Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Aindrila Sharma Death

ঐন্দ্রিলার সঙ্গে তিক্ততা, থানাপুলিশের স্মৃতি ভুলে যেতে চাই

শুটিং ফ্লোরে রীতিমতো হাতাহাতি, বচসা। জল গড়ায় থানা পর্যন্ত। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সেই তিক্ত স্মৃতি মুছে ফেলতে চান তিনি। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর আনন্দবাজার অনলাইনে লিখলেন অভিনেতা।

ঐন্দ্রিলার স্মৃতিতে কলম ধরলেন জয়।

ঐন্দ্রিলার স্মৃতিতে কলম ধরলেন জয়। ছবি: সংগৃহীত।

জয় মুখোপাধ্যায়
জয় মুখোপাধ্যায়
পুণে শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২২ ১৫:০৪
Share: Save:

আমি এই মুহূর্তে পুণেতে আছি। এত দূরে আছি, কী বলব বুঝতে পারছি না। আমার সঙ্গে একদিন ঐন্দ্রিলার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কিন্তু তার আগের যে একশো দিন আমরা শুট করেছি, সেই কথাটা কেউ মনে রাখল না। দু’জনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল ঠিকই। তা থানা পর্যন্তও গড়িয়েছিল। পরিস্থিতির জন্য একে অপরের থেকে দূরে সরে গিয়েছিলাম আমরা। তিক্ত স্মৃতিও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তার পর যে আর কোনও দিন কথা হবে না, সেটা ভাবতেই পারিনি।ও কত ছোট আমার থেকে। সবে তো ২৪ বছর বয়স হয়েছিল। কত কত স্বপ্ন। ওর ছোট ছোট স্বপ্নের কথা শুটিংয়ের ফাঁকে মাঝেমাঝেই বলত আমায়। কিন্তু ওই একটা দিনের একটা ঘটনা সব সম্পর্কটাই নষ্ট করে দিয়েছিল। এই দিনে সেই স্মৃতিগুলোই ফিরে ফিরে আসছে।

এইটুকু বয়সে কত মনের জোর। দেখলে বেশ অবাকই হতাম। দু’জনের মধ্যে সমস্যা থাকলেও, কখনও ওর খারাপ চাইনি। আমার সঙ্গে আলাপ ‘জিয়নকাঠি’ ধারাবাহিকের সেটেই। প্রথম দিকে আড্ডা হত। ও তখন সদ্য ক্যানসার থেকে সেরে উঠেছে। অনেক রকম বিধিনিষেধের মধ্যে থাকতে হত ঐন্দ্রিলাকে। প্রচুর ওষুধ চলত। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি তো ওর চলে যাওয়ার কথা ছিল না।

শুটিং ফ্লোরে ওর সঙ্গে আমার ঝগড়ার সেই তিক্ত স্মৃতি তো মুছে ফেলতে পারব না। কিন্তু এই দিনে বড় কষ্ট হচ্ছে। ও আমার লড়াকু বন্ধু। চূড়ান্ত উৎসাহী একটা মেয়ে ছিল ঐন্দ্রিলা। এখন মনে হচ্ছে, ইস্, সেই দিনের ঘটনাটা যদি না ঘটত! যদি শহরে থাকতাম, তা হলে এখনই ছুটে চলে যেতাম। যাঁর বাবা চিকিৎসক, দিদি চিকিৎসক, মা নার্স, তাঁর এই পরিণতির কথা কি কেউ ভাবতে পারে? ও আমাদের অনু্প্রেরণা। ঐন্দ্রিলা তারকা ছিল, তারকা আছে এবং তারকাই থাকবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Aindrila Sharma Death Aindrila Sharma
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE