পরিচালনায় অনুভব কাঞ্জিলাল। ছবি: সংগৃহীত।
অনুভব কাঞ্জিলাল বড় পর্দায় ফিরছেন। ২০২০-তে তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল। ২০২৪-এ অনুভব সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দোআঁশ’ ছবির নায়ক। সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবন নিয়ে গল্প। অনুভবের বিপরীতে শ্রীতমা দে। মধু সংগ্রাহকের প্রশিক্ষণ নিয়ে জঙ্গলে পা রাখে ‘দিবাকর’ ওরফে অনুভব। দ্বিতীয় দিনে আর ফেরে না সে। কী করবে নায়িকা? এই নিয়েই ছবির গল্প। ছবি মুক্তি ৫ জুলাই। তবে তার আগে অন্য কারণে শিরোনামে অভিনেতা। ছোট পর্দা, বড় পর্দা, সিরিজ়ে অভিনয়ের পর তিনি নাকি পরিচালনায় আসতে চলেছেন। বিশদে জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। অভিনেতা অস্বীকার করেননি। জানিয়েছেন, বরাবর পরিচালনার ইচ্ছে ছিল তাঁর। গত দেড় বছর ধরে তার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ বার ক্যামেরার পিছনে চোখ রাখতে চলেছেন।
অনুভবের বাবা অঞ্জন কাঞ্জিলাল পরিচালনার দুনিয়ায় চেনামুখ। ‘বাপ কা বেটা’ হতেই কি পরিচালনায় আসতে চলেছেন তিনি? অনুভবের দাবি, বাবা পরিচালক তাই ছেলেকেও পরিচালক হতে হবে এমনটা তিনি ভাবেন না। যে দিন বিনোদন দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন সে দিন থেকেই পরিচালনার স্বপ্ন দেখেছেন। একটু একটু করে নিজেকে গুছিয়েছেন। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথে। তাঁর আরও স্বপ্ন, এই প্রজন্মের বিনোদন দুনিয়াকে কৌতুকের মোড়কে পরিবেশন করবেন। বাবা অ়ঞ্জন কাঞ্জিলাল অতীতের মঞ্চজগৎকে তাঁর চর্চিত ছবি ‘সাজঘর’-এ দেখাতে চলেছেন। অনুভবের বিষয় ভাবনাতেও যে বাবার ছায়া! মাঝখানে কেবল যুগের ব্যবধান। অনুভবের পাল্টা যুক্তি, ‘‘বিনোদন দুনিয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে এখনও অনেক কৌতূহল। অভিনেতারা নাকি হাসতে হাসতে আটটা প্রেম, চারটে বিয়ে করতে পারেন! সত্যি কি এতটাই রঙিন আমাদের জীবন?’’ এখনও কেউ ছবিতে অভিনয় করলে শুনতে হয়, ‘সিনেমায় নেমেছে’! আদতে এই পেশা উত্তরণের? নাকি সত্যিই টেনে নামিয়ে ফেলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন? সেটাই খুঁজতে চলেছেন অনুভব।
এই প্রজন্মের গল্প মানেই কি ছবিতে নতুন প্রজন্মের অভিনেতা? হাসিমুখে তাঁর জবাব, ‘‘অনেকের কথা মাথায় আসছে। লোকনাথ দে, সত্যম ভট্টাচার্য, ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে কথা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।’’ কলকাতা আর শহরতলি মিলিয়ে শুটিং হবে। নিজেদের কিংবা বাইরের কোনও প্রযোজনা সংস্থা প্রযোজনার হাল ধরবে। সব ঠিক থাকলে পুজোর আগে পরিচালনায় হাতেখড়ি হবে অনুভবের। আর অভিনয়? এ বার কথায় আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া, ‘‘বছরে একটি করে ছবি করব। বাকি সময় অভিনয়ের জন্য তুলে রাখলাম। ছবি, ছোট পর্দা, সিরিজ়— যে কোনও মাধ্যমে কাজ করতে পারি। বাকিটা সময় বলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy