শ্রিয়া
তিনি বিখ্যাত বাবা-মায়ের সন্তান। ডেবিউ ছবিও বাবার পরিচালনাতেই। অথচ ‘নেপোটিজ়ম’ বিতর্ক নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁর। শ্রিয়া পিলগাঁওকর জানালেন, ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে গেলে নিজস্ব প্রতিভাই শেষ কথা বলে। বাবা-মায়ের পরিচিতি নয়।
এখন অবশ্য সচিন-সুপ্রিয়া পিলগাঁওকরের মেয়ে হিসেবে নয়, নিজের কাজের মাধ্যমেই শ্রিয়া পরিচিত ইন্ডাস্ট্রিতে। সদ্য মুক্তি পেয়েছে অনলাইন সিরিজ় ‘দ্য গন গেম’, যার অংশ ছিলেন অভিনেত্রী। পুরো সিরিজ়টিই লকডাউন চলাকালীন শুট করা হয়েছিল। শ্রিয়ার কথায়, ‘‘স্ক্রিপ্ট রিডিং থেকে শুটিং, পুরোটাই ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে করা হয়েছিল। খানিকটা ফোনে, খানিকটা ডিএসএলআরে শুট করেছি। ভার্চুয়াল ওয়র্কশপ, মিটিং করে টেস্ট শুট হত। সেট ডিজ়াইন থেকে মেকআপ, ড্রেস-আপ সবই নিজেরা করেছি। পরিচালক লাইভে নির্দেশনা দিতেন। থ্রিলার হলেও এমন ভাবে স্ক্রিপ্ট লেখা হয়েছিল, যাতে বাড়িতেই শুট করা যায়।’’
এপ্রিলে ‘লকডাউন লাভ’ নামে একটি অনলাইন প্লে-তে কাজ করেছেন। হাতে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি ছবি, যার মধ্যে অপূর্ব লাখিয়ার নির্দেশনায় অ্যাকশন ফিল্ম ‘ক্র্যাকডাউন’, রানা দগ্গুবটীর সঙ্গে ‘হাতি মেরে সাথী’, অনুভব সিংহের পরিচালনায় ‘অভি তো পার্টি শুরু হুই হ্যায়’ ইত্যাদি রয়েছে। ওটিটি-তেও চুটিয়ে কাজ করছেন। প্ল্যাটফর্ম নয়, কনটেন্টই তাঁর কাছে আসল। ‘‘এখন এত কনটেন্টের ভিড়, তার মধ্যে নিজের দিকে আলাদা করে দর্শকের নজর ঘোরানোটাই চ্যালেঞ্জ,’’ মত তাঁর। কয়েকটি ডকুমেন্টারি, শর্ট ফিল্মও তৈরি করেছেন শ্রিয়া। তবে আপাতত অভিনয়েই ফোকাস রাখতে চান। ‘‘কত্থক শেখা আর থিয়েটার শুরু করার পর থেকেই অভিনয়ে আসব ঠিক করি।’’ গ্র্যাজুয়েশনের পরে মেয়েকে মঞ্চে পারফর্ম করতে দেখে সচিনই প্রস্তাব দিয়েছিলেন মরাঠি ছবির। ‘‘বাবা-মেয়ের গল্প নিয়ে ছবি। রিলিজ়ের পর প্রশংসা, পুরস্কার পাই। এটাকে কেউ ‘নেপোটিজ়ম’ বলে ভ্রু কোঁচকাতেই পারেন। আসলে আমরা কারও জার্নি বা স্ট্রাগলের ব্যাপারে না জেনেই তাকে টেনে নামাতে চেষ্টা করি। সচিন-সুপ্রিয়ার মেয়ে বলে কোনও অডিশনে ছাড় পাইনি। লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে, রিজেকশনের সম্মুখীন হতে হয়েছে।’’
বাবা-মায়ের ‘তু তু ম্যায় ম্যায়’ শ্রিয়ার প্রিয় শো। সুপ্রিয়া অভিনীত দূরদর্শনের ধারাবাহিক ‘ক্ষিতিজ ইয়ে নহি’ কিংবা সচিনের ‘কাটিয়ার কালজাট ঘুসালি’ নামের মরাঠি ছবিটিও শ্রিয়ার ফেভারিটের তালিকায় রয়েছে। ‘‘এমন বহু দর্শক আছেন, যাঁরা আমাকে চেনার পরে জানতে পেরেছেন আমার বাবা-মা কারা। এখন কেউ যদি আমার সম্পর্কে বাবা-মায়ের কাছে এসে বলেন, গর্ব হয়,’’ বললেন শ্রিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy