নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর সেই ডার্ক কমেডি ‘আনোয়ার কা আজব কিস্সা’ দুটি উৎসব ছাড়া এখনও মুক্তির অপেক্ষায়!
এ বারে তিনি আদিল হুসেনের বিপরীতে। তিনি কলকাতার মেয়ে, অমৃতা চট্টোপাধ্যায়।
‘সাত খুন মাফ’-সহ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত ছবির সিনেম্যাটোগ্রাফার ও চিত্রপরিচালক রঞ্জন পালিতের নতুন ছবি ‘লর্ড অব দ্য অরফ্যানস্’-এর অন্যতম নায়িকা হচ্ছেন তিনি। বাংলা ও ইংরেজি দ্বিভাষিক এই ছবির গল্প পরিচালকেরই পরিবারকে ঘিরে। যার সময়পটের শুরু দেবী চৌধুরানী যে সময় চন্দননগরের পালিত ঘাটে বজরা ফেলতেন, তখন থেকে।
বাড়ির কর্তা অনাথনাথ পালিত কালাপানি পেরিয়েছেন বলে সমাজচ্যুত। সংসারে গঞ্জনা সইতে না পারায়, যাঁর স্ত্রী মহামায়াকে যোগিনী হয়ে জীবন কাটাতে হয় কোনও এক পরিত্যক্ত মন্দিরে। এঁদেরই সন্তান বীরেন্দ্রনাথ, যাঁকে পরদায় ধরবেন আদিল। তাঁদের বড় মেয়ে নন্দিতার ভূমিকায় অমৃতা। এর পরও কাহিনি গড়ায় পরবর্তী আরও দুই প্রজন্মকে নিয়ে। কিন্তু গল্পের চলনে পরম্পরার বদলে আছে আগুপিছু আসা-যাওয়ার দোলা। বাস্তব থেকে চরিত্ররা স্বপ্নে, নয় ভাবনায় মোলাকাতে যায় ভিন্ন প্রজন্মের মানুষজনের সঙ্গে।
পাশাপাশি অমৃতা অভিনয় করছেন আরও একটি বহুভাষিক সিনেমাতে। যে জন্য তিনি শিখেছেন সিলেটি ভাষা। আর এই ছবিতেও দুটি বলিউডি ছোঁয়া। অমৃতার বিপরীতে আছেন ‘মঙ্গল পাণ্ডে’, ‘তলাশ’-সহ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত ফিল্মের অভিনেতা সুব্রত দত্ত। আর নির্দেশক সঞ্জীব দে। যিনি ছিলেন গোবিন্দ নিহালনির সহযোগী।
ছবির নাম ‘থ্রি স্মোকিং ব্যারেলস’। এক ছবিতে গল্প তিনটি। তিনটি ভিন্ন স্তরের আর্থ-সামাজিক মানুষদের জীবন নিয়ে। গোটাটাই অসমের প্রেক্ষাপটে। তারই একটি গল্পে এক উদ্বাস্তু পরিবারের ঘরের বউ মর্জিনার ভূমিকায় অমৃতা। তার বর মুখতার গাঁজাখোর, মাঠেঘাটের ফসল কিংবা ঘাস তুলে বেচা যার পেশা। মুখতার জড়িয়ে পড়ে কোনও এক অসামাজিক কাজে। গল্পের চোরা বাঁক সেখানেই। মুখতার হয়েছেন সুব্রত। ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ডিসেম্বরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy