Advertisement
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
Celebrity Interview

চার্জশিট নিয়ে এত কাণ্ড! কার সঙ্গে কার জোট আছে কে জানে: অপর্ণা সেন

“‘পরমা’ ছবির প্রদর্শনীতে তিন জন বয়স্ক মহিলা চুপি চুপি এসে আমাকে বলেছিলেন, ‘বেঁচে থাকো মা। তুমি আমাদের কথা বললে’”, বললেন অপর্ণা সেন।

Image of Aparna Sen

আর্থিক প্রয়োজনে অপছন্দের ছবিও করেছেন অপর্ণা সেন। ছবি: সংগৃহীত।

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৭
Share: Save:

সচরাচর খ্যাতনামীরা সাক্ষাৎকারের আগে সাংবাদিকদের নানা ধরনের শর্ত দিয়ে থাকেন। বিশেষত বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রশ্নে বিধিনিষেধ থাকে। অপর্ণা সেন কিন্তু স্রোতের বিপরীতে হাঁটলেন। কোনও শর্ত ছিল না তাঁর তরফে। সুমন ঘোষের পরিচালনায় আসছে তাঁর জীবনীনির্ভর তথ্যচিত্র ‘পরমা’। তার আগে অভিনেত্রী-পরিচালক অপর্ণা সেনের সাক্ষাৎকার আনন্দবাজার অনলাইনে।

প্রশ্ন: সব দিকে ভারসাম্য রেখে এত কিছু একসঙ্গে সামলানো, তা-আবার সেই সময়ে…

অপর্ণা: করে ফেলতাম সে সময়। সংবাদ সংস্থায় চাকরি, অভিনয়ের মহড়া, কত্থকের প্রশিক্ষণ সব একসঙ্গে চলত। গায়ে লাগত না তখন।

প্রশ্ন: মেয়েদের প্রথাগত ভাবে মানুষ করেননি…

অপর্ণা: আমি খুব একটা সময় দিতে পারিনি, বিশেষত বড় মেয়েকে। সেই সময় আমি উপার্জন করতে ব্যস্ত। তাই এখন সেই অভাব পূরণ করার চেষ্টা করি।

প্রশ্ন: সেই সময় পছন্দ নয় এমন ছবিতেও কাজ করেছেন?

অপর্ণা: করতে হয়েছে সংসারের প্রয়োজনে, আর্থিক কারণে। বাণিজ্যিক নাটক শুরুই করলাম এই কারণে যে, মেয়ে দুটোকে মানুষ করতে হবে। একা হাতে মানুষ করেছি মেয়েদের। এমনকি একটা সময় যাত্রা করার ভাবনাও উঁকি দিয়েছিল মনে। কঙ্কনা তখন নিউ ইয়র্কে ফিল্ম স্কুলে সুযোগ পেয়েছে। আমার এই ভাবনার কথা শুনে বলেছিল, “একদম না মা। ভারতে থেকে কি কেউ পড়াশোনা করে না!”

প্রশ্ন: পরিচালক সুমন ঘোষের তথ্যচিত্রে দুই মেয়ের সঙ্গে আপনার সমীকরণ তুলে ধরা হয়েছে…

অপর্ণা: আমার দুই মেয়েই অসাধারণ। আসলে আমি ওদের কখনও বলিনি, আমি আদর্শ। আমার মতো হও। বরং আমি বলেছি এই দেখো এটা আমার দুর্বলতা। এগুলো আমাকে দেখে শেখো, জীবনে কী করা উচিত নয়।

প্রশ্ন: এমন কী ভুল ছিল, যেগুলো এই সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হয় না হলেই ভাল হত?

অপর্ণা: কত কিছু ছিল। আমার মনে হয় আরও বেশি ছবি পরিচালনা করলে ভাল হত। আমার জীবনের আবেগময় দিকগুলিকে প্রাধান্য না দিয়ে যদি কাজের দিকে বেশি নজর দিতাম তা হলে আরও বেশি কাজ করতে পারতাম। ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছি। শেষ পর্যন্ত সেগুলো ঝেড়ে ফেলেছি কিন্তু সময় লেগেছে অনেকটা। মনটা কাঁচা, কোমল ছিল। আমি যদি কাজের মধ্যে আমার সার্থকতা খুঁজতাম তা হলে হয়তো আরও ভাল হত।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

প্রশ্ন: অপর্ণা সেনের সাফল্যের ঝুলি তো সমৃদ্ধ?

অপর্ণা: আমার মেয়েদেরও বলি, সকলের কাছে সাফল্যের সংজ্ঞা ভিন্ন। সংসার জীবনে সাফল্য আসতে পারে, ছেলেমেয়ে সুন্দর করে মানুষ করার ক্ষেত্রে সাফল্য আসতে পারে, বাইরের কাজ ভাল ভাবে করার মধ্যে সাফল্য আসতে পারে। সাফল্যের নানা দিক রয়েছে। এক জনের কাছে যা সাফল্য, অপর জনের কাছে তা না-ও হতে পারে। বড় অঙ্কের উপার্জন মানেই যে সাফল্য, তা কিন্তু নয়। তুমি সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকছ কি না, সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। মেয়েদের বলেছিলাম, এগুলো একটু চিনে নেওয়ার চেষ্টা করো। আমি তো পারিনি।

প্রশ্ন: পরমা গুছিয়ে সংসার করছে, বৃষ্টির মতো চিত্রগ্রাহকের প্রবেশ তাঁর জীবনে… সেই সময় চর্চা হত?

অপর্ণা: মানুষের মন তো, মনকে কি আটকে রাখা যায়! চিরকালই ছিল, কিন্তু সমাজের এত বিধিনিষেধ ছিল, এগুলো প্রকাশ্যে আসত না। আমার এক দিদিমার তুতো বোনের তাঁর দেওরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সকলেই জানত, কিন্তু সে বিষয়ে কেউ কথা বলত না।

প্রশ্ন: এখন এই বিষয়টি অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে…

অপর্ণা: সে তো হয়েইছে। ধারাবাহিক, ছবি- সব জায়গাতেই তো পরকীয়ার ছড়াছড়ি। সেই সময় এ সব ভাবাই যেত না।

প্রশ্ন: বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল…

অপর্ণা: ওরে বাবা! সেই সময় একটা ছবির প্রদর্শনীতে দর্শকের মধ্যে থেকে কয়েকটি ছেলে হাত গুটিয়ে এসে বলল, “ভেবেছেনটা কী ম্যাডাম! নারী স্বাধীনতা মানে কি স্বেচ্ছাচারিতা?” ও রকম তেড়ে এলে আমার ভয় করে। আমি ওদের বলেছিলাম, এ ভাবে কেন বলছেন? আপনারা পুরোটা দেখুন আগে। তার পর সুযোগ বুঝে আমি নীচে গিয়ে গাড়িতে উঠে দে চম্পট!

তার মধ্যে তিন জন বয়স্ক মহিলা চুপি চুপি এসে আমাকে বলেছিলেন, “বেঁচে থাকো মা। তুমি আমাদের কথা বললে।” তাঁদের জীবন কেমন ছিল ভাবুন একবার!

বাড়িতে দিলীপ রায়, দীপঙ্কর দে এসেছিলেন। বিশেষ করে দীপঙ্করদা বলেছিলেন, “বাঙালি দর্শক এই ছবি নেবে না।” আমি বলেছিলাম, আমি সমস্ত বিচারবুদ্ধি, বোধ দিয়ে ছবিটা বানিয়েছি। যা হয়েছে, হয়েছে। এর পর যদি দর্শক না নেয়, নেবে না। আমি একটা ফ্রেমও কাটব না। সাহস একটা ছিল আমার। যখন দেখতাম বলার প্রয়োজন, বলে দিতাম।

প্রশ্ন: রাজনীতির ক্ষেত্রেও আপনার এই একই পন্থা?

অপর্ণা: হ্যাঁ। কেউ মতামত রাখে মানে সব সময় রাখতে হবে! যারা কখনওই কিছু বলে না, তাদের কিন্তু কিছু বলা হয় না। যারা সব সময় বলে, এক বার না বললেই সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। আমার জীবনেও তো কিছু চলতে পারে। অসুস্থতা থাকতে পারে, আমি হয়তো বিদেশে রয়েছি অথবা অন্যান্য কোনও অসুবিধা থাকতে পারে। সাংসারিক ব্যস্ততা থাকতে পারে। বলা সম্ভব হয়ে ওঠে না অনেক সময়। সে যে কোনও এক সময় বলেছে সেই ভেবেই তো মানুষ খুশি থাকতে পারে।

নন্দীগ্রামের ঘটনা প্রসঙ্গে আগের সরকারকে নিয়ে সমালোচনা করেছি। এই সরকারকে নিয়ে কি সমালোচনা করিনি! কত বার করেছি!

প্রশ্ন: আরজি করের ঘটনায় চার্জশিট নিয়ে…

অপর্ণা: কী বলব বলুন! এত বড় একটা ঘটনা, চার্জশিট নিয়ে এত কাণ্ড! কার সঙ্গে কার জোট আছে কে জানে!

প্রশ্ন: ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের মুখোমুখি হতে হয়েছিল আপনাকে…

অপর্ণা: আচ্ছা, এদের কথার মূল্য দেওয়ার কোনও প্রয়োজন আছে কি? আমি তো প্রথমে শুনতেই পাইনি। ধাক্কাধাক্কি, কয়েকটা ছেলে ঘিরে ধরল। দূরে এক মহিলা পড়ে গেলেন। তখন মনে হচ্ছে এখানে একটা পদপিষ্টের ঘটনা ঘটবে, আমি কী ভাবে বেরোব? পরে সব শুনে ভাবলাম, এই বোকা লোকের কথা শুনে কোনও লাভ আছে? ওই যে ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে…’

‘পরমা’ তথ্যচিত্রের শুটিং ফ্লোরে অপর্ণা সেনের সঙ্গে পরিচালক সুমন ঘোষ।

‘পরমা’ তথ্যচিত্রের শুটিং ফ্লোরে অপর্ণা সেনের সঙ্গে পরিচালক সুমন ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।

প্রশ্ন: আপনি একটা সময় সংবাদ সংস্থায় চাকুরি করেছেন, কী মনে হয় সাংবাদিকতার মান একই রয়েছে?

অপর্ণা: বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দর্শক বা পাঠককে নিয়ে এত ভয়! পাঠক নেবে না, খাবে না, এতেই গেল সব! আমাদের সময়ে আমরা পাঠক তৈরি করতাম। যে মানের পত্রিকা তৈরি করতে চাইছি, সেই মানের পাঠক আমাদের তৈরি করতে হবে। সুতরাং, পাঠকের রুচি তৈরি করে দেওয়াটাও আমাদের কাজের একটা অংশ ছিল। সহজ ভাবে করতাম, খুব কঠিন ভাবে নয়।

প্রশ্ন: ঘরে বাইরে সমানতালে পারদর্শী, কী মনে হয় মহিলাদের উপর এখন এটা বাড়তি চাপ?

অপর্ণা: বাড়তি চাপ চিরকালই। বহু দিনের প্রথা এটা। আমি যেমন ঘরোয়া, সুন্দর করে সংসার করব, কাউকে নেমন্তন্ন করে গুছিয়ে রান্না করব, আমি তাতে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি। এত যে আমাকে নারীবাদী পরিচালক বলা হয়, আমার অন্তরেও কিন্তু সেই সংসারী মেয়েটা আছে। মেয়েরা খানিকটা দশভুজা, এটা যে কবে যাবে! নারী-পুরুষের সমান পারিশ্রমিকের জন্যও কিন্তু আমি লড়ব। আমি দুটো দিকই করব।

প্রশ্ন: কেন ‘পরমা’ নাম হল?

অপর্ণা: আমার ধারণা খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এই নাম দেওয়া হয়েছে। ‘পরমা’ ছবির অনুষঙ্গ রয়েছে, যা আমার সঙ্গে যুক্ত। আরও একটি অর্থ, পরম নারী। যদিও আমি তা নই। কিন্তু সুমনের তা বলতে বাধা কোথায়! তবে সুমন খুব যত্ন করে আমার জীবনের নানা দিক তুলে ধরেছে এই তথ্যচিত্রে।

প্রশ্ন: শশী কপূরের সঙ্গে আপনার কাজের শুরুয়াত?

অপর্ণা: শশী আর আমি ‘বম্বে টকিজ়’ ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। বাবাকে ওরা চিনত সকলে। আলাপ ছিলই। ‘৩৬ চৌরঙ্গী লেন’ যখন লিখলাম, সকলে বলেছিল, “লিখেছ ভাল কথা। এ বার দেরাজে তুলে রেখে দাও।” আমি ভাবলাম এক বার মানিককাকাকে (সত্যজিৎ রায়) দেখিয়ে নিই। মাস তিনেক বাদে আমাকে ডেকে বলেছিলেন, “বাহ! খুব ভাল হয়েছে। এ বার ছবি করে ফেল।” মানিককাকাই শশীর কাছে যেতে বলেন প্রযোজনার জন্য।

প্রশ্ন: চিত্রনাট্য পড়ার পরে শশী কপূরের প্রথম প্রতিক্রিয়া কী ছিল?

অপর্ণা: শশী আমাকে জানিয়েছিলেন, চিত্রনাট্যের খসড়া ভাল লেগেছে। “কিন্তু কী করে বুঝব আপনি ছবি বানাতে পারবেন?” প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। আমি বলেছিলাম ফোনে কী করে বোঝাব? এর পরে উনি বলেছিলেন, “আপনি টিকিট কেটে বম্বে চলে আসুন। যদি গল্প পছন্দ হয় আমার, আপনার ফেরার টিকিট আমি কেটে দেব।”

তার পর মুম্বইয়ে গল্প শোনার পর দেখি আমাকে বাদ দিয়ে চিত্রগ্রাহক গোবিন্দ আর শশী আলোচনা করছিল, কোথায় কত খরচ হতে পারে, ক’টা ফ্রেম লাগবে ইত্যাদি। আমাকে কেউ কিছু বলছে না এ দিকে বাজেট আলোচনা হচ্ছে। তখন আমি ভাবলাম, তা হলে ছবিটা কি হচ্ছে? আমাকে তার পর জিজ্ঞেস করল, “আপনি কত পারিশ্রমিক নেবেন?” উত্তরে আমি বলেছিলাম, আমার টাকা লাগবে না। এই কাজটা আমি ভালবাসা থেকে করেছি। “না, না তা কি হয়! পরিচালকের তো বেশি টাকা নেওয়া উচিত”, এই বলে সেই সময় তিরিশ হাজার টাকায় রফা করেছিলেন তিনি। পরে ছবি শেষ হওয়ার পরে “আপনি অনেক পরিশ্রম করেছেন”, এই বলে তিনি পারিশ্রমিক দ্বিগুণ করে দিয়েছিলেন। ও রকম প্রযোজক হয় না। এর পর আমি খাম খুলে শুধু চুক্তিপত্রটা দেখছিলাম বার বার, আমার সই করা, শশীর সই করা। আমার প্রথম পরিচালনায় ছবি হচ্ছে।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

প্রশ্ন: আপনার সাজের ধরন সাড়া ফেলে দিয়েছিল। সচেতন পরিবর্তন না সাবলীল ভাবেই এসেছিল?

অপর্ণা: আমি আমার রুচি অনুযায়ী সাজগোজ করতাম, একটু ভিন্ন ধরনের। সেটা সকলের ভাল লাগত। দেখলাম আমার সাজের ধরন ছড়িয়ে গেল ধীরে ধীরে। আমিই প্রথম কেশসজ্জা শিল্পী দিয়ে সাজতাম। এখন তো ঘরে ঘরে কেশসজ্জা শিল্পী। তরুণ মজুমদারের ছবি থেকে তো বাদই পড়ে গিয়েছিলাম, আমার কেশসজ্জা শিল্পী চেয়েছিলাম বলে। ওদের ইউনিটের কেশসজ্জা শিল্পীর কাছেই সাজতে হবে। ‘মেমসাহেব’-এ শান্তিনিকেতনে পড়া মেয়ে, একটু অন্য ধরনের মানসিকতা। সেখানে তাঁতের শাড়ি, রুপোর গয়না, চুলে ফুলের সাজে ভাল লাগবে ভেবেছিলাম। দর্শকের সেই সাজগুলো ভাল লাগত। আমি যে খুব জোর করে চেয়েছি এমন নয়।

প্রশ্ন: নিজেকে এমন সুন্দর করে রেখেছেন কী ভাবে?

অপর্ণা: নিজেকে খুব একটা মোটা হতে দিইনি। তার কারণ, তাতে অনেক ধরনের অসুখ হতে পারে। আমার বড় মেয়েকে চিকিৎসক বলেছিলেন, “শরীরের ওজন কমিয়ে ফেলো, তোমার অর্ধেক সমস্যা কমে যাবে।”

প্রশ্ন: ডায়েট না শরীরচর্চা?

অপর্ণা: দুটোই। দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। সব সময় খেয়াল রাখি। অভিনেত্রী থাকার অভ্যেস। সেই সময় বেণুদি বলতেন, “এ কি তুই এত রোগা। কী ভাবে দাদার সঙ্গে মানাবে তোকে?” প্রথমত, আমি কখনও দাদা বলে সম্বোধন করিনি। চিরকাল উত্তমবাবু বলে ডেকেছি। আমি বেণুদিকে বলেছিলাম, “নিচ্ছে তো লোকে। তুমি কেন বাজে কথা বলছ?”

তা ছাড়া আমার মায়ের ত্বক খুব ভাল ছিল। আমার মেজো বোনেরও তাই। ফলে জিনগত কারণও রয়েছে কিছুটা। ক্লিনিং আর টোনিং রোজ রাত্রে করতেই হবে। আর যোগাসন অবশ্যই। এতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Aparna Sen suman ghosh Shashi Kapoor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy