিব্যি আছেন। কিন্তু কোথাও যেন একটা শূন্যতা, একটা খামতি... সেই জায়গা থেকেই আলাদা কিছু করার একটা তাগিদ তৈরি হয়,’’ গল্পের নির্যাস ব্যাখ্যায় বললেন অতনু। এতে বিষয়টা একটু অ্যাবস্ট্রাক্ট মনে হতে পারে। কিন্তু ঋত্বিকের কথায়, ‘‘শুনতে যতটা জটিল মনে হচ্ছে, আসলে ততটা নয়। আমরা যে জীবনটা বাঁচি তার বাইরে একটা জীবন খুঁজতে চাই। আমরা নিজেরা আসলে ঠিক কী, সেটা হয়তো নিজেরাই জানি না।’’
ছবিতে জয়া আর ঋত্বিকের সম্পর্কটা ঠিক কোন খাতে বইছে, তা অভিনেতা বা পরিচালক কেউই স্পষ্ট করতে চাইলেন না। ‘‘একটি রিয়্যালিটি গেম শোয়ের অডিশনে ওদের দেখা হয়। সেখান থেকে ওরা জড়িয়ে পড়ে এবং আরও কিছু ঘটে,’’ এই বলেই দাঁড়ি টানলেন পরিচালক।
ঋত্বিক-জয়া ছাড়াও চান্দ্রেয়ী ঘোষ, খেয়া চট্টোপাধ্যায়, কৃষ্ণকিশোর মুখোপাধ্যায় রয়েছেন। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেম্যাটোগ্রাফার আপ্পু প্রভাকরের এটা প্রথম বাংলা ছবি। পরিচালক জানালেন, আপ্পু নিজেই অতনুর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ছবির গানে সুর দিচ্ছেন দেবজ্যোতি মিশ্র। ‘বিনিসুতোয়’-এ জয়াকে গান গাইতে শোনা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy