অমিতাভ বচ্চন। ফাইল চিত্র।
উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুর হাত থেকে ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’ গ্রহণ করা হল না অমিতাভ বচ্চনের। বর্ষীয়ান অভিনেতা রবিবার টুইটে জানিয়েছেন, তাঁর জ্বর হয়েছে। চিকিৎসক তাঁকে মুম্বই থেকে দিল্লি যাওয়ার অনুমতি দেননি। ফলে সোমবার তিনি জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। এ দিন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ৬৬তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে প্রাপকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপরাষ্ট্রপতি।
নভেম্বর মাসে পঁচিশতম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকতে পারেননি অমিতাভ। সে বারেও তাঁর অনুপস্থিতির কারণ ছিল অসুস্থতা। প্রবীণ কুশীলব কয়েক দিন চিকিৎসাধীনও ছিলেন মুম্বইয়ের নানাবতী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। প্রথমে শোনা গিয়েছিল তিনি লিভারের অসুখে আক্রান্ত। পরে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, তাঁর রুটিন চেক আপ করা হয়।
রীতি অনুযায়ী, প্রাপকের হাতে জাতীয় পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। গত বছর অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অর্ধে কয়েক জনকে পুরস্কৃত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। প্রথম অর্ধে বেশির ভাগ পুরস্কারই প্রাপকদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর।
এ নিয়ে বিতর্কের জল যথেষ্ট ঘোলা হয়েছিল। তারপরেও এ বার কেন উপরাষ্ট্রপতি পুরস্কার দিলেন, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
যুগ্মভাবে সেরা অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা ও ভিকি কৌশল। ছবি:ফেসবুক
এ বছর গত অগস্টে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষিত হয়। সেরা ছায়াছবির পুরস্কার পেয়েছে গুজরাতি ভাষার ছবি ‘হেল্লারো’। ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ ছবির জন্য ভিকি কৌশল এবং ‘অন্ধা ধুন’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে আয়ুষ্মান খুরানা যুগ্ম ভাবে সেরা অভিনেতা বলে বিবেচিত হয়েছেন। তেলুগু ছবি ‘মহানটী’-র জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন কীর্তি সুরেশ।
জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে পুরস্কৃত ফেলুদাকে নিয়ে তথ্যচিত্র। ছবি:ফেসবুক
অন্যান্য বছরের মতো জয়জয়কার না হলেও জাতীয় পুরস্কার মঞ্চে বাংলার হাত এ বার একেবারে শূন্য নয়। ‘উরি’-তে সাউন্ড ডিজাইনার হিসেবে বিশ্বদীপ চট্টোপাধ্যায় আছেন পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায়। ‘পদ্মাবত’ ছবির ‘বিনতে দিল’ গানের জন্য সেরা প্লে ব্যাক গায়ক হয়েছেন অরিজিৎ সিংহ। তবে সরাসরি বাংলার ঘরে পুরস্কার যা এল, তার মধ্যে অন্যতম নবাগত সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়ের স্বীকৃতি। ফেলুদাকে নিয়ে তাঁর ছবি ‘ফিফটি ইয়ার্স অব রে’জ ডিটেক্টটিভ’ পুরস্কৃত বেস্ট ডেবিউ নন ফিচার ফিল্ম বিভাগে। ইতিমধ্যেই দর্শক ও সমালোচক মহলে যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে এই জার্নি ফিল্ম। বাংলা ভাষায় এই প্রথম সাহিত্যের কোনও চরিত্রকে নিয়ে তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্র। এর পাশাপাশি, সংলাপে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছে চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘তারিখ’। ছবির সংলাপ তাঁরই লেখা। সেরা বাংলা ছবি নির্বাচিত হয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘এক যে ছিল রাজা’। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের শর্ট ফিল্ম ‘কেদারা’ পেয়েছে বিশেষ জুরি পুরস্কার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy