করিনার (বাঁ দিকে) বদলে ‘হিরোইন’ ছবিতে পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন ঐশ্বর্যা।
‘হিরোইন’ ছবি মুক্তির পর ১০ বছর কেটে গিয়েছে। মাহি অরোরার চরিত্রে করিনা কপূরের দাপুটে অভিনয় এখনও ভোলেননি বলিউড-ভক্তরা। কিন্তু ওই চরিত্রে পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের প্রথম পছন্দ করিনা ছিলেন না। ছিলেন ঐশ্বর্যা রাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাদ পড়েছিলেন তিনি। সেই নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তাঁর শ্বশুর অমিতাভ বচ্চন।
‘হিরোইন’ ছবির মূল চরিত্রে ঐশ্বর্যাকে ভেবে চিত্রনাট্য চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন মধুর। কিন্তু তখনই জানতে পারেন, মা হতে চলেছেন ঐশ্বর্যা। ছবি থেকে তাঁকে ছেঁটে ফেলে করিনাকে বেছে নেন। পরিচালকের মান রেখেছিলেন করিনা। কিন্তু বিষয়টি ভাল চোখে দেখেননি বিগ বি।
ঐশ্বর্যাকে বাদ দেওয়ার পিছনে মধুরের যুক্তি খুব স্পষ্ট ছিল। একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘এটা খুব একটা সাধারণ ছবি নয়, যে গুটিকয়েক জায়গায় শ্যুটিং করলেই কাজ শেষ। ‘হিরোইন’ ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য ৪০টি জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রচুর ভিড়ের মধ্য শ্যুটিং করতে হবে। ছবির বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। গান, নাচ আর ছবির বিভিন্ন দৃশ্যে অনেক শারীরিক কসরতের প্রয়োজন।’’
পরিচালক স্পষ্টই জানান, সন্তানসম্ভবা ঐশ্বর্যা কোনও ঝুঁকি নিন, তিনি চাননি। মধুরের কথায়, ‘‘ছবিতে মুখ্য চরিত্রের ধূমপান করার বেশ কিছু দৃশ্য ছিল। অভিনেত্রী চাইলে সেই দৃশ্য বাদ দিতেই পারতাম। কিন্তু ওই দৃশ্যে অন্য চরিত্ররা ধূমপান করতেন। তাতে সন্তানসম্ভবার ক্ষতি হতে পারত।’’
অমিতাভ বিষয়টিকে ভাল ভাবে নেননি। একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘ঐশ্বর্যা যখন ছবিতে সই করেছিলেন, সকলে জানতেন ও বিবাহিত। তার মানে আপনি বলতে চাইছেন, অভিনেত্র্রীরা বিয়ে করতে পারবেন না, তাঁদের বাচ্চার জন্ম দিতে পারবেন না? আমি মনে করি না, কোনও চুক্তির এ রকম শর্ত থাকতে পারে, যে তা সই করলে কেউ বিয়ে করতে পারবেন না, সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন না।’’ পরে অবশ্য পরিচালকের সঙ্গে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছিলেন ঐশ্বর্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy