Advertisement
০১ জুলাই ২০২৪
Swastika Mukherjee Interview

নিজের সঞ্চয়ে মেয়েকে বিদেশে পড়তে পাঠাব, না কি মা বলে সাঁতারের পোশাক নিয়ে ভাবব: স্বস্তিকা

“মেয়েকে বলেছিলাম, এই জামাটা কিনছ ঠিক আছে, কিন্তু ভারতে এই জামা পরে ঘুরে বেড়াতে পারবে না তুমি”, বললেন অভিনেত্রী।

Image of Swastika Mukherjee

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ ১৫:৩৭
Share: Save:

মেয়েকে বড় করে তোলার জন্য কোন মায়ের ভূমিকা জরুরি? সেই মা, যে নিজের সঞ্চয় দিয়ে মেয়েকে বিদেশে পড়তে পাঠানোর সামর্থ্য রাখে, না কি সেই মা, যে সমাজের তৈরি করে দেওয়া সাজপোশাক পরে নিজে ‘ভাল’ সেজে থাকে? আনন্দবাজার অনলাইনের একটি সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।

স্বস্তিকা ও তাঁর মেয়ে অন্বেষাকে একসঙ্গে মানুষ করেছেন স্বস্তিকার মা, গোপা মুখোপাধ্যায়। মায়ের মৃত্যুর পরে বরং ‘সিঙ্গল মাদার’ হন স্বস্তিকা। তাঁর কথায়, “মা চলে যাওয়ার পরে ঘুম ভেঙেছিল, এটা কোন পৃথিবী? এখানে আমাকে সবটা একা করতে হবে।” সময় জীবনে চলার পথ দেখিয়ে দেয়, এমনই মনে করেন অভিনেত্রী। আগামী দিনে কী হবে তা ভেবে বিচলিত হয়ে পড়ে মানুষ। বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল কঠোর বাস্তব। এই প্রসঙ্গে তিনি বললেন, “বাবা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ল, চিকিৎসক বলেছিল বেশি সময় নেই। আমি ভাবনায় পড়ে গিয়েছিলাম, বাবা চলে যাওয়ার পরে কী হবে। কী ভাবে একা থাকব?” তিনি আরও যোগ করলেন, “কিন্তু ঘটনাটি যখন ঘটে গেল, তখন দেখলাম অভ্যাসগুলো বদলে যাচ্ছে।”

সমাজের চোখে স্বস্তিকা নাকি অপদার্থ মা! নিজেকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী। একজন মায়ের কী কী করা উচিত তা নিয়ে সমাজের নানা অলিখিত ফতোয়া রয়েছে। “ভাল মা হওয়ার ধারণা, তাঁর চুল লম্বা হবে। ভাল মা মানে মদ-সিগারেট খাবে না। হাতকাটা ব্লাউজ় পরে না। তারা হয়তো সাঁতার কাটতে গিয়ে সাঁতারের পোশাকও পরে না। জানি না কী পরে তারা! রাতপোশাকের উপর গামছা নিয়ে তো আর সাঁতার কাটতে পারবে না!” একনিশ্বাসে বলে গেলেন স্বস্তিকা। সঙ্গে জানালেন, সমাজের বারণ তাঁর কাছে কখনও বারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। তাঁর মা-বাবাও কোনও দিন তাঁকে বলেননি যে, সমাজের এই সব বারণ তাঁকে মেনে চলতে হবে। সম্প্রতি স্বস্তিকার সুইমস্যুট (সাঁতারের পোশাক) পরা একটি ছবি নিয়ে তোলপাড় হয় সমাজমাধ্যম। কটাক্ষের মুখে পড়েন অভিনেত্রী।

মেয়ের সঙ্গে স্বস্তিকার সম্পর্কে এতটুকু ফাঁক নেই। যে কোনও কথা বলতে পারেন সাবলীল ভাবে। এই প্রসঙ্গে স্বস্তিকার বক্তব্য, “আমার মেয়ে জামা কেনার সময় আমাকে ছবি পাঠায়। আমি বলি এটা ভাল, ওটা খারাপ। কখনও বলি, এই জামাটা কিনছ ঠিক আছে, কিন্তু ভারতে এই জামা পরে ঘুরে বেড়াতে পারবে না তুমি।” শুধুমাত্র মা কী ভাবে দেখছেন, তা নিয়ে সচেতন মেয়ে অন্বেষা। বাকি সমাজের লোক কী ভাবল তা নিয়ে কখনও মাথা ঘামান না। অন্বেষার সমাজমাধ্যমেও খারাপ মন্তব্য আসে। কিন্তু তা একেবারেই আমল দেন না তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, “আমার মেয়ে তো! আমি যদিও বা কিছু বিষয় নিয়ে ভাবি, ও তো লোকজনের খারাপ মন্তব্য নিয়ে একেবারেই ভাবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE