আলিয়া ও মেঘনা গুলজার
সেই ১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে। তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী পূর্ব পাকিস্তানকে পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশে সব রকম সাহায্যে প্রস্তুত। কিন্তু পাকিস্তানকে যুদ্ধে হারানো মোটেই সহজ ছিল না। সেটা সম্ভব করায় বিরাট ভূমিকা নিয়েছিলেন এক ভারতীয় গুপ্তচর। অকুতোভয় এক নারী। পাকিস্তান থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি ভারতে পাঠিয়েছিলেন... মেঘনা গুলজারের আগামী ছবির প্লট ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকে প্রেক্ষাপটে রেখে এভাবেই সেজে উঠেছে। ছবির প্রযোজনায় রয়েছে ধর্মা প্রোডাকশনস।
আর সেই সাহসী গুপ্তচরের ভূমিকায়? এই মুহূর্তে বলিউডের সবচেয়ে বড় বাজি, আলিয়া ভট্ট!
গুলজার-তনয়া মেঘনা পরিচালিত শেষ ছবি ‘তলওয়ার’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৫ সালে। সত্য ঘটনা অবলম্বনে এ ছবি সমালোচক-দর্শক দুই কুলেরই প্রশংসা পেয়েছিল। এ বার তাঁর ছবির বিষয় যথেষ্ট জটিল। এ বার তাঁর ছবিতে টানটান উত্তেজনা। মনের মধ্যে একটা ভয় ওঁত পেতে বসে... এই বুঝি ধরা পড়ে গেল আলিয়া! উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে... যদিও ছবির কাজ একেবারেই প্রাথমিক স্তরে আছে। নাম পর্যন্ত ঠিক হয়নি।
তবে আলিয়ার কাছে নিঃসন্দেহে এ ছবি এক নতুন চ্যালেঞ্জ। ছবিতে তিনি খুব সাধারণ এক মুসলিম রমণী। কানাঘুষোয় ছবির গল্প যেটুকু অবয়ব পাচ্ছে, সেটা এ রকম... আলিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় এক পাকিস্তানি আর্মি অফিসারের। সেখান থেকেই আলিয়া পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের নানা তথ্য ভারতে পাচার করেন। এতে বহু ভারতীয়ের প্রাণ বাঁচে এবং যুদ্ধে জয়ও সহজ হয়। অবশ্য ছবির শুরুর দিকে বোঝা যাবে না যে, তিনি আসলে একজন স্পাই। সেটা ক্রমশ প্রকাশ পাবে। বলিউডে এখন পরপর নারীকেন্দ্রিক ছবি হচ্ছে। এবং আলিয়া যে এ ধরনের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য তৈরি, সেটা তাঁর ফিল্মোগ্রাফি বলে দিচ্ছে।
কেরিয়ার শুরু করেছেন মাত্র পাঁচ বছর হয়েছে। এই অল্প সময়েই তিনি যে কত ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন! ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ করার পরই ‘হাইওয়ে’ ছবিতে ‘ভীরা’-র চরিত্রে একেবারে ডি-গ্ল্যাম লুকে অসাধারণ অভিনয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। তার পর ‘টু স্টেটস’, ‘কপূর অ্যান্ড সনস’, ‘উড়তা পঞ্জাব’, ‘ডিয়ার জিন্দেগি’, ‘বদ্রীনাথ কী দুলহনিয়া’... গ্ল্যামারস্নাত হোক বা মেকআপশূন্য... যে কোনও সাজে, যে কোনও চরিত্রে অভিনয়ের নিরিখে এই মুহূর্তে আলিয়া আনপ্যারালাল। তাই তো এক অ্যাওয়ার্ড ফাংশনে তাঁর হাতে এ বছরের বেস্ট অ্যাকট্রেসের পুরস্কার তুলে দিতে গিয়ে করিনা কপূরও বলেন, ‘দ্য অ্যাওয়ার্ড গোজ টু মাই ফেভারিট’ আলিয়া!
সত্যিই আলিয়া, এই মুহূর্তে আপনি সকলেরই ফেভারিট!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy