‘‘আগামী দিনে তিনটে নয়, আমার পাঁচটা ছবির কাজ চলছে। ছ’নম্বর ছবির কাজ শুরু হবে আর কিছু দিনের মধ্যেই,’’ প্রশ্ন কর্তার ভুল শুধরে জবাব বলিউডের ‘খিলাড়ি’র। মুম্বইয়ের এক সাংবাদিক সম্মেলনে তখন একের পর এক প্রশ্ন ধেয়ে আসছে। হাসিমুখে প্রতিটার উত্তর দিচ্ছেন অক্ষয় কুমার।পরের প্রশ্ন, একসঙ্গে এত কাজ করেন কী করে? এ বার খানিক বিরক্ত। অভিনেতা বললেন, ‘‘ছোটবেলায় সকলে রোজ স্কুলে যায়,বড় হয়ে অফিসে যায়। আমাদের কাজের জগৎটাও ঠিক তেমনই। রোজ সকালে উঠে শ্যুটিংয়ে যাই। এ তো সবাই করে।’’বলিউডে অক্ষয়ের ছবি মানেই জমজমাট গল্প। অনুরাগীরা তো বটেই, বহু অভিনেতাও তাঁর পরের কাজের অপেক্ষায় বসে থাকেন। ‘খিলাড়ি’র কথা ভেবে নাকি চিত্রনাট্য রেখেন অনেক পরিচালকও। এমনটা তো এক দিনে হয়নি। বলিউডে পায়ের তলার জমি পাকা করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে অক্ষয়কেও। কেরিয়ারের শুরুতে একের পর এক ব্যর্থতা। তবু টিনসেল নগরীর মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন অক্ষয়।
বলিউডে এমন সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে অক্ষয়ের কঠিন পরিশ্রম। রোজ ভোর ৪টেয় নিয়ম করে ঘুম থেকে ওঠা, তার পরে শরীরচর্চা। শোনা যায়, আউটডোর থাকলে হোটেল থেকে শ্যুটিংস্থলে পৌঁছন হেঁটে বা সাইকেলে। বলিউডের পার্টিতেও খুব একটা দেখা যায় না ‘বচ্চন পাণ্ডে’কে। রবিবারের ছুটির দিনটা সময় দেন পরিবারকেই।ঘড়ির কাঁটা মেনে চলা জীবনে অভ্যস্ত অক্ষয় কি বলিউডেই কাটিয়ে দিতে চান গোটা জীবন? অক্ষয়ের উত্তর, ‘‘যে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মনে হবে, কাল সকালে আবার কাজে যেতে হবে, সে দিনই সব কাজ ছেড়ে দেব।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy